Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- জঙ্গিদের সাহায্য ও প্রশিক্ষণ দেওয়ার কথা স্বীকার করল খোদ পাকিস্তানই। দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রী একথা স্বীকার করেছেন। যদিও তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছে। পাকিস্তান যে সন্ত্রাসবাদকে লালন পালন করে তা কয়েক যুগ ধরেই বলে আসছে ভারত। এবার সে কথা স্বীকার করে নিল পাকিস্তান। পহেলগাঁওয়ে ২৬ জনের খুনের পিছনেও পাকিস্তানের হাত রয়েছে।
সাংবাদিক ইয়ালদা হাকিম সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে সমর্থন করার পাকিস্তানের দীর্ঘ ইতিহাস সম্পর্কে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করেন। জবাবে খাজা আসিফ বলেন, ‘আমরা তিন দশক ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমাদের জন্য, যার মধ্যে ব্রিটেনও রয়েছে, এই নোংরা কাজটি করে আসছি।’ তবে, তিনি দ্রুত উল্লেখ করেছিলেন যে এটি একটি ভুল ছিল এবং পাকিস্তানকে এর জন্য ফল ভোগ করতে হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যদি সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ও পরবর্তীতে ৯/১১ হামলার পরে যুদ্ধে যোগ না দিতাম, তাহলে পাকিস্তানের একটি ভাল ট্র্যাক রেকর্ড থাকত।’
সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ঠান্ডা যুদ্ধের সময় আমেরিকাকে সমর্থন করেছিল পাকিস্তান। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে আল-কায়েদার জঙ্গি হামলার পর আফগানিস্তানে তাদের আক্রমণকেও সমর্থন করেছিল পাকিস্তান। আসিফ এমনকি এটাও দাবি করেন যে আফগানিস্তানে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সন্ত্রাসবাদীর প্রক্সি হিসেবে ব্যবহার করেছিল আমেরিকা।
পাকিস্তানের মন্ত্রী ‘সর্বাত্মক যুদ্ধ’ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন
পহেলগাঁও হামলার জবাব দেওয়া হবে আগেই জানিয়ে দিয়েছে ভারত। তাই ভয় ধরেছে পাকিস্তানের মনে। তা পাকিস্তানি মন্ত্রীদের কথাবার্তাতেই পরিষ্কার হয়ে যাচ্ছে। তবে, আসিফ অভিযোগ করেছেন যে পহেলগাঁও হামলা পরিকল্পনা করেই ভারত করিয়েছে। যাতে এই অঞ্চলে, বিশেষ করে পাকিস্তানের জন্য সংকট তৈরি করা যায়। সাক্ষাৎকারে আসিফ নির্লজ্জভাবে দাবি করেছেন যে লস্কর-ই-তইবার আর অস্তিত্ব নেই এবং তিনি কখনও দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের কথা শোনেননি। তিনি বলেন, ‘লস্কর একটি পুরানো নাম। এর অস্তিত্ব নেই। আমাদের সরকার স্পষ্টভাবে এর (পহেলগাঁও হামলা) নিন্দা করেছে। পাকিস্তান কয়েক দশক ধরে সন্ত্রাসবাদের শিকার।’
২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের মতো ভারতের সম্ভাব্য সামরিক জবাবের বিষয়ে পাকিস্তান কি উদ্বিগ্ন? উত্তরে আসিফ ‘পুরোদস্তুর যুদ্ধ’ সম্পর্কে সতর্ক করে দেন। আসিফ বলেন, ‘যদি কোনও সর্বাত্মক আক্রমণ বা এই জাতীয় কিছু হয়, তবে অবশ্যই একটি পুরোদস্তুর যুদ্ধ হবে। দুটি পরমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘর্ষ সর্বদা উদ্বেগজনক।’
আরও পড়ুন:- সম্পূর্ণ বন্ধ বাণিজ্য! কত কোটির ক্ষতির মুখে প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান ? জেনে নিন