Bangla News Dunia, Pallab : সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা, প্রশাসনিক বৈঠক এবং পরের দিন ইলামবাজারে প্রশাসনিক সভা। এই কর্মসূচিতে কতটা গুরুত্ব পাবেন অনুব্রত মণ্ডল, সেটা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে জেলার রজনৈতিক মহলে। কারণ ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভার আগের দিন অনুব্রত মণ্ডলকে আটকে দেয় পুলিশ। ফলে ২১ জুলাইয়ের দিন মঞ্চে দেখা যায়নি তাঁকে।
আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গ ভোটার তালিকা সংশোধন, দেখে নিন সকলের প্রয়োজনীয় গুরুত্বপুর্ন প্রশ্ন-উত্তর
উল্লেখ্য, গোরু পাচার ও আর্থিক তছরুপের মামলায় জামিন পেয়ে অনুব্রত মণ্ডল যেদিন বোলপুরে নিজের বাড়িতে ফিরেছিলেন, সেই দিনই বোলপুরে গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে প্রশাসনিক সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর আর বীরভূমে আসেননি তিনি৷ এই মুহূর্তে বীরভূম জেলায় কাজল-কেষ্ট দ্বন্দ্ব সর্বজনবিদিত। সেই আবহে বীরভূম জেলা সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর যে তাৎপর্যপূর্ণ তা বলাইবাহুল্য।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। সেই অডিও প্রকাশ্যে আসতেই অনুব্রত বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছিল বোলপুর থানা। সেই মামলায় এখনও জামিন নেননি অনুব্রত মণ্ডল। এই আবহে বোলপুর শহর জুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছবি দিয়ে বড় বড় হোর্ডিং গেট হলেও কোথাও অনুব্রত মণ্ডলের কোনও ছবি দিয়ে ফ্লেক্স দেখা যাচ্ছে না। কিন্তু এর আগে যত বার মুখ্যমন্ত্রী জেলায় এসেছেন অনুব্রত মণ্ডলের নামে ছবি দিয়ে বড় বড় স্বাগত তোড়ন তৈরি হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর সফরের আগে তাই জেলা জুড়ে চর্চা তৃণমূলের অন্দরে। আপাতত রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশে বীরভূম জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোর কমিটির সভা ডাকা এবং কর্মসূচি গ্রহণের যাবতীয় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বেশ কয়েকটি ব্লক ও নানা কমিটিতে অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের বাদ দিয়ে প্রকৃত সংগঠক এবং নতুন প্রজন্মকে অন্তর্ভুক্ত করার যাবতীয় দায়িত্ব আশিসবাবুকেই দিয়েছে দল। কবিগুরুর কর্মভূমি বীরভূমের শান্তিনিকেতনে মুখ্যমন্ত্রীর যে ভাষা আন্দোলন শুরুর কর্মসূচি রয়েছে, তারও যাবতীয় প্রস্তুতি আশিসবাবুর পাশাপাশি মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে করার জন্য দল দায়িত্ব দিয়েছে। স্বভাবতই অনুব্রতর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।