Bangla News Dunia, Pallab : পরপর ৫ দিন সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন (LoC Ceasefire) করল পাকিস্তান। সোমবার রাতেও জম্মু ও কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর একাধিক স্থানে গুলিবর্ষণ করেছে পাক সেনা (Pakistan Army)। কাশ্মীরের কুপওয়ারা (Kupwara) এবং বারামুল্লা (Baramulla) জেলার পাশাপাশি আখনুর সেক্টরে (Akhnoor sector) গুলি চলেছে বলে খবর। জবাব দিতে ছাড়েনি ভারতীয় সেনারাও। পালটা গুলি চালিয়েছেন তাঁরাও।
আরও পড়ুন : ওষুধ ছাড়াই অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি পেতে চান? জেনে নিন ঘরোয়া উপায়
মঙ্গলবার সকালে ভারতীয় সেনার তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ২৮ এবং ২৯ এপ্রিলের মধ্যবর্তী রাতে কোনও উসকানি ছাড়াই আচমকা গুলি চালিয়েছে পাক সেনা। সোমবার রাতের পাকিস্তানের এই উসকানিমূলক হামলার ‘পরিমিত এবং কার্যকর’ জবাব দেওয়া হয়েছে। তবে পাক সেনার গুলিতে কোনও হতাহতের খবর মেলেনি ভারতের তরফে।
গত ২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন পর্যটক। তারপর থেকে ক্ষোভে ফুঁসছে দেশবাসী। নিন্দার ঝড় উঠেছে গোটা দুনিয়ায়। এই ঘটনার পর তলানিতে ঠেকেছে ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ক। এরপর গত বৃহস্পতিবার রাত থেকেই সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গুলির লড়াই শুরু করেছে পাক সেনা। সোমবার রাত পর্যন্ত টানা পাঁচদিন একই ঘটনা ঘটেছে।
প্রসঙ্গত, গত ২২ তারিখ পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Terror Attack) প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ পর্যটক। অনন্তনাগ (Anantnag) জেলার পহেলগাঁওয়ে (Pahalgam) বৈসরন উপত্যকায় পর্যটকদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি করে জঙ্গিরা। সশস্ত্র জঙ্গিরা পর্যটকদের ধর্মীয় পরিচয় জেনে বেছে বেছে হত্যালীলা চালিয়েছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই হামলার দায় স্বীকার করেছে লস্কর-ই-তৈবার ঘনিষ্ঠ সংগঠন দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট (টিআরএফ)। পুলওয়ামার পর এটাই বড় হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার পরই পুলিশ ও সেনা ঘটনাস্থলে পৌঁছোয়। এলাকা ঘিরে চলে তল্লাশি অভিযান। নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে জম্মু-কাশ্মীরে।
আরো পড়ুন : কখন “টিউমার’ ক্যান্সারে পরিনত হয় ? জানুন সঠিক তথ্য