NASA-র মহাকাশচারীদের বেতন কত এবং কী কী সুবিধা পান ? জানুন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- গত কয়েক মাস ধরেই খবরের শিরোনামে নাসার মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস। বোয়িংয়ের স্টারলাইনার ক্যাপসুলে চেপে মহাকাশ স্টেশনে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর সহকর্মী বুচ উইলমোর। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তাঁরা সেই মহাকাশেই আটকে আছেন। তবে নাসা জানিয়েছে, খুব শীঘ্রই তাঁরা পৃথিবীতে ফিরবেন।

সুনীতা উইলিয়ামস ভারতীয় বংশোদ্ভূত। অবসরপ্রাপ্ত মার্কিন নৌসেনার ক্যাপ্টেন তিনি। ১৯৯৮ সালে সুনীতা নাসার জন্য সিলেক্টেড হন। প্রায় দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি নাসার হয়ে মহাকাশ গবেষণার কাজ করে চলেছেন।

মহাকাশের রোমাঞ্চ সত্যিই কোনও বেতনের টাকায় মাপা যায় না। এই সুযোগ পাওয়াটাই ভাগ্যের ব্যাপার। তবে এই গুরুদায়িত্বের বেতনও কিন্তু মন্দ নয়। সুনীতা অন্য মহাকাশচারীদের মতোই বেশ মোটা বেতন ও অন্যান্য বেনেফিটস পান। নাসার মহাকাশচারী হিসাবে তিনি আমেরিকার সরকারি জেনারেল স্কেল (GS) বেতন কাঠামোর মধ্যে পড়েন। তাঁর গ্রেড GS-13 থেকে GS-15-এর মধ্যে।

আরও পড়ুন:- মোবাইল গেমে মেতে সন্তান ! ওদিকে বাবা-মায়ের অ্যাকাউন্ট থেকে খোয়া গেল 25 লাখ, বিস্তারিত জানুন

মহাকাশচারীদের বেতন নির্ভর করে তাঁদের অভিজ্ঞতা ও মিশনের দায়িত্বের উপর। ২০২৪ সালের শেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, মহাকাশচারীদের বর্তমানে বার্ষিক বেতন $৮৪,৩৬৫ থেকে $১,১৫,০৭৯ এর মধ্যে। এটি তাঁদের পে গ্রেডের উপর নির্ভর করছে।

উদাহরণস্বরূপ, GS-13 গ্রেডের মহাকাশচারীরা বছরে $৮১,২১৬ থেকে $১,০৫,৫৭৯ উপার্জন করেন। অন্যদিকে, GS-15 গ্রেডের অভিজ্ঞ মহাকাশচারীরা বছরে $১,৪৬,৭৫৭ পর্যন্ত বেতন পেতে পারেন। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৭০ লক্ষ থেকে ১.২৭ কোটি টাকার সমান।

তবে বেতনের পাশাপাশি সুনীতা নাসার তরফে আরও নানা সুবিধা পান। যেমন, সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য বিমা, শারীরিক পরীক্ষা, বিভিন্ন বিজ্ঞানের অনুষ্ঠানের অংশ হওয়া।

নাসা মহাকাশচারীদের জন্য উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করে। স্পেসওয়াক, বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও জরুরি পরিস্থিতি সামলানোর জন্য এই প্রশিক্ষণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এছাড়া, মহাকাশচারীদের মানসিক স্বাস্থ্যের দিকেও বিশেষ নজর দেয় নাসা। মিশনের আগে, মহাকাশে থাকাকালীন এবং পরেও মানসিক সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়।

আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে থাকাকালীন মহাকাশচারীরা ফোন কল ও কেয়ার প্যাকেজের সুবিধাও পান।

তবে মহাকাশচারীদের পেশা যেমন রোমাঞ্চকর, তেমনই কঠিন। ২০২৪ সালের জুনে বোয়িং স্টারলাইনার ক্যাপসুলে করে ৮ দিনের মিশনে রওনা দিয়েছিলেন সুনিতা ও বুচ। কিন্তু টেকনিকাল সমস্যার কারণে তাঁদের বাড়ি ফেরা বারবার পিছিয়ে যায়।

আরও পড়ুন:- স্বাস্থ্যসাথীর আওতায় হাসপাতাল পরিষেবা না-দিলে কী করবেন ? জানালেন চন্দ্রিমা

আরও পড়ুন:- গ্রীষ্মে প্রচুর পরিমাণে লেবু খান, এই রোগগুলি ছুঁতেও পারবে না

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন