Bangla News Dunia, দীনেশ :- শুধু নির্বাচনি সাফল্য ছোঁয়াই নয়, সাংগঠনিক ক্ষমতা বৃদ্ধির দিকেও এবার নজর দিচ্ছে কংগ্রেস (Congress)। দীর্ঘ ১১ বছরের মোদি জমানায় বিজেপি বিশ্বের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ পরে আরএসএসের সাংগঠনিক প্রতিপত্তিও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। উলটোদিকে গত ১১ বছরে একের পর এক রাজ্যে কংগ্রেস সাইনবোর্ডে পরিণত হয়েছে। এই অবস্থায় কংগ্রেসকে ঘুরে দাঁড় করাতে মহাত্মা গান্ধি, সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের স্মৃতিবিজড়িত গুজরাটে (Gujarat) মঙ্গলবার থেকে শুরু হল বর্ধিত কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক এবং এআইসিসির অধিবেশন।
আরও পড়ুন:- বেকারদের প্রশিক্ষণ দিয়ে চাকরি দেবে কলকাতা পুরনিগম, জেনে নিন বিস্তারিত
সবরমতীর তীরে আয়োজিত ওই বৈঠকে এদিন যোগ দিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে, সিপিপি চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধি, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি প্রমুখ শীর্ষ নেতৃত্ব। ছিলেন কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীরাও। তবে ওয়েনাডের সাংসদ প্রিয়াংকা গান্ধি ভদরা অনুপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেসের ১৪০ বছরের ইতিহাসে গুজরাটের মাটিতে এই নিয়ে ষষ্ঠবার এআইসিসি অধিবেশন বসল। ন্যায়পথ শীর্ষক অধিবেশনে মূলত কংগ্রেসের সাংগঠনিক খোলনলচে বদলানোর বার্তা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে কীভাবে বিজেপি-আরএসএসের মোকাবিলা করা হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সর্দার প্যাটেলকে উদ্ধৃত করে খাড়গে বলেন, ‘সাংগঠনিক ক্ষমতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সংগঠনকে বাদ দিয়ে সংখ্যার পিছনে দৌড়োনো নিরর্থক।’
আরও পড়ুন:- ডায়মন্ড হারবারে ভোটে কারচুপি করে জিতেছেন অভিষেক! শুনানি হবে হাইকোর্টে
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্যে কংগ্রেস ক্ষমতাচ্যুত প্রায় তিন দশক। গুজরাটে ২০২৭ সালে বিধানসভা ভোট। তার আগে দেশের অন্যত্র তো বটেই, মোদির রাজ্যেও কংগ্রেসের সর্বস্তরে খোলনলচে বদলানোর যে বার্তা এদিন দেওয়া হয়েছে তাতে পরিষ্কার, গেরুয়া শিবিরকে খোলা মাঠ ছাড়তে রাজি নয় হাত শিবির। আর সেটা মতাদর্শকে আঁকড়ে ধরেই করতে চাইছে কংগ্রেস। এদিন খাড়গে অভিযোগ করেন, বিজেপি ও আরএসএস জাতীয় মনীষীদের বিরুদ্ধে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করছে। রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘একদিকে সাম্প্রদায়িক বিভাজনের মাধ্যমে মূল ইস্যুগুলির ওপর থেকে নজর ঘোরানো হচ্ছে। অন্যদিকে দেশের সম্পদ দখল করে অলিগার্কিক মোনোপলি (মুষ্টিমেয় ধনকুবেরদের একচেটিয়া শাসন) সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে।’ তিনি বলেন, গত ১৪০ বছর ধরে দেশসেবা এবং লড়াই করার উজ্জ্বল ইতিহাস থাকা সত্ত্বেও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একটি পরিবেশ গড়ে তোলা হচ্ছে। এই কাজটি তাঁরাই করছেন যাঁদের নিজেদের সাফল্য বলতে কিছুই নেই। স্বাধীনতা সংগ্রামে তাঁদের কোনও অবদানই নেই। গেরুয়া শিবির জওহরলাল নেহরুর সঙ্গে সর্দার প্যাটেলের বিরোধের মনগড়া কাহিনী তুলে ধরছে বলেও অভিযোগ করেন খাড়গে। তাঁর কথায়, ‘স্বাধীনতা আন্দোলনের দুই মহান নায়ক সর্দার প্যাটেল এবং পণ্ডিত নেহরু একে অন্যের বিরোধী ছিলেন বলে তুলে ধরা হচ্ছে। অথচ সত্যিটা হল, তাঁরা দুজনেই একই মুদ্রার অভিন্ন দিক ছিলেন। তাঁদের মধ্যে যে সুসম্পর্ক ছিল সেই সূত্রে একাধিক নথি ও ঘটনার ইতিহাস আছে।’ প্রথম দিনের অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী, পিসিসি সদস্য সহ ১৫৮ জন সদস্য ছিলেন।
আরও পড়ুন:- মাথার সামনের চুল গজানোর ঘরোয়া উপায় জেনে নিন