দেশের এই জেলাগুলিতে নিষিদ্ধ হোলি, রং খেলা; নেপথ্যে অদ্ভূত কারণ জেনে নিন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- রঙের উৎসব হোলি সারাদেশে ধুমধাম করে পালিত হয়। সবার মনে আনন্দ নিয়ে আসে হোলি। শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেই দোলের রঙে রঙিন হন। দেশজুড়ে সকলেই হোলির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। তবে ভারতে এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে হোলির উত্সব নিয়ে কোনও উত্সাহ দেখা যায় না। কারণ এই জায়গাগুলিতে হোলি উদযাপন নিষিদ্ধ।

এবছর ১৪ মার্চ, ২০২৫-এ, যখন সমগ্র দেশ হোলির উত্সব উদযাপন করবে। তবে এই জেলাগুলিতে হোলির রঙে রাঙাবে না। জানুন ভারতের কোন কোন জেলায় হোলি উদযাপন করা হয় না। পিছনে কী কারণ।

উত্তরাখণ্ডের এই সব জায়গায় হোলি পালিত হয় না!
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের রুদ্রপ্রয়াগ জেলায় খুরজান ও কুইলি নামে দু’টি গ্রাম রয়েছে। প্রায় দেড়শ বছর ধরে এই দুই গ্রামে হোলি উদযাপন হয় না। এই গ্রামের লোকেরা বিশ্বাস করে, তাদের বংশের দেবী কোলাহল পছন্দ করেন না। তাই এখানকার মানুষ হোলি উৎসব পালন করলে দেবী তাদের ওপর ক্রুদ্ধ হবেন। গ্রামে দুঃখ-দুর্দশা দেখা দিতে পারে। এই কারণে এই গ্রামে হোলি পালিত হয় না।

আরও পড়ুন:- ফ্রি রান্নার গ্যাস দেওয়ার ঘোষণা। বিনামূল্যে LPG পেতে কীভাবে আবেদন করবেন? জেনে নিন

গুজরাতের এই জায়গায় হোলি নিষিদ্ধ
গুজরাতে রাজ্যে রামসান নামে একটি জায়গা রয়েছে, যেখানে ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে হোলি উদযাপন করা হয় না। এই গ্রামের মানুষ বিশ্বাস করে, ভগবান শ্রী রাম একবার এখানে এসেছিলেন তাই এর নামকরণ করা হয়েছে রামসান। এটি সাধারণভাবে রামেশ্বর নামেও পরিচিত। এখানে হোলি উদযাপন না করার দু’টি কারণের কথা প্রচলিত আছে।

প্রথম কারণ হিসেবে মনে করা হয় ২০০ বছর আগে হোলিকা দহনের সময় এই গ্রামে আগুন লেগে বহু বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছিল, যে কারণে মানুষ তখন থেকে হোলি উদযাপন বন্ধ করে দিয়েছিল। দ্বিতীয় কারণ মনে করা হয়, একবার ঋষি-সাধুরা কোনও কারণে এই গ্রামের মানুষের ওপর ক্রুদ্ধ হয়ে অভিশাপ দিয়েছিলেন যে এই গ্রামে যদি হোলিকা দহন করা হয়, তাহলে পুরো গ্রামে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হবে। তারপর থেকে এই গ্রামের মানুষ হোলিকা পোড়ায় না বা রং দিয়ে হোলি খেলে না।

ঝাড়খণ্ডের এই জায়গায় হোলি উৎসব পালিত হয় না
ঝাড়খণ্ডের দুর্গাপুর নামে একটি গ্রাম রয়েছে, যেখানে প্রায় ১০০ বছর ধরে হোলি খেলা হয়নি। এখানকার রাজার ছেলে হোলির দিনে মারা যান এবং পরের বছরই হোলির দিনেই রাজার মৃত্যু হয় বলে এই গ্রামের মানুষদের বিশ্বাস। শেষ নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় রাজা গ্রামের লোকদের বলেছিলেন, এই গ্রামে হোলি উদযাপন করা উচিত নয়। তারপর থেকে এই গ্রামের মানুষ হোলি উদযাপন বন্ধ করে দেয়।

আরও পড়ুন:- সস্তার রংয়ে উৎসবে মাতবেন ? হতে পারে ভয়ংকর পরিণতি, বিস্তারিত জেনে নিন

আরও পড়ুন:- ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ থামছে? জেনে নিন কি বলছেন ট্রাম্প

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন