Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- মাথাব্যথা অনেকের কাছেই এক সাধারণ সমস্যা মনে হলেও, এর পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। শুধু ক্লান্তি বা মানসিক চাপে নয়, মাথাব্যথা হতে পারে রক্তচাপ, চোখের সমস্যা, জরায়ুমুখের (সার্ভিকাল) স্নায়ুর টান, এমনকি গ্যাস্ট্রিক বা নিউরো সমস্যা থেকেও। তাই উপসর্গ বুঝে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
রক্তচাপ বেড়েছে? মাথাব্যথা হতে পারে সতর্ক সংকেত
উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের রক্তনালীগুলির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়, যার ফলে মাথার পিছনের দিকে ভারী ভাব বা হালকা ঝিনঝিনে ব্যথা অনুভূত হয়, বিশেষত সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর।
লক্ষণ: মাথার পিছনে চাপ, মাথা ঘোরা, চোখের সামনে অন্ধকার দেখা, রক্তচাপ ১৪০/৯০ এর উপরে।
করণীয়: নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা ও জরুরি প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া।
চোখের সমস্যা মানেই মাথাব্যথা?
দীর্ঘক্ষণ স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে চোখে ক্লান্তি আসে এবং এর প্রভাব পড়ে কপালের মাঝে বা ভ্রুর মধ্যে ব্যথায়।
লক্ষণ: চোখ জ্বালা, মনোযোগে ঘাটতি, কপালের মাঝে ভারী ভাব।
করনীয়: বছরে একবার চোখ পরীক্ষা, ২০-২০-২০ নিয়ম মেনে চলা।
আরও পড়ুন:- দেড় টনের এসি রোজ ৫ ঘণ্টা চললে কত বিল আসবে মাসে? দেখে নিন হিসেব
সার্ভিকাল স্পন্ডিলাইটিসের ছায়ায় মাথাব্যথা
কম্পিউটার বা মোবাইলে দীর্ঘক্ষণ থাকার ফলে ঘাড়ের স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ে, যা মাথার পিছন থেকে শুরু করে কানের উপরেও ব্যথা সৃষ্টি করে।
লক্ষণ: ঘাড় শক্ত হওয়া, একটানা বসে থাকলে ব্যথা, কাঁধ বা হাতে ঝিঁঝিঁ ভাব।
করনীয়: সঠিক ভঙ্গিমায় কাজ, ঠিক বালিশ ব্যবহার, নিয়মিত ফিজিওথেরাপি।
পেটে গ্যাস মানেই মাথায় ব্যথা?
গ্যাস্ট্রিকের কারণে মাথায় চাপের মতো ব্যথা হতে পারে, যা খাবার পর আরও বেড়ে যায়।
লক্ষণ: মাথার দু’পাশে ব্যথা, পেটে জ্বালা, ঢেকুর, বমি বমি ভাব।
করনীয়: ঝাল-ভাজা খাবার এড়িয়ে চলা, হালকা গরম জলে লেবু বা জিরা খাওয়া।
স্নায়বিক সমস্যা: বড় রোগের পূর্বাভাস হতে পারে
প্রচণ্ড মাথাব্যথা, ঘন ঘন বমি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া বা দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা—সবই হতে পারে স্নায়ুবিক সমস্যার লক্ষণ। মাইগ্রেনের পাশাপাশি, মস্তিষ্কে টিউমার বা রক্তক্ষরণও মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
লক্ষণ: তীব্র ব্যথা, ঘুমে ব্যাঘাত, ব্যক্তিত্বের পরিবর্তন, অজ্ঞান হওয়া, দৃষ্টি ও কথায় সমস্যা।
করনীয়: দ্রুত স্নায়ু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ও MRI সহ অন্যান্য পরীক্ষা।
ঘন ঘন মাথাব্যথাকে অবহেলা করা উচিত নয়। উপসর্গ অনুযায়ী কারণ শনাক্ত করে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া দরকার। একাধিক লক্ষণ একসঙ্গে থাকলে স্বাস্থ্যের ওপর খেয়াল রাখা এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
আরও পড়ুন:- বাড়ি বাড়ি আর পৌঁছবে না রান্নার গ্যাস! চরম দুর্ভোগের মুখে গ্রাহকরা! সমাধানের উপায় জেনে নিন