Bangla News Dunia , অমিত রায় :- আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান এশিয়ার দুটি দেশ। এক বছর আগেই এই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ হয়। আর এই যুদ্ধে দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্ততা করতে বড় ভূমিকা নেয় প্রতিবেশী রাশিয়া। মূলত এই দুই দেশের লড়াই ও ভূখণ্ড নিয়ে।
১৯৯১ এর দশক থেকে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান বর্ডারের এক বিস্তীর্ণ অংশ যা নাগারনো কারাবাখ নামে পরিচিতি এই অংশ দখল নিয়েই দুই দেশের মধ্যে মাঝে মাঝেই ঝামেলার সৃষ্টি হয় যা এক বছর আগেই যুদ্ধের রূপ নিয়ে ছিল। কিন্তু ইসরায়েল ও প্যালেস্টাইন যুদ্ধের মধ্যে এই দুই দেশের ঝামেলা আরো একবার বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।
যার ফলেই চিন্তায় রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মত এই দুই দেশ ইসরায়েল ও প্যালেস্টাইনকে দেখে নিজেদের মধ্যে আরো একবার যুদ্ধে অবতীর্ণ হলে তৃতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সূচণা হতে পারে। কারণ এদের দেখা দেখি বাকি দেশ গুলো ও নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়তে পারে।
আরো পড়ুন :- ভারত আন্তর্জাতিক মঞ্চে ইসরায়েলের সাথ না দিয়ে প্যালেস্টাইনের সাথ দেবার পিছনের কারণ কি ?
এই আর্মেনিয়া ও আজারবাইজান ঝামেলার প্রধান কারণ হলো নাগারনো কারাবাখ এলাকা। কারণ ওই এলাকায় বসবাস কারী মানুষরা ১৯৯১ সালে আজারবাইজান থেকে নিজেদের আলাদা করে আর্মেনিয়ার সাথে যুক্ত হয়ে যান। কিন্তু আজারবাইজান তা মানতে নারাজ। কারণ আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারে নাগারনো কারাবাখ এলাকা আজারবাইজানের অংশ। তাই আজারবাইজান বলে ওই এলাকা আজারবাইজানের। কারণ ১৯৯১ এর আগে ওই এলাকা আজারবাইজানের দখলেই ছিল। ১৯৯১ এর পর থেকে ওই এলাকা আর্মেনিয়ার দখলে চলে যায়।
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের ঝামেলা যাতে যুদ্ধের দিকে না গড়ায় তাই ভারতের তরফ থেকে বিদেশ মন্ত্রালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম মুখার্জী তার বক্তব্যে বলেন যে ভারতের তরফ থেকে দুই দেশকেই নিজেদের মধ্যে শান্তি বজায় রাখতে বলা হয়েছে। ভারত দুই দেশের মধ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক চায়। এছাড়া তিনি বলেন , ভারতের তরফ থেকে দুই দেশের সেনাকে পিছনে যেতে ও বলা হয়েছে। যাতে করে বর্ডার এলাকায় শান্তি বজায় থাকে। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে বিবাদকে শান্তিপূর্ণ ভাবে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক পথে সমাধান করার কথা বলা হয়েছে।
আরো পড়ুন :- এবার BBC ও Global Times – এর আদলে বিশ্ব দরবারে আসছে ভারতের সরকারি মিডিয়া !