Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- পহেলগাঁও হামলার পর উপমহাদেশে চরম উত্তেজনার আবহ। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সীমান্তের লঞ্চ প্যাডগুলি থেকে জঙ্গিদের সরাতে শুরু করেছে পাকিস্তান। জঙ্গিদের সীমান্তবর্তী লঞ্চ প্যাড থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে পাক সেনার ক্যাম্পগুলিতে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, কি ভারতের পাল্টা হামলার আশঙ্কায় কি এই তড়িঘড়ি উদ্যোগ? জল্পনা এখন তুঙ্গে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পহেলগাঁও হামলার পরই স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন, মৃত্যু বৃথা যাবে না। যারা ষড়যন্ত্র করেছে, তাদের উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। এর আগে, ২০১৬ সালে উরি হামলার পর সার্জিকাল স্ট্রাইকের মাধ্যমে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে সীমান্তের লঞ্চ প্যাডগুলি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল ভারত। বহু জঙ্গির মৃত্যু হয়েছিল সেই অভিযানে। ফলে মনে করা হচ্ছে, এবারও হয়ত বড় ধরনের প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত। সেই আশঙ্কায়ই কি জঙ্গিদের সরাচ্ছে পাকিস্তান? গোয়েন্দা মহলের ধারণা, হামলার আঁচ পেয়ে আগে থেকেই সুরক্ষার ব্যবস্থা করছে তারা।
তবে সেনা সূত্রের খবর, নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) পেরিয়ে সরাসরি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলার এখনই কোনও পরিকল্পনা নেই। বরং পাক সেনার ঘাঁটিগুলোকে লক্ষ্য করেই পরবর্তী স্ট্র্যাটেজি সাজানো হচ্ছে। সীমান্তের দুই পারেই এখন প্রবল সতর্কতা বজায় রাখা হচ্ছে। যদিও এখনও পর্যন্ত বড় আকারে কোনও সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন হয়নি।
এদিকে কূটনৈতিক দিক দিয়েও ভারত ইতিমধ্যেই পাকিস্তানের উপর চাপ বাড়াতে শুরু করেছে। পাকিস্তানের কাছ থেকে ‘মোস্ট ফেভার্ড নেশন’ (MFN) মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, পাকিস্তান থেকে আমদানিকৃত পণ্যের উপর ২০০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক বাড়িয়েছে ভারত।
দেশের মধ্যে ‘বদলা চাই’ স্লোগান এখন প্রতিটি প্রান্তে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। ভারত কি বড়সড় সামরিক প্রত্যাঘাতের পথে হাঁটবে? নাকি কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক চাপ আরও বাড়িয়ে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করবে? সেই প্রশ্নের উত্তর সময়ই দেবে। তবে আপাতত সীমান্তের ওপারে পাকিস্তানের অস্বস্তি চোখে পড়ার মতো।
আরও পড়ুন:- SBI দিচ্ছে ২০ লাখ টাকার স্কলারশিপ । যোগ্যতা ও আবেদন পদ্ধতি জেনে নিন।