ফ্রডের মহাভারত লিখছে গ্যাসদেব? কেসটা কি ? জেনে নিন

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- প্রতারণা করতে নতুন নতুন ফন্দি বের করে ফেলছেন সাইবার প্রতারকরা। বিদ্যুতের বিল নিয়ে প্রতারণার ঘটনা এখন আর নতুন কিছু নয়। সারা ভারত থেকে কয়েক লক্ষ লোক ইতিমধ্যেই এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন। পদ্ধতিটা এরকম: প্রায় বছরখানেক ধরে প্রায় সকলের মোবাইলে একটি মেসেজ আসছে। যেখানে বলা হচ্ছে, ‘বকেয়া বিদ্যুতের বিল জমা না দেওয়ায় আপনার বিদ্যুতের সাপ্লাই কেটে দেওয়া হবে।’ স্রেফ ভয়ে অনেকে নীচে দেওয়া নম্বরে প্রতারণার পদ্ধতি এখনও চলছে। এরই মধ্যে বাজারে ঠগরা হাজির হয়েছে নয়া স্ট্র্যাটেজি নিয়ে।

সম্প্রতি হাওড়া থেকে শুরু হয়েছে এই প্রতারণার কারবার। একাধিক এজেন্সির নাম করে হাওড়ার বিভিন্ন এলাকার গ্যাসের গ্রাহকদের ফোন করে বলা হচ্ছে, ‘আপনাদের সাবসিডির টাকা পাওয়ার জন্য সরকারের তরফে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাতে আপনি যে সংস্থার পক্ষ থেকে গ্যাসের সিলিন্ডার নেন তাদের অ্যাকাউন্টও যুক্ত করা হবে। ভবিষ্যতে যখন সিলিন্ডারের টাকা পেমেন্ট করবেন তখন সেখান থেকে সাবসিডির টাকা সরাসরি আপনার অ্যাকাউন্টে গিয়ে জমা হবে।’

সাধারণত এখন গৃহস্থের গ্যাসের ক্ষেত্রে ৮১৯ টাকা দাম হলেও ১৯ টাকা ৭৬ পয়সা সরকারি সাবসিডি হিসেবে ফেরত পাওয়া যায়। প্রতারকরা এ ক্ষেত্রে যা করছে তা হলো, গ্রাহক নিজেদের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিলে সেখান থেকে একটি ওটিপি জেনারেট করে অ্যাকাউন্ট সংযুক্ত করার জন্য সেটা কায়দা করে জেনে নিচ্ছে। এর পর ব্যাঙ্কের খাতা থেকে টাকা গায়েব করে দিতে বেশি সময় লাগছে না।

জুলাই মাসের শুরুতেই হাওড়ার এইচপি গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থা দীপশিখা এন্টারপ্রাইজ়ের তরফ থেকে পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সেখানে বলা হয়েছে, বিভিন্ন গ্রাহকের কাছে একশ্রেণির প্রতারক ভিডিয়ো কল এবং ফোন করে বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য ছাড়াও ব্যাঙ্কের সব কিছু জেনে নিয়ে অ্যাকাউন্ট খালি করে দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট সংস্থার পক্ষ থেকে হাওড়ার একাধিক এলাকায় মাইকেও প্রচার করা হচ্ছে।

সাইবার বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, ‘হাওড়া ছাড়াও দেশের বিভিন্ন এলাকায় এই ধরনের প্রতারণা চলছে। কোনও কোনও জায়গায় প্রতারকরা ‘স্পেশাল গ্রাহক’ হিসেবে অতিরিক্ত সাবসিডি পাওয়ানোর লোভও দেখানো হচ্ছে। অনেকে না জেনে প্রতারকদের সেই ফাঁদে পা দিচ্ছেন। কোথাও আবার বলা হচ্ছে, বাড়িতে ফোনের মাধ্যমে সিলিন্ডারের অর্ডার দিলে আগাম ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর জানা থাকলে সেই টাকা নিজের থেকে কেটে নেওয়া হবে। গ্যাসের ডেলিভারি বয় গেলে তাঁর হাতে টাকা দিতে হবে না।’

কী বলছে পুলিশ? পুলিশ কর্তাদের বক্তব্য, ‘প্রতারকরা এই কাজের জন্য কলসেন্টারের সাহায্য নিচ্ছে। শহরের বাইরের দিকে এই সেন্টারগুলি থেকে ফোন করা হচ্ছে। এমন ঘটনাও ঘটেছে যে একজন গ্রাহককে ফোন করা জানতে চাওয়া হচ্ছে, আপনার পরিচিত কেউ এই সংস্থার সিলিন্ডার ব্যবহার করেন কি না, তাও।

এ ক্ষেত্রে নিজের অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে গেলে এই ধরনের হোয়াটসঅ্যাপ কল বা নরমাল কলকেও বিশ্বাস করাটা বোকামি হবে। আর যদি কেউ আপনাকে ফোনও করে তবে কোনও তথ্য না জানিয়ে সরাসরি গ্যাস সরবরাহকারী সংস্থার দপ্তরে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। অনেকে সাবসিডি বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয়ে নিজের সব তথ্য জানিয়ে দেন। কিন্তু সেই ভয় পেলে চলবে না। কারণ, সামান্য কিছু তথ্যের জন্য কখনও সাবসিডি বন্ধ হতে পারে না।’

আরও পড়ুন:- 140 কোটির দেশে চিকিৎসক মাত্র14 লক্ষ ! চিকিৎসকের ঘাটতি মেটাতে কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র ? জেনে নিন

আরও পড়ুন:- কেন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশ ফিনল্যান্ড ? কারণ জানলে মন প্রফুল্ল হয়ে যাবে

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন