Bangla News Dunia, Pallab : বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অভ্যন্তরীণ উড়ান বাজার হল ভারত। চলতি দশকের শেষ নাগাদ দেশে বিমানযাত্রীর সংখ্যা ৩০ কোটিতে পৌঁছে যাবে। চাহিদা বাড়ায় উড়ান সংস্থাগুলি আরও ১,৭০০টি যাত্রীবিমান কেনার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। বিদেশ থেকে বিমান আমদানির পাশাপাশি এবার এদেশেও বিমান তৈরির উদ্যোগ গতি পেয়েছে। সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে মাঝারি দূরত্বের ছোট বিমান হানসা-৩ এনজি (Hansa-3 NG)।
আরও পড়ুন : কোন রাশির জন্য কোন রঙ পরা শুভ? জেনে নিন
কাউন্সিল অফ সায়েন্টেফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ (সিএসআইআর) এবং ন্যাশনাল এরোস্পেস ল্যাবরেটারিজের (ন্যাল) যৌথ উদ্যোগে ওড়ার ছাড়পত্র পেয়েছে দেশে তৈরি প্রথম বিমান। জ্বালানি সাশ্রয়কারী এই বিমানটি দিন-রাত যে কোনও সময় ৬২০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত ওড়ার ক্ষমতা রাখে। একটানা ৭ ঘণ্টা আকাশে থাকতে পারে নতুন প্রজন্মের হানসা-৩। কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তথা ভূ-বিজ্ঞান মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, ভারতে যাত্রী সংখ্যার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিমানচালকদের চাহিদাও বাড়ছে। আগামী দু-দশকে দেশে এখনকার চেয়ে ৫ গুণ বিমানচালকের প্রয়োজন হবে। চালকদের প্রশিক্ষণের জন্য দরকার পড়বে বহু ছোট বিমানের। সেই চাহিদা পূরণ করবে ভারতের হানসা-৩।
এতদিন দেশের ছোট বিমানের বাজারে একচেটিয়া ব্যবসা করেছে বিদেশি সংস্থাগুলি। হানসা-৩ তাতে ছেদ টানতে চলেছে। সম্প্রতি বিমানটি বাণিজ্যিক উৎপাদনের ছাড়পত্র পেয়েছে। সিএসআইআর ও ন্যালের সাহায্যে বেঙ্গালুরুতে গড়ে উঠেছে হানসার উৎপাদনকেন্দ্র। প্রাথমিকভাবে এখানে বছরে ৩৬টি বিমান তৈরি হলেও পরে তা ৭২-এ নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘হানসা-৩ এনজি হল একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন। এর ফলে ফ্লাইং ক্লাবগুলির চালকদের প্রশিক্ষণ দিতে সুবিধা হবে। যা ভারতে শখের উড়ান সংস্কৃতিকেও উৎসাহিত করবে। নজরদারি, আকাশপথে আলোকচিত্র, পরিবেশ পর্যবেক্ষণ সহ বহু ক্ষেত্রে যুগান্তর আসবে।’ বর্তমানে ভারতে যেসব ছোট বিমান বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় সেগুলির দাম পড়ে ৬ কোটি টাকা বা তারও বেশি। দেশে তৈরি হানসার দাম ৩ কোটি টাকার আশপাশে থাকবে।