বিপন্নতার পথে রুপালি শস্য ! ইলিশ বাঁচাতে সচেতনতা শিবির

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

Bangla News Dunia, Pallab : বাঙালির খাদ্যতালিকার সঙ্গে ইলিশ মাছের যেন আবেগের সম্পর্ক। ইলিশ শুধু একটি মাছ নয়, এটি বাঙালির রসনাতৃপ্তি। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই রুপালি শস্য বিপন্নতার পথে। ইলিশ বাঁচাতে রাজ্য সরকারের মৎস্য দপ্তরের তরফে ফরাক্কার মৎস্যজীবীদের নিয়ে বৃহস্পতিবার একটি সচেতনতা শিবিরের আয়োজন করা হয়। ফরাক্কার গান্ধিঘাট প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফরাক্কার ব্লক ফিশারি এক্সটেনশন অফিসার সুনীত পাল, সেন্ট্রাল ফিশ রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফরাক্কা শাখার প্রোজেক্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট পরমবীর সিং, ফরাক্কার বিডিও জুনায়েদ আহমেদ প্রমুখ।

আরও পড়ুন : এই সব খাবার খেলে নষ্ট হতে পারে লিভার, জেনে নিন !

ব্যারাকপুরের সেন্ট্রাল ইনল্যান্ড ফিশারি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিফ্রি) ২০১৮ সাল থেকে ফরাক্কাতে ইলিশ চাষের জন্য গবেষণা করছে। চলতি বছর ২০ লক্ষ ডিম ফার্টিলাইজ করেছে এবং ৪ লক্ষের বেশি ইলিশের পোনা ট্যাগিং করে গঙ্গায় ছাড়া হয়েছে। ফরাক্কা ব্লকের ফিশারি এক্সটেনশন অফিসারের কথায়, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সামুদ্রিক মৎস্য নিয়ন্ত্রণ বিধি ২০১৩-তে পরিষ্কারভাবে বলা হয়েছে যে, ৯০ মিলিমিটারের ছোট ইলিশ জাল দিয়ে ধরা যাবে না। সাধারণত ১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত ইলিশ মাছ ডিম পাড়ার জন্য সমুদ্র ছেড়ে মিষ্টি জলের খোঁজে নদীতে আসে। বছরের এই সময় মাছ ধরা যাবে না। আবার ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু করে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত  মাছ ধরা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ।’

তিনি আরও বলেন, ‘গঙ্গার ইলিশ জগদ্বিখ্যাত। কিন্তু নানা কারণে গঙ্গায় ইলিশ মাছের পরিমাণ দিন-দিন কমে যাচ্ছে। এই কারণগুলির মধ্যে অন্যতম হল ক্রমাগত গঙ্গার জলে দূষণের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে। এছাড়া সমুদ্র ছেড়ে মাছ যখন ডিম পাড়তে নদীর দিকে আসছে, সেই রাস্তায় ড্যাম বা ব্যারেজ থাকলে ইলিশের চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি কিছু মৎস্যজীবী সরকারি নির্দেশ মানলেও অনেকেই লাভের আশায় দু’তিন ইঞ্চি সাইজের ইলিশ ধরছেন। তাঁরা প্রকৃতপক্ষে নিজেদের ক্ষতি করছেন।’

দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সমুদ্র সাথী প্রকল্প চালু হয়েছে। কিন্তু এই এলাকায় এখনও চালু হয়নি। ভবিষ্যতে এই প্রকল্প চালু হলে বছরের যে সময়গুলিতে মাছ ধরা মানা সেই সময় মৎস্যজীবীরা আর্থিক সহায়তা পাবেন। ফরাক্কার মৎস্যজীবীদের ইতিমধ্যে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে। এই প্রকল্পে মৎস্যজীবীরা প্রয়োজনে লোন পাবেন, আবার বিজ্ঞানসম্মতভাবে চাষের বিষয়ে জানতে মৎস্য দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।

আরও পড়ুন : কীভাবে ডাউনলোড করবেন ২০০২ সালের ভোটার তালিকা ? দেখে নিন

আরও পড়ুন : হার্টের  সমস্যার ক্ষেত্রে সেরা হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা !

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন