Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে গত শুক্রবার অশান্ত হয়ে উঠেছিল মুর্শিদাবাদ। যদিও বর্তমানে মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। রবিবার সংবাদমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষ পদাধিকারী ডিজি রাজীব কুমার। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষকে গুজবে কান না দিয়ে, সর্তক থাকার অনুরোধ করেন তিনি। ডিজির সঙ্গেই থাকা জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার আনন্দ রায় জানিয়েছেন, আগের থেকে পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। তবে এলাকায় টহলদারি বজায় রয়েছে। এদিকে অন্য রাজ্যের ছবিকে মুর্শিদাবাদের অশান্তির ছবি হিসাবে দেখানো হচ্ছে। বিজেপি-র ফেসবুক পেজের ছবি শেয়ার করে জানাল রাজ্য পুলিশ।
মুর্শিদাবাদের কিছু জায়গায় অশান্তি প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় বঙ্গ–বিজেপির পোস্ট করা ছবিকে ‘ফেক’ বলে চিহ্নিত করেছে রাজ্য পুলিশ। বঙ্গ–বিজেপির এক্স হ্যান্ডলে রবিবার গুচ্ছ ছবির ওই কোলাজ পোস্ট করা হয়। প্রতিটি ছবির নীচে কোনও না কোনও উৎসব–অনুষ্ঠানের নাম লেখা। পোস্টে ছবিগুলির সঙ্গেই লেখা — ‘কী উৎসব হচ্ছে সেটা কোনও বিষয় নয়, জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য একটি অজুহাতই যথেষ্ট।’ ওই পোস্টটি ‘ফেক’ (ভুয়ো) বলে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ। রাজ্য পুলিশের দাবি, বিজেপির পোস্টটি ভুয়ো। ঘটনাগুলির বেশির ভাগ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী আন্দোলনের সময়ের বলে দাবি পুলিশের। । শুধু তা-ই নয়, গুজব বা ভুয়ো খবর রুখতে কিছু পদক্ষেপও করেছে পুলিশ। বিশেষ নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়েছে, রবিবার থেকে আগামী মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত মুর্শিদাবাদের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হচ্ছে। শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, জেলা সংলগ্ন মালদা এবং বীরভূমের বেশ কিছু এলাকাতে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের কথা জানানো হয়েছে।
স্ট প্রসঙ্গে অবশ্য তার আগেই সুর চড়িয়েছিল তৃণমূল। কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন , “বিজেপি গন্ডগোলের ছবি দেখিয়ে মিথ্যা প্রচার শুরু করেছে। বিজেপি নেতারা তাঁদের সামাজিক মাধ্যমে যে ছবিগুলো পোস্ট করেছেন, সেগুলো মুর্শিদাবাদের এই ঘটনার নয়।” কুণাল ঘোষ আরও জানিয়েছিলেন , “ছবি আইডেন্টিফায়েড হয়েছে, একটা লখনউয়ের ছবি, এনআরসি-র প্রতিবাদের, বাড়িতে আগুন লাগানোর আরেকটা ছবি জলন্ধরের, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশের অন্য ঘটনার ছবি ছড়ানো হচ্ছে।” তৃণমূল নেতার অভিযোগ ছিল, বাংলায় একটা বড় গন্ডগোলের প্রেক্ষিত তৈরি করার জন্য চেষ্টা চলছে। কুণাল ছাড়াও গেরুয়া ব্রিগেডের বিরুদ্ধে ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ তুলে সাগরিকা ঘোষ, সুস্মিতা দেব, সাকেত গোখলে–সহ একের পর এক তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে থাকে জোড়াফুল শিবির।
আরও পড়ুন:- ভিন রাজ্যের অশান্তির ছবি দেখিয়ে মুর্শিদাবাদের নামে প্রচার করা হচ্ছে, অভিযোগ তৃণমূলের
আরও পড়ুন:- ওষুধে ৫০% থেকে ৯০% ছাড় । কোন জায়গা থেকে কিনবেন দেখুন