Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- মোটরসাইকেলের দীর্ঘস্থায়ী কর্মক্ষমতা ও ভালো পারফরম্যান্স বজায় রাখতে নিয়মিত সার্ভিস করানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই মনে করেন, যতদিন মোটরসাইকেলে সমস্যা না হচ্ছে, ততদিন সার্ভিস করানোর দরকার নেই। কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা। নিয়মিত সার্ভিস করালে বাইকের ইঞ্জিন ভালো থাকে, মাইলেজ বাড়ে এবং দুর্ঘটনার আশঙ্কাও কমে।
মোটরসাইকেল কতদিন অন্তর সার্ভিস করানো উচিত?
মোটরসাইকেল নির্মাতারা সাধারণত ৩-৬ মাস অন্তর বা প্রতি ২,০০০-৩,০০০ কিলোমিটার ব্যবধানে সার্ভিস করানোর পরামর্শ দেন। তবে এটি নির্ভর করে আপনার বাইকের মডেল, রাস্তাঘাটের অবস্থা এবং ব্যবহার পদ্ধতির উপর।
নতুন মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে:
- প্রথম ৫০০-৭০০ কিলোমিটার চালানোর পর প্রথম সার্ভিস করানো জরুরি।
- দ্বিতীয় ও তৃতীয় সার্ভিস ২০০০ কিলোমিটার এবং ৪০০০ কিলোমিটার পর করানো উচিত।
- প্রথম বছরেই কমপক্ষে ৩-৪ বার সার্ভিস করানো ভালো।
পুরোনো মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে:
- প্রতি ৩,০০০-৫,০০০ কিলোমিটার অন্তর সার্ভিস করানো উচিত।
- দীর্ঘদিন সার্ভিস না করালে ইঞ্জিনের পারফরম্যান্স কমে যেতে পারে।
- ব্রেক, চেইন, ক্লাচ ও সাসপেনশনের অবস্থা নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত।
আরও পড়ুন:- Mutual Fund থাকলেই এই বিরাট সুবিধা আপনিও পাবেন। এক ক্লিকে জেনে নিন
ইঞ্জিন অয়েল কতদিন অন্তর বদল করাতে হবে?
ইঞ্জিন অয়েল মোটরসাইকেলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশকে সচল ও ঠান্ডা রাখে,摩擦 (ঘর্ষণ) কমায় এবং কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তনের সময়:
- মিনারেল বেসড ইঞ্জিন অয়েল: প্রতি ২০০০-২৫০০ কিলোমিটার অন্তর বদলানো উচিত।
- সেমি-সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল: প্রতি ৩০০০-৪০০০ কিলোমিটার অন্তর পরিবর্তন করা ভালো।
- সিন্থেটিক ইঞ্জিন অয়েল: প্রতি ৫,০০০-৭,০০০ কিলোমিটার অন্তর পরিবর্তন করা যায়।
নিয়মিত সার্ভিস ও ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তনের সুবিধা:
- ইঞ্জিনের আয়ু বাড়ে।
- মাইলেজ ভালো থাকে।
- ব্রেক ও ক্লাচ ঠিকমতো কাজ করে।
- দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমে।
- বাইকের যন্ত্রাংশের ক্ষতি কম হয়।
মনে রাখবেন
মোটরসাইকেল দীর্ঘদিন ভালো রাখতে হলে নির্দিষ্ট সময় অন্তর সার্ভিস করানো এবং ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করা অত্যন্ত জরুরি। নিয়মিত যত্ন নিলে বাইকের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং খরচও কম হয়। তাই বাইক চালানোর ধরন ও রাস্তাঘাটের পরিস্থিতি অনুযায়ী সময়মতো সার্ভিস করানো নিশ্চিত করুন।
আরও পড়ুন:- ভবিষ্যতের জন্য শিশুদের এটা শেখান। জানুন কি মত হার্ভার্ড অধ্যাপকের ?
আরও পড়ুন:- এটাই পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্গম জায়গা, যেখানে মানুষ পৌঁছলে আর ফিরতে পারবে না, বিস্তারিত জেনে নিন