কেন্দ্র সরকার এবার জনগণনাকে আরও নির্ভুল ও সঠিক করতে জিওট্যাগিং বা ভূ-প্রযুক্তি ব্যবহারের উদ্যোগ নিয়েছে। সেন্সাস কমিশনের এই নতুন পদক্ষেপে দেশের জনসংখ্যা গণনার পদ্ধতিতে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে চলেছে। এই পদ্ধতির মূল লক্ষ্য হল, কোনও ব্যক্তির নাম যাতে একাধিকবার নথিভুক্ত না হয় এবং জনসংখ্যার সঠিক পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা যায়। এই ডিজিটাল জনগণনার ফলে দেশের সম্পদ বন্টন এবং উন্নয়নমূলক প্রকল্পের পরিকল্পনা আরও বাস্তবসম্মত ও কার্যকরী হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : কালীগঞ্জের ফল প্রত্যাশিতই ছিল, হিন্দু ভোট একজোট হয়েছে ! দাবি শুভেন্দুর
কীভাবে কাজ করবে এই নতুন ডিজিটাল জনগণনা?
এই নতুন পদ্ধতিতে জনগণনার কাজে ভূ-স্থানিক প্রযুক্তি বা জিওস্পেশিয়াল টেকনোলজি ব্যবহার করা হবে। এর জন্য রাজ্য, জেলা এবং শহরের বিস্তারিত মানচিত্র তৈরি করা হচ্ছে। প্রায় ছয় লক্ষ মানচিত্র তৈরির কাজ চলছে। জনগণনার কর্মীরা একটি বিশেষ মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করবেন। প্রতিটি বাড়ির অবস্থান এবং বাসিন্দা সংখ্যা সহ সমস্ত তথ্য জিওট্যাগিংয়ের মাধ্যমে আপলোড করা হবে। এর ফলে সহজেই প্রতিটি বাড়িকে চিহ্নিত করা যাবে এবং একাধিকবার গণনার সম্ভাবনা থাকবে না।
জনগণনার সময়সূচি ও বাজেট
- প্রথম পর্যায়: ২০২৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জনগণনার প্রথম পর্যায়ের কাজ চলবে। এই পর্যায়ে মূলত বাড়ি গণনার কাজ হবে।
- দ্বিতীয় পর্যায়: ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হবে।
- চূড়ান্ত রিপোর্ট: ২০২৭ সালের মার্চ মাসের শেষে বা এপ্রিল মাসে দেশের জনসংখ্যার চূড়ান্ত পরিসংখ্যান প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : জুলাই থেকে বাড়বে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ভাতা ? প্রকাশ্যে আসলো আপডেট