CPM-এর কেন্দ্রীয় কমিটিতে ‘ক্যাপ্টেন’ মীনাক্ষী, বাংলা থেকে আর কারা? জেনে নিন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

659a748534efc-minakshi-mukherjee-075308167-16x9

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হলেন বাম যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তামিলনাড়ুর মাদুরাইতে সিপিএম-এর ২৪ তম পার্টি কংগ্রেসে চলছিল। রবিবার, পার্টি কংগ্রেসের শেষ দিনে গঠিত হল  সিপিএমের পলিটব্যুরো ও কেন্দ্রীয় কমিটি। বাংলা থেকে ৫  নতুন মুখ এল সিপিএমের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটিতে। তালিকায় নাম আছে যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ, সমন পাঠক, দেবব্রত ঘোষ ও সৈয়দ হোসেনের।

উল্লেখ্য, মাদুরাইয়ের পার্টি কংগ্রেসের জন্য গঠিত প্রেসিডিয়ামে জায়গা পেয়েছিলেন মীনাক্ষী। সাধারণত এই প্রেসিডিয়ামে তাঁরাই জায়গা পান, যাঁদের দল আগামী দিনে নেতৃত্বের উপরের সারিতে তুলে আনতে চায়। মীনাক্ষী প্রেসিডিয়ামে জায়গা পাওয়ার পরই মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হতে চলেছেন। সেই জল্পনাতেই সিলমোহর। মীনাক্ষী ছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ থেকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পেলেন গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ, হুগলির জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ, পূর্ব বর্ধমানের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন, দার্জিলিংয়ের জেলা সম্পাদক সমন পাঠক। বয়সের কারণে এবারে কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ পড়লেন সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব ও রেখা গোস্বামী। আগে বাংলার ১৩ জন সদস্য ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটিতে। এবার ৩ জন বাদ পড়লেন এবং নতুন করে পাঁচজন কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঢুকে পড়লেন। সব মিলিয়ে ৮৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলার সদস্য বেড়ে দাঁড়াল ১৫। পলাশ দাস, কল্লোল মজুমদার, তাপস সিনহা, জামির মোল্লারা দৌড়ে থাকলেও তাঁরা শেষমেশ কেন্দ্রীয় কমিটিতে ঢুকতে পারলেন না।

আরও পড়ুন:- ডকুমেন্ট আপনার, সিমকার্ড তুলেছে অন্য কেউ। কী ভাবে বুঝবেন? জেনে নিন

কেরল সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী এম এ বেবিকে সিপিআইএম দলের নতুন সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত করা হয়েছে। সিপিআইএম দলের ২৪তম দলীয় কংগ্রেস সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সীতারাম ইয়েচুরির মৃত্যুর পর থেকে এই পদটি খালি ছিল। রবিবার তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ে সিপিআইএম পার্টি কংগ্রেসের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় দলের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে এম এ বেবির নাম অনুমোদিত হয়।

এম এ বেবি কে?
৭০ বছর বয়সী এমএ বেবি (মারিয়াম আলেকজান্ডার বেবি) সিপিআইএম-এর ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্ট ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া থেকে সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন। এর পরে, বেবি দলের যুব শাখা, ডেমোক্র্যাটিক ইয়ুথ ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ায় যোগ দেন। তিনি ১৯৮৬ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত সিপিআইএম-এর রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। এম এ বেবি ছাড়াও সিপিআই(এম)-এর সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে সর্বভারতীয় কিষাণ সভার সভাপতি অশোক ধাওয়ালের নামও ছিল। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সীতারাম ইয়েচুরির মৃত্যুর পর থেকে সিপিআইএমের সাধারণ সম্পাদকের পদটি শূন্য ছিল। এতদিন প্রকাশ কারাত সাময়িকভাবে দলের সাধারণ সম্পাদক পদের দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন।

সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, এমএ বেবি হলেন কেরলের  দ্বিতীয় নেতা যিনি সিপিআইএম-এর প্রধান হলেন। তার আগে, ই এম নাম্বুদিরিপাদও এই দায়িত্ব পালন করেছিলেন। পলিটব্যুরোর ১৬ জন সদস্যের মধ্যে ১১ জন সদস্য এম এ বেবির নাম সমর্থন করেছিলেন। এমএ বেবি কেরলের কোল্লাম জেলার প্রাক্কুলাম এলাকার বাসিন্দা।

এদিকে সূত্রের খবর, বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পরও কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে রেখে দেওয়া হচ্ছে পলিটব্যুরোতে। পলিটব্যুরোতে বাংলা থেকে জায়গা পাচ্ছেন শ্রীদীপ ভট্টাচার্য। এর বাইরে রাজস্থানের সাংসদ আমরা রাম, তামিলনাড়ুর ইউ বাসুকি, মরিয়ম ধাওলেরা পলিটব্যুরোতে ঠাঁই পেয়েছেন। ত্রিপুরা থেকে মানিক সরকারের বদলে পলিটব্যুরোতে এলেন দলের রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী। পলিটব্যুরোর আমন্ত্রিত সদস্য হিসাবে রেখে দেওয়া হচ্ছে প্রকাশ কারাট, মানিক সরকার ও বৃন্দা কারাটকে। তবে কেন্দ্রীয় কমিটিতে কারা থাকবেন, সেটা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে।

আরও পড়ুন:- টার্গেট পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় কর্মচারীকে কুকুরের মতো হাঁটানো হল, কোথায় ঘটলো এমন ঘটনা ?

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন