Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- রাজকোটের দুটি অস্থায়ী ইমিটেশন জুয়েলারি ইউনিট থেকে বাংলার 21 জনকে উদ্ধার করল পুলিশ । যাদের মধ্যে 16 জন শিশু এবং পাঁচজন যুবক । এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মাসে 8 হাজার টাকা বেতনে দৈনিক 10 ঘণ্টারও বেশি কাজ করতে বাধ্য করা হত তাদের । এছাড়াও প্রতিদিন মালিকের দ্বারা লাঞ্ছিত ও নির্যাতনের শিকার হত এই 21 জন ।
রবিবার পুলিশ জানিয়েছে, 6 জুন ভোরে 21 জনকে উদ্ধারের পর আজমতমৌলা নামে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয় । ধৃতের বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলায় । ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (বিএনএস) এর 118 (হামলা) এবং 146 (বেআইনিভাবে বাধ্যতামূলক শ্রম) এবং কিশোর বিচার আইন এবং শিশু শ্রম (নিষেধ ও নিয়ন্ত্রণ) আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় আজমতমৌলার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সহকারী পুলিশ কমিশনার ভারত বাসিয়া ।
মেডিক্যাল রিপোর্টে বলা হয়েছে, উদ্ধার করা কিছু ছেলেকে অভিযুক্তরা নির্দেশ অনুযায়ী কাজ না করার জন্য মারধর করা হয়েছে । অপর ক্ষেত্রে, তাদের একজনের মলদ্বারে একটি জিনিস ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে । পুলিশ এফআইআর-এ শিশুদের উপর যৌন অপরাধ থেকে সুরক্ষা আইনের ধারা ব্যবহার করেছে ।
সহকারী পুলিশ কমিশনার ভারত বাসিয়ার বলেন, “একটি নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে, রাজকোট পুলিশের একটি দল শুক্রবার ভোরে মোরবি রোডের একটি বাড়িতে অভিযান চালায় । সেখানে 18 বছরের কম বয়সি 14 জন নাবালক (ছেলে) এবং 18 থেকে 22 বছর বয়সি পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ককে পাওয়া যায় । তারা পুলিশকে জানিয়েছে যে, তাদের নকল গয়না তৈরির জন্য দিনে 10 ঘণ্টারও বেশি কাজ করতে বাধ্য করা হত ।”
এসিপি জানান, আজমতমৌলাকে অন্য জায়গা থেকে দুই ছেলের সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে । সেই দু’জন পুলিশকে জানিয়েছে যে, অভিযুক্তরা তাদের মারধর করেছে ।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে যে, আজমতমৌলা বাংলার বিভিন্ন স্থান থেকে বাবা-মায়ের অনুমতি নিয়ে নাবালক ও প্রাপ্তবয়স্কদের রাজকোটে নিয়ে আসত । এই বিষয়ে এক আধিকারিক বলেন, “ধৃত ব্যক্তি এই নাবালক এবং যুবকদের প্রত্যেককে প্রতি মাসে 8 হাজার টাকা করে দিত । কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হলে বা কথা না শুনলে আজমতমৌলা তাদের মারধর করত । 16 জন নাবালক এবং পাঁচজন প্রাপ্তবয়স্ককে শহরের একটি চাইল্ড কেয়ার হোমের কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে ।”