Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- প্রাথমিকের 32 হাজার চাকরি বাতিল সংক্রান্ত মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল ৷ বেশ কয়েকদিন পিছিয়ে মামলার শুনানি হবে 7 মে ৷ মামলা কেন পিছিয়ে যাচ্ছে তার ব্যাখ্যা দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট ৷
আদালত জানিয়েছে, এই বিষয়ে 100-টিরও বেশি মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার সবার বক্তব্য, আলাদা আলাদা করে শোনা সম্ভব নয়। কয়েকজন প্রবীণ আইনজীবীর বক্তব্য শোনা হবে বলে জানিয়ে দিল হাইকোর্টের বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে আইনজীবীদের বক্তব্যের সারাংশ লিখিত আকারে আদালতে জমা দিতেও নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চের। এরপর আগামী 7 মে দুপুর 2টোর সময় মামলার শুনানি শুরু হবে বলে জানিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন শুনানি শুরু হলে এজলাসে বিরাট সংখ্যক আইনজীবীরা ভিড় করেন। তখনই ডিভিশন বেঞ্চ জানায় 32 হাজার চাকরি বাতিল মানে আইনজীবীদের সংখ্যা অনেক বেশি হবে। কিন্তু, সবার বক্তব্য আলাদা করে শোনা সম্ভব নয়। নির্দিষ্ট কয়েকজন আইনজীবীর বক্তব্য শোনা হবে।
পাশাপাশি এর আগে যে 26 হাজার চাকরি বাতিল হয়েছে সেই ঘটনায় আদালত অবমাননা সংক্রান্ত একটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছে হাইকোর্ট ৷ সেই মামলা আদলত আদৌ শুনতে পারে কি না তারও শুনানি হওয়ার কথা ছিল ৷ সেই শুনানিও পিছিয়ে গিয়েছে ৷ বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বার রাশিদির ডিভিশন বেঞ্চে আগামী 1 মে ফের শুনানি হবে এই মামলার। ওই দিন রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের পাল্টা যুক্তি পেশ করবে আদালতে।
আদালত অবমাননা সংক্রান্ত মামলায় কী কী হল হাইকোর্টে ?
- এদিনের শুনানিতে আইনজীবী পার্থ সারথি সেনগুপ্ত রাজ্যের শিক্ষা দফতরের পক্ষে বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে কোনও মামলা বিচারাধীন থাকলে সেই মামলায় হাইকোর্টে আদালত অবমাননার মামলা হতে পারে না।” এর স্বপক্ষে বম্বে হাইকোর্টের নির্দেশের কপি আদালতকে দিয়েছেন তিনি।
- এরপরই স্কুল সার্ভিস কমিশনের আইনজীবী সপ্তাংশু বসু বলেন, “হাইকোর্ট এই মুহূর্তে আদালত অবমাননার মামলা শুনতেই পারে।”
- প্রবীণ আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে বলেন, “নির্দেশটা আইন অনুযায়ী কার্যকর করা হচ্ছে কি না, সেটাই বিবেচ্য। শীর্ষ আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকলেও মূল নির্দেশটা ছিল হাইকোর্টেরই।”
- বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বক্তব্য, “সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের নির্দেশের বেশকিছু পরিবর্তন করেছে। আবার নির্দেশের বেশ কিছু জায়গায় হস্তক্ষেপ করেনি। তার মানে কি হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট দু’টি আদালতেই অবমাননার মামলা করা যায় ?”
- বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের দাবি, মামলার শুনানির জন্য কেউ যদি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতেই পারে ।” বিভিন্ন আদালতের নির্দেশের কপি এদিন তিনিও বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে তুলে দিয়েছেন। এরপর বেঞ্চ জানায়, আগামী 1 মে মামলার শুনানি হবে ৷ সেদিন, রাজ্য সরকার বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের বক্তব্যের পাল্টা যুক্তি দেবে আদালতকে।
আরও পড়ুন:- SBI দিচ্ছে ২০ লাখ টাকার স্কলারশিপ । যোগ্যতা ও আবেদন পদ্ধতি জেনে নিন।