Bangla News Dunia, Pallab : জমি-বাড়ির দলিলের সার্টিফায়েড কপি তুলতে এতদিন অনেকেই অসুবিধার মুখে পড়তেন। সরকারি খরচ মাত্র কয়েকশো টাকা হলেও এক শ্রেণির দালালচক্র সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা আদায় করত।
তবে রাজ্য সরকারের সাম্প্রতিক পদক্ষেপে সেই সমস্যা অনেকটাই দূর হবে। এবার থেকে জমি-বাড়ির দলিলের সার্টিফায়েড কপি শুধুমাত্র অনলাইনে পাওয়া যাবে, ফলে দালালদের দৌরাত্ম্য কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরো পড়ুন : ফিক্সড ডিপোজিট নাকি প্রভিডেন্ট ফান্ড? কোথায় বিনিয়োগ করলে মোটা টাকা সুদ পাবেন, জানুন
অনলাইনে সার্টিফায়েড কপি পাওয়ার সুবিধা
জমি-বাড়ির দলিলের সার্টিফায়েড কপি প্রয়োজন হয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে — যেমন ঠিকানার প্রমাণপত্র, জমির মালিকানা সংক্রান্ত তথ্য, বিদ্যুৎ মিটারের নাম পরিবর্তন, মিউটেশনের জন্য বা ব্যাঙ্কে মর্টগেজের সময়। এতদিন এই গুরুত্বপূর্ণ নথি পেতে সাধারণ মানুষকে হয়রানির শিকার হতে হতো।
সরকারি ফি মাত্র ১০০ থেকে ১৫০ টাকা হলেও এক শ্রেণির দালালচক্র অনেক ক্ষেত্রেই মানুষের কাছ থেকে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করত।
এই সমস্যা দূর করতেই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এখন থেকে দলিলের সার্টিফায়েড কপি শুধুমাত্র অনলাইনে পাওয়া যাবে
অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সার্টিফায়েড কপি পেতে যা যা খরচ হয় তা হলো:
আবেদন ফি: ১০ টাকা
নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প: ১০ টাকা
সার্চিং ফি: ২ টাকা
ইন্সপেকশন ফি: ২ টাকা
প্রতি পাতা কপি ফি: ৭.৫০ টাকা
ফলে একটি সম্পূর্ণ সার্টিফায়েড কপি তুলতে মোট খরচ হয় ১৫০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে।
ডিজিটাইজেশনের অগ্রগতি
রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ১৯৮৫ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত তিন কোটি দলিলের ডিজিটাইজেশনের কাজ শেষ হয়েছে। এরপর দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে:
1. অনলাইনে সার্টিফায়েড কপি ডাউনলোড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যদি কোনও কারণে অনলাইনে নথি না পাওয়া যায়, তখনই কেবল রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে কপি তোলার সুযোগ মিলবে।
আরও পড়ুন : Google থেকেই ইনকাম হবে লাখ লাখ টাকা। কিভাবে? জেনে নিন 4 সেরা টিপস
2. ২০০৭ সালের পর থেকে যত দলিলের রেজিস্ট্রেশন হয়েছে, তা এতদিন অনলাইনে পাওয়া যেত। এবার ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত নথির সার্টিফায়েড কপিও অনলাইনে পাওয়া যাবে।
বর্তমানে ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত পুরনো দলিলের ডিজিটাইজেশনের কাজ চলছে। ধাপে ধাপে সেগুলিও অনলাইনে পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়েছে।
কোথা থেকে সার্টিফায়েড কপি পাওয়া যাবে?
অনলাইনে সার্টিফায়েড কপি পেতে চাইলে রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট পোর্টাল বা ই-ডিসট্রিক্ট পোর্টালে আবেদন করতে হবে। যাঁরা অনলাইনে কাজ করতে অভ্যস্ত নন, তাঁরা সহজেই বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে এই পরিষেবা নিতে পারবেন।