Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- ১৯৩৯ সালের আগে এই পাথরদের কথা কেউ জানত না। সেই বছরই প্রথম সেগুলি নজর কাড়ে। একটি ফল সংস্থা এখানে কলা বাগান তৈরি করার সময় এই পাথরগুলি দেখতে পায়। এমন অবাক করা পাথর নজর কাড়তে সময় নেয়নি।
এমন সুন্দর করে, নিখুঁত করে গোলক করা পাথর এল কোথা থেকে? সেটাই তখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হয়ে সামনে আসে। প্রতিটি পাথরই গোলাকার। তবে ছোট বড় আছে।
টেনিস বলের আকারের পাথর থেকে শুরু করে কয়েক টন ওজনের বিশাল গোলক, সবই দেখতে পাওয়া যায়। দেখতে পাওয়া যায় আশপাশেই। চারিদিকে ছড়িয়ে আছে এমন গোলক। কারা এখানে পাথরগুলি এনে রাখল? শুরু হয় খোঁজ।
কোস্টারিকার ডিকুইজ বদ্বীপ অঞ্চলে দেখা যাওয়া এই পাথর ঘিরে রহস্য ঘনীভূত হতে থাকে। অনেকেই বলতে শুরু করেন, এমন সুন্দর করে গোল করা নানা আকৃতির পাথর কোনও মানুষ তৈরি করেনি। তাঁদের দাবি ছিল, সেগুলি ভিনগ্রহীরা ফেলে গেছে।
আরও পড়ুন:- মোবাইল গেমে মেতে সন্তান ! ওদিকে বাবা-মায়ের অ্যাকাউন্ট থেকে খোয়া গেল 25 লাখ, বিস্তারিত জানুন
এদিকে পাথরগুলি নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা শুরু হয়। বহু কৌতূহলী মানুষ এগুলি দেখতে ছুটে আসতে থাকেন। পরীক্ষায় দেখা যায় পাথরগুলিতে নানা খনিজের মিশ্রণ রয়েছে।
তবে যে ২টি জিনিস সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় তার একটি হল গ্র্যানোডায়োরাইট। একধরনের আগ্নেয়শিলা। আর যেটির প্রাধান্য নজরে পড়ে সেটি হল লাইমস্টোন।
বিজ্ঞানীরা অনেক পরীক্ষার পর মনে করেন এগুলি তৈরি করেছিলেন এই অঞ্চলের আদি বাসিন্দারা। এগুলিকে সুন্দর গোলাকার রূপ দিতে সে সময় তাঁদের ব্যবহৃত কিছু যন্ত্র জাতীয় জিনিস কাজে লাগানো হয়।
তবে ঠিক কি কারণে এমন শত শত বিভিন্ন আকারের গোলক তৈরি করা হয়েছিল তা আজও অজানা। সে রহস্য রহস্যই রয়ে গেছে। কোস্টারিকায় বেড়াতে গেলে পর্যটকেরা এই গোলক দেখে আসতে ভোলেন না।
আরও পড়ুন:- স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় হাসপাতাল পরিষেবা না-দিলে কী করবেন ? জানালেন চন্দ্রিমা
আরও পড়ুন:- গ্রীষ্মে প্রচুর পরিমাণে লেবু খান, এই রোগগুলি ছুঁতেও পারবে না