এই ভুল করলেই বাড়িতে আসবে Income Tax নোটিশ !

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : কোন ৬টি লেনদেন করলেই আসবে আয়কর নোটিশ ? জানুন এবং সাবধান হয়ে যান এখনই !আয়কর বিভাগ আর্থিক অনিয়ম প্রতিরোধের জন্য নির্দিষ্ট কিছু লেনদেনের উপর বিশেষ নজরদারি করে। আপনি যদি কিছু নির্দিষ্ট আর্থিক কার্যকলাপে যুক্ত হন, তবে আয়কর বিভাগ আপনাকে নোটিশ পাঠাতে পারে।

বিশেষত, ব্যাংক, মিউচুয়াল ফান্ড, ব্রোকার হাউস এবং সম্পত্তি নিবন্ধক সংস্থাগুলিকে কিছু নির্দিষ্ট সীমার ওপরে লেনদেন হলে তা আয়কর বিভাগকে জানাতে হয়। এখানে এমন ৬টি গুরুত্বপূর্ণ লেনদেন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো, যা আপনার জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে এবং যার ফলে আয়কর বিভাগের নোটিশের সম্মুখীন হতে পারেন।

আরও পড়ুন : Google থেকেই ইনকাম হবে লাখ লাখ টাকা। কিভাবে? জেনে নিন 4 সেরা টিপস

১. ১০ লক্ষ টাকার বেশি ফিক্সড ডিপোজিট (FD) জমা (Fixed Deposit)

যদি কোনও ব্যক্তি এক অর্থবছরে ১০ লক্ষ টাকার বেশি পরিমাণে ফিক্সড ডিপোজিটে (FD) অর্থ জমা করেন, তাহলে আয়কর বিভাগ সেটি খতিয়ে দেখতে পারে।

এই অর্থ নগদে জমা হোক বা ডিজিটাল মাধ্যমে, উভয় ক্ষেত্রেই ব্যাংককে সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (CBDT)-কে বিষয়টি জানাতে হয়।

ফিক্সড ডিপোজিটের পরিমাণ যদি ১০ লক্ষ টাকার বেশি হয়, তাহলে বিভাগ সেই অর্থের প্রকৃত উৎস সম্পর্কে জানতে চাইতে পারে। তাই এ ধরনের লেনদেন করার আগে যাবতীয় প্রাসঙ্গিক নথি সংরক্ষণ করা জরুরি।

২. ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকার বেশি নগদ জমা (Bank Account Cash Transction)

CBDT-এর নিয়ম অনুসারে, যদি কোনও ব্যক্তি এক অর্থবছরে তার সেভিংস অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি নগদ জমা করেন, তাহলে ব্যাংককে সেই লেনদেনের তথ্য আয়কর বিভাগকে (Income Tax) জানাতে হবে।

এই নিয়মের আওতায় চলতি হিসাব (Current Account) এবং সময় আমানত (Time Deposit) পড়ে না। তাই এই ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা এবং প্রয়োজনীয় নথি সংরক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

৩. ৩০ লক্ষ টাকার বেশি মূল্যের সম্পত্তি ক্রয় বা বিক্রয় (Property Transction)

যদি কোনও ব্যক্তি ৩০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি মূল্যের সম্পত্তি কেনা বা বিক্রি করেন, তাহলে সেই লেনদেনের তথ্য সম্পত্তি নিবন্ধককে আয়কর বিভাগে জানাতে হয়।

এই ক্ষেত্রে আয়কর বিভাগ আপনাকে জিজ্ঞাসা করতে পারে যে, এই পরিমাণ অর্থের উৎস কী এবং কীভাবে সেই সম্পদ অর্জন করেছেন। তাই সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ের আগে প্রয়োজনীয় আর্থিক নথি সংরক্ষণ করা উচিত।

আরো পড়ুন : রেশনের বদলে নগদ টাকা দেবে সরকার, নতুন নিয়ম আসছে

৪. শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, ডিবেঞ্চার এবং বন্ডে ১০ লক্ষ টাকার বেশি বিনিয়োগ

আপনি যদি এক অর্থবছরে শেয়ার (Share Market), মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Fund), ডিবেঞ্চার বা বন্ডে (Bond Paper) ১০ লক্ষ টাকা বা তার বেশি বিনিয়োগ করেন, তবে সেই বিনিয়োগের তথ্য সংশ্লিষ্ট সংস্থা আয়কর বিভাগে জানাবে।

এই ধরনের বিনিয়োগ করলে আয়কর বিভাগ আপনার আয়ের উৎস সম্পর্কে জানতে চাইতে পারে। তাই বড় অঙ্কের বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আয়ের উৎস সম্পর্কিত দলিল তৈরি রাখা জরুরি।

৫. ক্রেডিট কার্ড বিল নগদে পরিশোধ (Credit Card Bill Payment)

যদি কোনও ব্যক্তি এককালীন ১ লক্ষ টাকার বেশি পরিমাণের ক্রেডিট কার্ড বিল নগদে পরিশোধ করেন, তাহলে সেটি আয়কর বিভাগের নজরে আসতে পারে।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন