Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- আজকের এই আলোচনাতে ডিজিটাল হেলথ আইডি কার্ড নিয়ে কিছু তথ্য সম্পর্কে জেনে নিতে চলেছি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১ তারিখে আয়ুষ্মান ভারত ডিজিটাল হেলথ মিশন (Ayushman Bharat National Digital Health Mission) চালু করেছিলেন। এই মিশনের আওতায় সকল মানুষকে ডিজিটাল হেলথ আইডি কার্ড প্রদান করা হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
ডিজিটাল হেলথ আইডি কার্ড ২০২৫
ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশনের সূচনা করার সময় প্রধানমন্ত্রী ভারতের স্বাস্থ্য সেবা গুলিতে আরও পরিবর্তন আনার কথা জানিয়েছিলেন। আর এই রকমের এই স্কিম পশ্চিমবঙ্গ সরকার শুরু করেছিল যার নাম স্বাস্থ্য সাথী স্কিম। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সকল মানুষদের ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত যে কোন চিকিৎসা সম্পূর্ণ ক্যাশলেস পদ্ধতির মাধ্যমে করা হয়ে থাকে।
ডিজিটাল হেলথ আইডি কার্ড কি?
১) জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে, প্রতিটি ভারতীয় একটি স্বাস্থ্য পরিচয়পত্র পাবেন, যেটি স্বাস্থ্য অ্যাকাউন্ট হিসেবে কাজ করবে।
২) স্বাস্থ্য পরিচয়পত্রটির মধ্যে অনন্য ১৪ সংখ্যার স্বাস্থ্য শনাক্ত করণ নম্বর থাকবে।
৩) ডিজিটাল হেলথ আইডি কার্ডটি ব্যক্তির সমস্ত স্বাস্থ্য সম্পর্কিত তথ্য যেমন ব্যক্তির অতীতের চিকিৎসা অবস্থা, চিকিৎসা এবং রোগ নির্ণয়ের একটি তথ্য ভান্ডার হিসেবে কাজ করবে।
৪) ডিজিটাল হেলথ আইডিতে প্রতিটি রোগ, প্রতিটি পরীক্ষা এবং সমস্ত ডাক্তারের সাথে দেখা করার বিবরণ থাকবে, যার ফলে একজন ব্যক্তির সমস্ত ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার ফলাফল এবং নির্ধারিত রোগের ওষুধের নামের ও রোগের ইতিহাস লেখা থাকবে। প্রতিবার, যখনই কোনও ব্যক্তি কোনো ডাক্তার বা হাসপাতালে যাবেন, তখন সেই ব্যক্তির প্রেসক্রিপশন সহ রোগের বিস্তারিত তথ্য স্বাস্থ্য আইডি কার্ডে লগ ইন করা হবে।
৫) ডিজিটাল স্বাস্থ্য পরিচয় পত্র গুলি ভারতীয় নাগরিকদের সারা দেশে ঝামেলা মুক্ত স্বাস্থ্য সেবা পেতে সাহায্য করবে। স্বাস্থ্য পরিচয় পত্রটি শুধুমাত্র নাগরিকদের সম্মতিতে তাদের স্বাস্থ্য রেকর্ড অ্যাক্সেস করার জন্য ব্যবহার করা যাবে। তাদের অনুমতি ছাড়া এটি অ্যাক্সেস করা যাবে না তাই এটি একটি নিরাপদ।
আরও পড়ুন:- ATM থেকে টাকা তোলার চার্জ আরও বাড়ছে। কবে থেকে, কত খরচ? জেনে নিন
ডিজিটাল হেলথ কার্ডের সুবিধা
১) একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখবে।
২) ডিজিটাল হেলথ আইডি কার্ডের মাধ্যমে রোগী নতুন জায়গায় গিয়ে নতুন ডাক্তারের কাছে গেলেও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য সেই ডাক্তার সহজেই পেয়ে যাবে।
৩) মোবাইল অ্যাপের সাহায্যে সমস্ত ব্যক্তির স্বাস্থ্য রেকর্ড দেখা যাবে। স্বাস্থ্য পরিচয়পত্রটি স্বেচ্ছায় নেওয়া যাবে এবং বিনামূল্যে হবে।
Health ID Card Online Apply
১) জাতীয় ডিজিটাল স্বাস্থ্য মিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট প্রবেশ করুন।
২) হেলথ আইডি বিভাগ অপশনে ক্লিক করুন এবং তারপর ক্রিয়েট হেলথ আইডিতে ক্লিক করুন।
৩) আপনাকে অন্য একটি পেজ ওপেন হবে, যেখানে আপনাকে তিনটি বিকল্প দেওয়া হবে। আধারের মাধ্যমে আপনার স্বাস্থ্য পরিচয়পত্র তৈরি করুন, আমার আধার নেই, আমি স্বাস্থ্য পরিচয়পত্র তৈরির জন্য আমার আধার ব্যবহার করতে চাই না।
৪) যদি আপনি আপনার ডিজিটাল হেলথ আইডি কার্ড তৈরি করতে আধার ব্যবহার করতে চান, তাহলে আপনি প্রথম বিকল্পে ক্লিক করে আপনার ১২ সংখ্যার আধার নম্বর ইনপুট করুন। আপনি দ্বিতীয় বিকল্পে ক্লিক করে আপনার মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে স্বাস্থ্য আইডি তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার আধার আপনার মোবাইল নম্বরের সাথে লিঙ্ক করা আবশ্যক কারণ OTP ভিত্তিক যাচাইকরণ হবে।
আরও পড়ুন:- বিরাট সুখবর! ভারতীয় রেলে ১০ হাজার শূন্যপদে নিয়োগ, আবেদন পদ্ধতি সহ বিস্তারিত দেখুন
আরও পড়ুন:- ফুচকা প্রেমীরা আজই সাবধান হোন ! কি বলছেন ডায়েটিশিয়ান ? জেনে নিন