সোশ্যাল মিডিয়ায় সন্তানের রিলস-ভিডিয়ো শেয়ার ! ‘ন্যাশনাল পেরেন্টস ডে’-তে কি বলছেন তারকারা ? জানুন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- আলিয়া ভাট থেকে সোনম কাপুর কিংবা দীপিকা পাড়ুকোন থেকে করিনা কাপুর খান, প্রত্যেক তারকাই নিজেদের সন্তানকে দূরে রেখেছেন পাপারাৎজিদের থেকে ৷ কারণ তাঁরা চান না, তাঁদের সন্তানের ভিডিয়ো-ছবি সোশাল মিডিয়ায় আসুক বা তা ভাইরাল হোক ৷ ফলে একসময়ে আলিয়া ভাট ক্রিসমাসে নিজের সন্তানকে ক্যামেরার সামনে আনলেও এখন তিনি রাহাকে সোশাল জগত থেকে দূরেই রাখছেন ৷ আবার অনেক তারকা আছেন তাঁরা সন্তানের সঙ্গে মিষ্টি মুহূর্ত শেয়ার করেন সোশাল মিডিয়ায় ৷ তবে সেটা খুবই কম ৷

আসলে ফেসবুক, ইন্সটাগ্রামে রিলস বা শর্টস হোক কিংবা ইউটিউবে ভিডিয়ো কনটেন্ট, বাচ্চাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ৷ সোশাল মিডিয়ার পাতায় সকাল থেকে রাত, খুদের খাওয়া থেকে শোয়া, নাচ-গানের পারদর্শিতা থেকে দুষ্টুমি সবমুহূর্ত ক্যামেরাবন্দি করে পোস্ট করেন অনেক বাবা-মা ৷ সদ্যোজাতরাও রয়েছে সেই তালিকায়।

লাইক, কমেন্ট, ফলোয়ার্স, সাবস্ক্রাইবার… রাতারাতি জুটে যাচ্ছে ডিজিটাল ক্রিয়েটর, ইউটিউবারের খেতাব। সঙ্গে খুলে যাচ্ছে উপার্জনের একাধিক রাস্তা। প্রশ্নটা এখানেই ৷ সমাজমাধ্যমে সন্তানকে মূলধন এবং তার গুণকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করছেন অভিভাবকরা ? ন্যাশনাল পেরেন্টস ডে (National Parents Day)-তে কী মত তারকাদের ?

ভাইরাল (Viral) হওয়ার দৌড়

অভিনেতা সোহান বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sohan Bandopadhyay) কথায়, “আসলে এটা এক হাস্যকর পরিস্থিতি ৷ সকলেই দিগ্বিদিক শুন্য হয়ে দৌড়াচ্ছে ৷ প্রত্যেকেই ফার্স্ট হতে চাইছে ৷ যে সমস্ত বাবা-মা জীবনে কিছু অর্জন করতে পারেননি, অর্থে সফল নন, নিজের চোখে নিজেই ব্যর্থ, তারা এই ছেলেমেয়েদের শো-কেস করে যে কোনও উপায়ে নিজেদেরকে সফল প্রমাণ করতে চাইছে ৷ অনেকেই এই কারণে অনেক অভিভাবক বাচ্চাদের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে নিয়ে আসে ৷ অনেক ক্ষেত্রে দেখেছি, বাচ্চাটা এই সব ভালোবাসছে না, তারপরেও বিখ্যাত হওয়ার দৌড়ে বাবা-মায়েরা ছেলে-মেয়েদের নামিয়ে দিচ্ছে ৷ এটাতে বাচ্চার কত বড় ক্ষতি হচ্ছে কেউ ভাবছে না ৷”

অভিনেতার কথায়, “মনে হয় সভ্যতার শেষের দিকে এগোচ্ছি ৷ সোশাল মিডিয়ার কারণে কিছু কিছু ট্যালেন্ট নজরে আসে ৷ কিন্তু আমি দেখেছি, ছোটবেলার ট্যালেন্ট বড়বেলায় সেইভাবে অনেক সময় স্ফুটিত হয় না ৷ কারণ শুধু ট্যালেন্ট দিয়ে কিছু হয় না ৷ তার সঙ্গে দরকার ডিসিপ্লিন, পরিশ্রম ৷”

ভারতীয় ন্যায় সংহিতা (BNS) এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক আইন ও সংবিধানিক বিধানগুলি শিশুশ্রমের বিরুদ্ধে সামগ্রিক আইনি কাঠামো তৈরি করে ৷ অভিনয় থেকে বিজ্ঞাপন, মডেলিং যে সকল পেশায় শিশুরা এখনও কাজ করে, সেখানে শৈশব রক্ষার স্বার্থে রয়েছে নানা নিয়ম। তা মানা না হলে রয়েছে শাস্তির বিধান ৷

বাচ্চাদের মোবাইল ডিটক্স করাতে হবে

অভিনেতা সুব্রত দত্ত মনে করেন, সন্তানের নানা মুহূর্ত সোশাল মিডিয়ায় দেওয়া বাবা-মায়ের ব্যক্তিগত পছন্দ হলেও তা মোটেও যুক্তিসঙ্গত নয় ৷ তিনি বলেন, “বাচ্চা বেশি ফোন ব্যবহার করে বলে মেন্টাল গ্রোথে সমস্যা হয় ৷ বাচ্চা যখনই কাঁদছে হাতে মোবাইল দিয়ে দিচ্ছে বাবা-মা, সেটা কি পেরেন্টিং-এর মধ্যে পড়ে ? সোশাল মিডিয়ার মাধ্যমে অনেক বাচ্চার ট্যালেন্ট সামনে আসে ৷ কিন্তু সে তো লাখে কয়েকটা ৷ সেক্ষেত্রে বাবা-মায়ের নজরদারিটা অবশ্যই দরকার, কোথায়-কতটা সন্তানকে ফোন ব্যবহার করতে দেবেন ৷ তার সঙ্গে ফোনে চাইল্ড লকটা থাকা দরকার ৷ অনেক বাবা-মা কর্মসূত্রে ব্যস্ত থাকেন ৷ সেক্ষেত্রে সন্তান ফোনে কি দেখছে না দেখছে সেটা নজরে রাখা দরকার ৷ যে বয়সে যেটা দেখা উচিত নয়, সেই বয়সে বড়দের জগতে সন্তানকে প্রবেশ না করতে দেওয়াই কাম্য ৷”

বাবা-মায়েরাই ডেকে আনছেন সন্তানের বিপদ ?

সাময়িক খ্যাতি, সাফল্য, ভাইরাল হওয়ার পিছনে অনেক সময় মা-বাবাদের অধরা ইচ্ছা, নিরাপত্তাহীনতা কাজ করে বলে মনে করেন অনেক মনোবিদই ৷ সোশাল মিডিয়া এখন একটা আন্তর্জাতিক বাজার ৷ যেখানে বাচ্চার কর্মকাণ্ড ‘বিক্রি’ করে অন্যের নজর কাড়া, অর্থ উপার্জন ইত্যাদিতে মেতে উঠেছেন অনেক বাবা-মা ৷ এর ফলে অজান্তেই সন্তানের বিপদ ডেকে আনছেন অভিভাবকেরাই।

ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট সাহেলী গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, ” ‘Sharenting’ নামক এক শব্দের প্রচলন চলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। যেখানে পেরেন্টিং এবং শেয়ারিং-এর একত্রিকরণ করা হয়েছে। এর অর্থ হল অভিভাবকরা যেখানে তাদের সন্তানদের ছবি ভিডিয়ো কনটেন্ট সোশাল মিডিয়ার মধ্যে দিয়ে শেয়ারিং বা ওভার শেয়ারিং করছেন ৷ এক্ষেত্রে বাচ্চাদের তরফ থেকে consent দেবার বা কনসেন্ট-এর বিষয়টাকে বোঝবার জায়গাটাও খুব ধোঁয়াশা থেকে যাচ্ছে।

এরকম দীর্ঘদিন চলতে থাকলে শৈশবে এবং বয়ঃসন্ধিকালীন সন্তানের Self-esteem গঠনের জায়গায় এবং আবেগের গঠনমূলক ক্ষেত্রে অবশ্যই সমস্যা আসতে পারে। সোশাল মিডিয়ায় ওদের গ্রহণযোগ্যতার লেন্স দিয়েই নিজেদের মূল্যায়নকে বিচার করার প্রবণতা দেখা দিতে পারে। এর সঙ্গে অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম থাকলে এই সময়ে সন্তানদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের Restlessness ইম্পালসিভিটি এবং মনোযোগের অভাবজনিত সমস্যাও দেখা দেয়।”

আয়ের জন্য সন্তানদেরকে হাতিয়ার !

বাংলাদেশি অভিনেত্রী সানজানা মেহরানের মতে, বাচ্চাদের প্রতিটা মূহূর্তেকে ক্যামেরাবন্দী করার পেছনে অনেকগুলো কারণ থাকতে পারে। কেউ কেউ তার সন্তানের প্রতিটা মূহূর্তকে স্মৃতি হিসাবে রেখে দিতে চায় ৷ কেউ আবার সোশাল মিডিয়ায় এমনিই তা শেয়ার করতে চায় ৷ আবার কেউ আয়ের উৎস হিসাবেই ব্যবহার করে ৷ সানজানার কথায়, “আমি মনে করি আয়ের জন্য সন্তানদেরকে হাতিয়ার না করাই ভালো ৷ এতে সন্তানের উপর বাজে প্রভাব ফেলবে। আজকাল অনেক কিশোর-কিশোরীদরে হাতে স্মার্ট ফোন আছে। হ্যাঁ, পড়াশোনার ক্ষেত্রে ফোন প্রয়োজন । সেক্ষেত্রে বাবা-মায়ের ফোন অথবা ঘরে থাকা ল্যাপটপ, পিসি দিয়েও কাজ চালানো যায়। 24/7 একটা বাচ্চার হাতে স্মার্ট ফোন দেওয়াটা কোন স্মার্টনেসের মধ্যে পরে না।”

তাঁর কথায়, “আমার তিন সন্তান। তিনজনেরই তিনটে ট্যালেন্ট আছে ৷ সেটা দেখানোর জন্য বা জাহির করার জন্য সোশাল মিডিয়ার প্রয়োজন হয় না। আমার বড় ছেলে ফুটবলার, মেজো ছেলে হস্তশিল্পের অনুরাগী, ছোটটা ভালো ছবি আঁকে ৷ এর পাশপাশি এরা অভিনয়ও করে। নয়ের দশকে সোশাল মিডিয়া ছিল না ৷ তখন কি ট্যালেন্টেড কেউ ছিল না? অবশ্যই ছিল। আসলে সোশাল মিডিয়া প্রয়োজন, তবে সীমিত ভাবে চালানো উচিত। আমি অনেক মা-বাবাদের দেখেছি, যেখানেই যাচ্ছে, যা কিছু করছে সব ভিডিয়ো করছে। এগুলো খুব এমব্যারেসিং।”

সোশ্যাল মিডিয়া তো থাকবে সে তো আমাদের ছেড়ে যাবে না কিন্তু যদি আমরা সচেতন হই কিভাবে এই মাধ্যমিকে আমি ব্যবহার করছি কতটুকু শেয়ার করছি এর মধ্যে যদি লাগাম না থাকে। তাহলে যে কোন সময় এই এ প্রদর্শন ভিত্তিক জীবন যাপন পরিবারের এবং অবশ্যই সন্তানদের মানসিক এবং আবেগের স্বাস্থ্য বিঘ্নিত করতে পারে।

এক্ষেত্রে মনোবিদ সাহেলীর কথায়, সোশাল মিডিয়া তো থাকবে সে তো আমাদের ছেড়ে যাবে না ৷ কিন্তু যদি আমরা সচেতন হই কীভাবে ব্যবহার করছি, কতটুকু শেয়ার করছি এর মধ্যে যদি লাগাম না থাকে তাহলে যে কোনও সময় প্রদর্শন ভিত্তিক জীবন যাপন পরিবারের এবং অবশ্যই সন্তানদের মানসিক এবং আবেগের স্বাস্থ্য বিঘ্নিত করতে পারে।

সন্তানের জীবনে বদল আনতে গেলে বড়দের বদলাতে হবে

অভিনেত্রী সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের ছেলের বয়স 6 বছর ৷ অভিনেত্রীর কথায়, সোশাল মিডিয়া থেকে তাঁর সন্তান অনেক কিছু শিখেছে ৷ তাঁর মতে, বাচ্চাকে শাসন করতে গেলে আগে নিজেকে ঠিক হতে হবে ৷ সুদীপার কথায়, “এখন বাবা-মা নিজেই সারাক্ষণ ফোনে ব্যস্ত ৷ এমনকী, দাদু-দিদাও ফোনে ব্যস্ত ৷ বাচ্চারা তো অনুকরণ করে বড়দের ৷ তারা যেটা দেখে সেটাই করে ৷ ফলে কারোর যদি মনে হয় সেটা আমি বন্ধ করব তাহলে বাড়ি থেকেই সেটা শুরু করতে হবে ৷ নিজেকে আগে বদলাতে হবে ৷” এই প্রসঙ্গে অভিনেত্রী মোল্লা নাসিরুদ্দিনের গল্পের উদাহরণ টেনে আনেন ৷

অভিনেত্রী বলেন, “আমার দীর্ঘদিনের অভ্যাস হচ্ছে, আগে ছিল খেতে বসে গল্পের বই পড়া ৷ এখন আমরা ছেলের সামনে বই পড়ি ৷ ও দেখে, সকালে বাবা খবরের কাগজ পড়ছে, মা খবরের কাগজ পড়ছে ৷ ফলেও ওরও ইন্টারেস্ট জাগে ৷ আমার ছেলেও সকালে ঘুম থেকে উঠে বিজ্ঞের মতো কোনও কাগজ খুলে বসে ৷ সেটার ছবি দেখতে শুরু করে ৷ ইংরাজি কাগজ হলে ওকে পড়তে বলি ৷ বাড়ির চারপাশে বই রাখতে হবে ৷ তবেই সে একদিন সেখান থেকে একটা বই বেছে নেবে পড়ার জন্য ৷”

আমার ছেলে আদিদেব মোবাইল দেখে অনেক কিছু শিখেছে ৷ একদিন সূর্যগ্রহণ ছিল ৷ ও আমাকে পুরো বিষয়টা বোঝালো৷ আমি অবাক হয়ে জানতে চাইলাম, তুই কী করে জানলি ? তখন ও জানায় ফোনে দেখেছে ৷ মোবাইলের সব যে খারাপ তা কিন্তু নয় ৷ তবে হ্যাঁ, কারোর একটা পর্যবেক্ষণে সন্তানকে রাখতেই হবে ৷ যে গুলো খারাপ দিক, সেই গুলো বন্ধ করার দায়িত্ব মোবাইল সংস্থাগুলোকে নিতে হবে ৷ এক্ষেত্রে গেমিং-এও পরিবর্তন আনা উচিত ৷ সেটাও মোবাইল সংস্থাগুলোকে করতে হবে ৷ যাতে কোনও বাচ্চা বড়দের গেমিং সাইট- বা অন্য কোনও সাইটে ঢুকতে না পারে ৷

ন্যাশনাল পেরেন্টস ডে বা জাতীয় পিতা-মাতা দিবসে তারকা হোক সাধারণ মানুষ বেসিক কিছু ডু-ডোন্টস” (Do’s and Don’ts) নিয়ে বেশ কিছু পয়েন্ট সামনে এনেছেন মনোবিদ সাহেলী ৷ কীরকম সেটা—–

*ব্যক্তিগত জীবন এবং সোশাল মিডিয়ার জীবনের মধ্যে সচেতনভাবে বাউন্ডারির প্রয়োজন।

*যেসব পরিবার ব্লগিং জাতীয় কাজের সঙ্গে যুক্ত সেই সব পরিবারের অভিভাবকদের যথেষ্ট সচেতন ভাবে নির্ধারণ করতে হবে এই বাউন্ডারি ৷ যেখানে বাবা-মায়েরা মিডিয়া প্রফেশনের সঙ্গে যুক্ত সাধারণভাবে তাঁদের জীবন অনেকটাই সোশাল মিডিয়ায় চলে আসে ৷ কীভাবে পরিবার ভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে, সেই আলোচনায় অবশ্যই বাচ্চাকে যুক্ত করে বাউন্ডারি সেট করতে হবে ৷

*সন্তানের অ্যাচিভমেন্ট, বিভিন্ন এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটির যথেষ্ট মাত্রায় পরিবারের মধ্যে পরিবারের নিকট মানুষদের মধ্যে ভাগ করে নেওয়া এবং সন্তানকে যথেষ্ট পরিমাণে মৌখিক রিওয়ার্ড (verbal reward) দেওয়া অত্যন্ত প্রয়োজন।

* তৎক্ষণাৎ শেয়ারিং থেকে নিজেকে অব্যাহত রেখে যদি নিজেদের মধ্যে পারিবারিক স্তরে সেলিব্রেশনের পর কিছুটা সময় গ্যাপ দিয়ে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। সন্তানের value সিস্টেম, ভালো লাগা, আনন্দ ইত্যাদির সঙ্গে সোশাল মিডিয়ার একসেপ্টটেন্স বা প্রদর্শন ভিত্তিক আনন্দের সম্পর্কটা অনেকাংশে শিথিল এবং বিলম্বিত থাকবে।

*একটানা 30 মিনিটের বেশি স্ক্রিন টাইম হলে অবশ্যই 10 থেকে 12 বার চোখ ব্লিংক করতে হবে ৷

*অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম থেকে সন্তানকে বাঁচানোর জন্য প্রতিদিন বেশ কিছুটা টাইম ফিজিকাল অ্যাক্টিভিটিতে যুক্ত রাখতে হবে। পাশাপাশি পেরেন্টাল মনিটরিং প্রয়োজন বাচ্চার digital wellbeing- ভালো রাখার জন্য।

* Digital fasting অর্থাৎ দিনের মধ্যে কিছুটা সময় কোনওরকম গেজেট বা ডিজিটাল বা স্ক্রিন টাইমের মধ্যে না থাকা ৷ সেই সময়ে সন্তান কী করে তার পরিকল্পনা পূর্বেই করে নেওয়া উচিত ৷

সন্তানকে সুরক্ষিত রাখতে, তার শৈশবকে আগলে রাখতে সমাজমাধ্যমে কতটা পোস্ট করা যায়, কতটা যায় না, সেটা বাবা-মাকেই বুঝতে হবে বলে মত তারকা থেকে মনোবিদের ।

 

আরও পড়ুন:- ১ অগস্ট থেকে UPI-এর একাধিক নিয়মে পরিবর্তন, আপনি জানেন তো?

আরও পড়ুন:- শুধু মহিলাদের নয়, এখন পুরুষদের জন্য গর্ভনিরোধক বড়ি ! কিভাবে খেতে হবে ? জেনে নিন

 

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন