শহরের বস্তিবাসীদের জন্য বড় ঘোষণা মেয়রের ৷

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

firhad

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- বস্তিবাসীদের জন্য বড় ঘোষণা । চাইলেই বস্তির জমিতে আর প্রোমোটাররাজ নয় । মিলবে সরকারি প্রকল্পে বাংলার বাড়ি । ঠিকা টেনেন্সির তরফে জারি হয়েছে নয়া নির্দেশিকা । কলকাতার সব বস্তি শুক্রবার থেকে ঠিকা টেনেন্সির আওতায় চলে এল । একই সঙ্গে মে মাসের শুরু থেকে চালু হচ্ছে ঠিকা প্রজাস্বত্ব নাম পরিবর্তন । এমনটাই ঘোষণা করেছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম ৷

বেশ কিছুদিন আগেই ভবানীপুর এলাকার একটি বস্তিতে আগুনের ঘটনা ঘটে ৷ সেখানে তড়িঘড়ি পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম । সেই সময় বস্তিবাসীদের থেকে তিনি জানতে পেরেছিলেন, প্রোমোটিং করবে বলেই ইচ্ছাকৃতভাবে বস্তিতে লাগানো হয়েছিল আগুন । পরবর্তী সময় টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে বস্তিবাসীদের তরফে অভিযোগ আসে, তাঁরা আশঙ্কা করছেন উচ্ছেদের । প্রোমোটারদের হুমকি পাচ্ছেন তাঁরা । এরপরেই বস্তিবাসীদের জন্য কী করা যায় চিন্তাভাবনা শুরু করেছিল কলকাতা পুরনিগম । মেয়রের নির্দেশে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছিল বস্তি বিভাগ ও কলকাতার ঠিকা ডেপুটি কন্ট্রোলার ।

শুক্রবার বস্তিগুলিতে ঠিকার আওতায় আনা নিয়ে সেই নির্দেশিকা জারি হয় । এই বিষয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, “আজ থেকে কলকাতার সব বস্তি ঠিকার আওতাধীন । এখন থেকে আর বহুতল তৈরির কোনও অনুমতি দেওয়া হবে না এই সব বস্তিতে । প্রয়োজনে বস্তি উন্নয়নের স্বার্থে হবে বাংলার বাড়ি প্রকল্প । আর যাদের নামে ঠিকা হবে তারা নিজেরা বাড়ি করলে করতে পারবে ৷” এদিন মুম্বইয়ের ধারাভি বস্তি আদানিদের হাতে দেওয়া প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মেয়র বলেন, “আমরা ধারাভির মত বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করব না । বস্তির মানুষদের সম্মানের সঙ্গে থাকতে দেব ।”

বস্তি বিভাগ সূত্রে খবর, কলকাতায় এই মুহূর্তে তালিকাভূক্ত বস্তির সংখ্যা 3079 । তবে ঠিকার আওতায় এল 1- 10 নম্বর বোরোর 2700 বস্তি । এর মধ্যে ব্যক্তি মালিকাধীন বস্তি থাকলে সেই মালিক আবেদনের ভিত্তিতে ঠিকা আওতামুক্ত হতে পারবেন । এদিকে প্রতিটা কাউন্সিলরকে জানানো হয়েছে, এই তালিকার বাইরে কোনও বস্তি তাদের নজরে এলে সেটার তথ্য দিয়ে নথিভুক্ত করতে । ব্যক্তি মালিকাধীন হলে অবশ্যই বহুতল নির্মাণের ক্ষেত্রে প্ল্যান অনুমোদন পাবে ।

এদিন ফিরহাদ হাকিম আরও জানান, এতদিন ঠিকা প্রজা নাম পরিবর্তন, সত্ত্ব হস্তান্তর এইসব আটকে ছিল । 1 মে থেকে সেটা ফের তা চালু হবে 6 মাসের জন্য । আবারও এই সময়ের মধ্যে ওগুলি করার অনুমতি মিলবে ।

আরও পড়ুন:- ওষুধের দোকানে বিক্রি হওয়া নকল ওষুধ চিনবেন কীভাবে? বিস্তারিতভাবে বুঝে নিন

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন