Bangla News Dunia , অজয় দাস :- কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এই নামটা অনেকের হয়তো নতুন জানা। আগে হয়তো কোনোদিন শোনেননি। কিন্তু এই কোয়ান্টাম কম্পিউটিং এর জন্য এত টাকা বরাদ্ধ করার কারণ কি। চলুন জেনেনি – কোয়ান্টাম কম্পিউটিং বা কোয়ান্টাম কম্পিউটার আপনার ঘরের সাধারণ কম্পিউটার নয়। কোয়ান্টাম কম্পিউটার হলো এমন একটি কম্পিউটার যার মাধ্যমে সাধারণ কয়েক সেকেন্ড বা কয়েক মিনিটের মধ্যেই অনেক জটিল কোনো গণনা করা যায়। আর এই জটিল গণনা করতে আপনার আমার সাধারণ কম্পিউটারের সময় লাগতে পারে কয়েক হাজার বছর।
আমরা যেই কম্পিউটার ব্যবহার করি তাতে পাসওয়ার্ড / তালা লাগিয়ে রাখি। ঠিক সেই ভাবেই ব্যাঙ্কিং সিস্টেম , সরকার ও অন্যান্য কোম্পানি তাঁর সমস্ত নথিতে ( Deta ) উপর পাসওয়ার্ড / তালা লাগিয়ে রাখে। কিন্তু কোয়ান্টাম কম্পিউটার এই পাসওয়ার্ড যখন তখন ভেঙে দিতে পারে। তার ফলে সরকারি সিস্টেম , ব্যাঙ্কিং সিস্টেম ও বিভিন্ন আরো সংস্থার সমস্ত নথি যখন তখন চুরি হয়ে যেতে পারে।
এই কোয়ান্টাম কম্পিউটার বানাবার জন্য আমেরিকা ও চীনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বী চলছে। এই দুটি দেশই এই কোয়ান্টাম কম্পিউটার বানাবার জন্য জলের মতো টাকা খরচ করছে। কেননা দুশমন দেশের কাছে যদি এই কোয়ান্টাম কম্পিউটার থাকে তবে সেই দেশ অন্য দেশের সরকারি কাজকর্ম , ব্যাঙ্কিং সিস্টেম থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু বন্ধ বা হ্যাক করে নিতে পারে।
[ আরো পড়ুন :- এই বছরই 5G ইন্টারনেটের স্বাদ পেতে পারেন আপনি। ]
এবার আপনি ভাবছেন কি এমন আছে এই কোয়ান্টাম কম্পিউটারে , ধরুন আমাদের সাধারণ কম্পিউটার হলো একটি ১ টাকার কয়েন যার দুটো দিক আছে আর কোয়ান্টাম কম্পিউটার হলো একটি ফুট বল। যাকে সমস্ত দিক থেকে দেখলে আপনি সমান দেখবেন। আপনারা জানেন কম্পিউটার ০ আর ১ ই বুজতে পারে তাই আমাদের সাধারণ কম্পিউটার বিটের উপর কাজ করে আর কোয়ান্টাম কম্পিউটার কিউ বিটের উপর কাজ করে তাই কোয়ান্টাম কম্পিউটার ০ আর ১ ছাড়াও আরো অনেক কিছু করতে পারে।
চলুন উদাহরণ দিয়ে বুঝে নেওয়া যাক , আপনার অনেকেই রজনীকান্তের রোবট ( Robot ) মুভি / বই দেখছেন যেখানে রাজনীকান একজন বিজ্ঞানী তিনি একটি রোবট বানিয়ে ছিলেন। রজনীকান্ত কিন্তু এক সময়ে একটি কাজই করতে পারতেন কিন্তু রজনীকান্তের বানানো রোবট ” চিট্টি ” এক সময়ে অনেক গুলো কাজ করতে পারতো। ঠিক তমনি মনে করুন সাধারণ কম্পিউটার ও কোয়ান্টাম কম্পিউটারে মধ্যে তফাৎ।
[ আরো পড়ুন :- তবে কি আবার নতুন করে আমেরিকা ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধের দামামা বাজতে চলেছে ! ]
২০১৯ এর অক্টোবর মাসে গুগল তাঁর তৈরি প্রথম কোয়ান্টাম কম্পিউটার প্রদর্শন করে। যার মাধ্যমে গুগল একটি গণনা ( ক্যালকুলেশন ) মাত্র ৩মিনিট ২০ সেকেন্ডে করে দেখায়। এবার আপনি ভাবতে পারেন কি এমন কঠিন গণনা ( ক্যালকুলেশন ) যে ৩মিনিট ২০ সেকেন্ডে সময় লাগলো। গুগল বলেছে এই গণনা ( ক্যালকুলেশন ) টি করতে একটি সাধারণ কম্পিউটারের ১০ হাজার বছর লাগতো। এবার বুজতে পারছেন কোয়ান্টাম কম্পিউটরের কি ক্ষমতা।
এই কোয়ান্টাম কম্পিউটার যদি আমাদের দেশ তৈরি করতে পারে তবে দেশের সমস্ত তথ্য এই কোয়ান্টাম কম্পিউটারে রাখা থাকবে ফলে অন্য কোনো শত্রূ দেশ যার কাছে কোয়ান্টাম কম্পিউটার আছে সেই দেশ আমাদের দেশের কোনো তথ্য চুরি করতে পারবে না।
এই কোয়ান্টাম কম্পিউটারের মাধ্যমে আমরা অন্য শত্রু দেশের সমস্ত খবর নিতে পারবো ও তাদের সাথে যুদ্ধের সময় তাদের স্যাটেলাইট ও অভন্তরীন সমস্ত পরিষেবা বন্ধ করতে পারবো।