গ্রীষ্ম আসতেই জলসঙ্কট, পরিস্থিতি সামাল দিতে কী নির্দেশ মুখ্যসচিবের ? জানুন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- পশ্চিমাঞ্চলে জলসঙ্কটের পরিস্থিতি সামাল দিতে জেলাশাসকদের কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ৷ বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দিতে জোর দেওয়ার নির্দেশ দিলেন তিনি ৷

গ্রীষ্ম এলেই পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে জলসঙ্কট যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে । এবছর পরিস্থিতি আরও জটিল । অনেক জায়গাতেই কয়েক মাস আগেই জলসঙ্কট প্রকট হয়েছে । বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম কিংবা পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ একাধিক প্রান্ত থেকে জল না পাওয়ার অভিযোগ উঠে এসেছে বারবার ।

এই অবস্থায় কোনও ঝুঁকি নিতে নারাজ রাজ্য সরকার । ‘জল নেই’, সাধারণ মানুষের মুখে এমন কথা আর শুনতে চায় না নবান্ন । শনিবার রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এক উচ্চপর্যায়ের পর্যালোচনা বৈঠকে রাজ্যের এক ডজনেরও বেশি দফতরের কাজকর্ম খতিয়ে দেখেন । ভিডিয়ো বৈঠকে পশ্চিমাঞ্চলের জেলাশাসকদের কড়া নির্দেশ দেন তিনি ৷ বলেন, “ঘরে ঘরে কল থাকলেই হবে না, জলও আসতে হবে ঠিকঠাক । অভিযোগ উঠবে না, তা নিশ্চিত করতে হবে এখনই ।” বিশেষ নজর জল জীবন মিশন প্রকল্পের দিকে ।

আরও পড়ুন:- পুরুলিয়ায় ভূতের আতঙ্ক ! ভয় কাটাতে রাত্রিযাপন করবে বিজ্ঞান মঞ্চ । জানুন বিস্তারিত

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য, 2026 সালের মার্চ মাসের মধ্যেই রাজ্যের প্রতিটি গ্রামীণ বাড়িতে পানযোগ্য জল পৌঁছে দেওয়া । সেই লক্ষ্যে কাজ চলছে ৷ তবে এখনও বহু জায়গায় প্রকল্প পৌঁছলেও জল পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ । তাই গরম পড়ার আগেই সমস্যা ঠেকাতে মাঠে নামতে বললেন মুখ্যসচিব । পর্যালোচনা বৈঠকে জল ছাড়াও আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দিকনির্দেশ দেন মনোজ পন্থ ।

জেলায় জেলায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য দু’তলা বিশিষ্ট শপিং মল গড়ে তোলার পরিকল্পনার কাজ ত্বরান্বিত করতে বলেন তিনি । ইতিমধ্যেই ন’টি মল তৈরির অনুমোদন দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভা, যার মধ্যে দুটি হবে জলপাইগুড়িতে । মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছা অনুযায়ী, প্রতিটি জেলায় এরকম অন্তত একটি করে মল তৈরি হবে । সেই লক্ষ্যে ভূমি চিহ্নিতকরণ এবং নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব ।

পাশাপাশি, বর্ষা শুরু হওয়ার আগে ডেঙ্গি ও ম্যালারিয়া রুখতে স্বাস্থ্য দফতরকে আগাম প্রস্তুতির নির্দেশ দেন মুখ্যসচিব । কৃষি ও সেচ দফতরের কাজের অগ্রগতিও খতিয়ে দেখেন । সব মিলিয়ে গ্রীষ্মের আগেই বিপদের আঁচ পেয়ে প্রস্তুত নবান্ন । আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে জলসঙ্কট রুখতেই এহেন সক্রিয়তা বলে মনে করছে প্রশাসনিক মহল ।

আরও পড়ুন:- কীভাবে ও কারা হিংসা ছড়াল মুর্শিদাবাদে? জানুন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন