Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- শহরে সবুজ ক্রমশ ক্ষীণ হচ্ছে ৷ এই অবস্থায় নির্মাণ ক্ষেত্রে বহু জায়গায় বড় গাছ কাটা হচ্ছে ৷ তবে নিয়ম হচ্ছে, তার বদলে লাগাতে হবে একাধিক চারাগাছ ৷ কিন্তু, নির্মাণ কাজের পর, গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে নেতিবাচক ভূমিকাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ৷ তাই পরিবেশের সুরক্ষায় সবুজের আচ্ছাদন রক্ষা করতে কঠোর হচ্ছে কলকাতা পুরনিগম ৷
তাই বিল্ডিং বিভাগ এবার নয়া চিন্তাভাবনা শুরু করেছে ৷ আর তা হল, নির্মাণকারীরা গাছ কাটার বিনিময় নতুন একাধিক চারাগাছ লাগানোর প্রতিশ্রুতি দিতে বাধ্য থাকবে ৷ নির্মাণ শেষে সেই সব চারাগাছা লাগানো হল কি না, তা খতিয়ে দেখেই এবার সিসি বা কমপ্লেশন সার্টিফিকেট দেওয়া হবে বলে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে ৷
নয়া এই প্রস্তাব নিয়ে রাজ্যের বন দফতরের সঙ্গেও আলোচনা করেছে কলকাতা পুরনিগম ৷ বন বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী, কোনও জমিতে বড় গাছ কেটে নির্মাণ হলে, তার পরিবর্তে পাঁচটি চারাগাছ রোপন করতে হয় ৷ তবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কেএমসি-র কর্তাদের নজরে এসেছে পুরনিগম বা বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে ৷ অনেক ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ চারা রোপন করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্মাণের অনুমতি নিলেও, অনেকেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছে না ৷
এই বিষয়ে কলকাতা পুরনিগমের এক আধিকারিক বলেন, “চারা লাগানোর প্রতিশ্রুতি পালন না-করলে সিসি আটকে দেওয়া যেতে পারে ৷ তাহলে সেই গাছ লাগানোর ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে প্রতিশ্রুতি পালন করবেন জমির মালিক বা প্রোমোটার ৷ এমন একাধিক বিষয় নিয়ে বন দফতরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে কয়েক দফায় ৷ আমরা বিল্ডিং প্ল্যান অনুমোদনের ক্ষেত্রে বন দফতরকে অনলাইনে একসঙ্গে রাখতে চাইছি ৷ তাতে সবুজ রক্ষায় যৌথভাবে পদক্ষেপ করা যাবে ৷”
তিনি আরও বলেন, “কলকাতা পুরনিগম এক্ষেত্রে ওয়ান উইন্ডো সিস্টেমে সরকারের বিভিন্ন দফতর ও বন দফতরের অনুমতি একসঙ্গে করানোর চিন্তাভাবনা করছে ৷ অনলাইনে এই সিস্টেম চালু হলে, এই বিষয় দুই তরফেই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সুবিধা হবে ৷”
উল্লেখ্য, বন দফতরের তরফে একটি প্রস্তাব কলকাতা পুরনিগমের বিল্ডিং বিভাগকে দেওয়া হয়েছে ৷ সেটি হল, এতদিন ছিল 20 হাজার বর্গমিটার জায়গায় নির্মাণ প্রকল্পের ক্ষেত্রে একটি নির্দিষ্ট জমি বনায়নের জন্য রাখতে হয় ৷ তবে, বন দফতরের প্রস্তাব সব মাপের জমিতেই একটি অনুপাত হিসেবে গাছ লাগানোর জমি বাধ্যতামূলক করুক পুরনিগম ৷ এই প্রস্তাব নিয়েও দফায়-দফায় পুর-কর্তাদের মধ্যে চলছে আলোচনা ৷
আরও পড়ুন:- ভবিষ্যতের জন্য শিশুদের এটা শেখান। জানুন কি মত হার্ভার্ড অধ্যাপকের ?
আরও পড়ুন:- এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্গম জায়গা, যেখানে মানুষ পৌঁছলে আর ফিরতে পারবে না, বিস্তারিত জেনে নিন