Bangla News Dunia, Pallab : পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার (Pahalgam Terror Attack) জবাবে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। সেই সঙ্গে এবার সর্বদলীয় বৈঠকের (All party meeting) ডাক দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টায় এই বৈঠক শুরু হবে। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের (Defence Minister Rajnath Singh) নেতৃত্বে এই সর্বদলীয় বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাও (Home Minister Amit Shah)।
আরও পড়ুন : পহেলগাঁও হামলায় কোন 5 কড়া পদক্ষেপ নিলো ভারত ? জানতে বিস্তারিত পড়ুন
দেশে নিরাপত্তা বিষয়ক কোনও সমস্যা দেখা দিলে এই সর্বদল বৈঠক ডাকাটাই স্বাভাবিক। এর আগে পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের আগে কোনও সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়নি। সেবার অতর্কিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী খতম করেছিল জঙ্গিদের। তবে এবার পহেলগাঁওয়ে নিরীহ মানুষদের যেভাবে খুন করেছে জঙ্গিরা, তাতে দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি হামলাকারীদের উপযুক্ত শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন সকলে। এই পরিস্থিতিতে দেশ কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিলে সেক্ষেত্রে সব রাজনৈতিক দলকে একসঙ্গে নিয়ে একতা দেখানোর প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। পাশাপাশি সব রাজনৈতিক দল একসঙ্গে মিলে কোনও সিদ্ধান্ত নিলে সমালোচনার কোনও জায়গা থাকবে না। সেই কথা মাথায় রেখেই সকলকে একসঙ্গে নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে এই বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে বুধবার মোদির বাসভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকের পরই বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি জানিয়ে দেন, আপাতত স্থগিত করা হচ্ছে সিন্ধু জলচুক্তি। অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ওয়াঘা-অটারি সীমান্ত। বাতিল করা হয়েছে পাকিস্তানের নাগরিকদের সার্ক ভিসা। এছাড়াও নয়াদিল্লিতে অবস্থিত পাকিস্তান হাইকমিশনে নিযুক্ত সমস্ত সামরিক উপদেষ্টাদের সরিয়ে নেওয়া হবে। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারতে থাকা হাইকমিশনের আধিকারিক সংখ্যাও আগামী ১ মে থেকে ৫৫ থেকে ৩০-এ নামিয়ে আনতে বলা হয়েছে। এই আবহেই বৃহস্পতিবার সকালে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটিও জরুরি বৈঠকে বসতে চলেছে। তাই ভারতের সর্বদলীয় বৈঠকের পাশাপাশি পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকেও শেষ পর্যন্ত কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, সেই নিয়েই কৌতূহল রয়েছে সব মহলে।