Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় চাকরি হারিয়েছেন প্রায় 26,000 শিক্ষক। যোগ্য ও অযোগ্য নির্ধারণ না করেই গোটা প্যানেল বাতিল করায় শিক্ষা ব্যবস্থায় দেখা দিয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। রাজ্য প্রশাসন উদ্বিগ্ন, আন্দোলনে সরব চাকরি হারা শিক্ষকরা। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে দায়ের করেছে ক্লারিফিকেশন পিটিশন।
সেই আবেদনে রাজ্যের দাবি, নিয়োগ প্রক্রিয়া সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে তিন মাসের মধ্যে শেষ করা হবে ৷ কিন্তু, আদালত যদি যোগ্য-অযোগ্যদের পৃথক তালিকা না দেয়, তাহলে প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে বাধা তৈরি হবে। রাজ্যের অনুরোধ, যতদিন নতুন নিয়োগ না হয়, ততদিন যেন চাকরি হারানো শিক্ষকরা বেতন পান। কারণ, বহু মানুষ ইতিমধ্যেই জীবিকা হারিয়ে দিশেহারা। এমনকি আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে।
আরও পড়ুন:- রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি একেবারে বন্ধ হচ্ছে! ভর্তুকি পেতে হলে আজই এই কাজ সেরে নিন
প্রসঙ্গত, মার্চ মাসের বেতন তারা পেয়ে গিয়েছেন 1 এপ্রিলেই। কিন্তু, এপ্রিলের বেতনের রিকুইজিশন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ 17 এপ্রিল— যেই দিনেই এই মামলার শুনানি নির্ধারিত। আদালত যদি সরকারের পক্ষেই অবস্থান না নেয়, তাহলে শুধু নিয়োগই নয়, বেতন নিয়েও তৈরি হতে পারে বড় সঙ্কট। সাধারণত এক-দু’দিন সময় বাড়ানোর সুযোগ থাকলেও পরিস্থিতি জটিল হলে প্রশাসনের জন্য তা যথেষ্ট নাও হতে পারে।
রাজ্য সরকারের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, তারা আশাবাদী আদালত বিষয়টিকে মানবিকভাবে দেখবে। এতগুলি শিক্ষকের ভবিষ্যৎ এবং তাঁদের পরিবার-নির্ভর জীবনের দিক বিবেচনায় আদালত সহানুভূতির চোখে দেখবেন বলেই তাদের বিশ্বাস। সব মিলিয়ে 17 এপ্রিল হয়ে উঠেছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ দিন ৷ সেই দিনেই নির্ধারিত হবে চাকরি হারানো শিক্ষকরা বেতন পাবেন কি না, এবং রাজ্য সরকার আদৌ কোন পথে হাঁটবে।
আরও পড়ুন:- মুর্শিদাবাদ-ভাঙড় হিংসায় বাংলাদেশি জিহাদিদের হাত, রিপোর্ট কেন্দ্রের