Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- এক সময় বিয়ের ছাদনাতলায় যাওয়ার আগে পর্যন্ত বর-কনে কেউ কারও মুখও চিনতেন না। সেই সুযোগে ছোট মেয়েকে দেখিয়ে, পরে বড় মেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সে বহুযুগ আগের কথা। বাপ-ঠাকুরদার মুখে অনেকেই শুনেছেন। কিন্তু এযুগেও যে এমন ঘটনা(বরং তার চেয়েও সাংঘাতিক) ঘটতে পারে, ভাবা যায়?
উত্তরপ্রদেশের মীরাটে এক যুবকের অভিযোগ, তাঁকে ঠকিয়ে হবু স্ত্রীর মায়ের সঙ্গেই তাঁর বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই আজব ঘটনায় হতভম্ব পুলিশও।
পুলিশ সূত্রে খবর, মীরাটের ব্রহ্মপুরীর বাসিন্দা ২২ বছর বয়সী মহম্মদ আজিম অভিযোগ করেন, তাঁর দাদা নদীম ও বউদি শায়দা, শামলির বাসিন্দা মনতাশার সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক করেছিলেন। সেই মতো ৩১ মার্চ বিয়ের আয়োজন হয়।
বিয়ের সময় মৌলবী কনের নাম বলেন তাহিরা। আজিম জানান, সেই সময় বিষয়টি খেয়াল করেননি। কিন্তু বিয়ের পরে পর্দা সরিয়ে কনের মুখ দেখেই তিনি চমকে যান। তাঁর দাবি, তখনই বুঝতে পারেন তাঁর সঙ্গে যাঁর বিয়ে দেওয়া হয়েছে, তিনি মোটেও ২১ বছরের যুবতী নন। একটু ভেবে দেখতেই চিনতে পারেন, আরে! ইনি তো মনতাশার ৪৫ বছরের বিধবা মা! অর্থাৎ, এঁকেই এতদিন হবু শাশুড়ি ভেবেছিলেন। অথচ তাঁর সঙ্গেই বিয়ে দিয়ে দেওয়া হল, ঘুণাক্ষরেও টের পেলেন না। অল্পবয়সী মনতাশা নয়, তাঁর মা তাহিরাকেই কনের সাজে বিয়ের আসরে হাজির করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:- বড় খবর! এবার থেকে মাতৃভূমি লোকালে উঠতে পারবেন পুরুষরাও ।
আজিমের দাবি, এই বিয়েতে মোট ৫ লক্ষ টাকার লেনদেনও হয়েছে। কিন্তু পরে প্রতারণার বিষয়টি জানতে পেরে তিনি প্রতিবাদ করেন। আর তখনই দেখেন, পুরো বিষয়টি আগে থেকেই জানতেন তাঁর নিজের দাদা-বৌদি। ওঁরা উল্টে তাঁকে ধর্ষণের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন বলেও পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন আজিম।
এই ঘটনার পর আজিম গত বৃহস্পতিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টির তদন্ত শুরু করে ব্রহ্মপুরী থানার পুলিশ। পরে অবশ্য আজিম অভিযোগ তুলে নেন। তদন্তের দায়িত্বে থাকা সার্কেল অফিসার সৌম্যা আস্থানার বক্তব্য, ‘দুই পক্ষের মধ্যে আপসে সমঝোতা হয়েছে। আজিম তাঁর অভিযোগ তুলে নিয়েছেন এবং জানিয়েছেন, তিনি আর কোনও আইনি পদক্ষেপ নিতে চান না।’
কিন্তু এমন ঘটনা কি আর চাপা থাকে? খবর চাউর হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মীরাটে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে আজিমের এই কাহিনি। হবু বররা অনেকেই বেশ টেনশনে পড়ে গিয়েছেন। বিয়ের আসরে ভাল করে বউয়ের মুখ যাচাই করে নেওয়ারও পরামর্শ দিচ্ছেন অনেকে।
তবে কেন এমন প্রতারণা করা হল? বিয়ের দিন মনতাশাই বা কোথায় ছিলেন? এই প্রশ্নগুলি এখনও ভাবাচ্ছে সকলকে। একইসঙ্গে আজিমের দাদা-বৌদির এতে কি স্বার্থ, তাই নিয়েও প্রশ্ন করছেন অনেকে।
আরও পড়ুন:- ঠিক এই ভুলে গরমে বার্স্ট করে ফ্রিজ, সাবধান না হলেই শেষ…