Bangla News Dunia, Pallab : লাগাতার বৃষ্টিতে ঘরের মধ্যে হাঁটু জল। তার মধ্যেই সপরিবারের থাকছিলেন তাঁরা। কিন্তু জমা জলের কারণে নিজের একরত্তি মেয়েকে যে হারাতে হবে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি গোটা পরিবারটি। মেয়ে নেই এই ভেবেই দু’চোখের জল ধরে রাখতে পারছেন না অসহায় বাবা-মা।
আরও পড়ুন : Google Pay, PhonePe ব্যবহার করেন ? আজ থেকে এই নতুন নিয়ম গুলি না জানলে সমস্যায় পড়বেন !
উত্তর দমদম পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের (North Dumdum) দেবীনগরের বাসিন্দা পাপন ঘোড়াই। মাস ছয়েক আগে তাঁর স্ত্রী কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। সন্তানের নাম রাখেন ঋষিকা। লাগাতার বৃষ্টির জেরে জল জমেছে গোটা এলাকায়। পাপনবাবুর বাড়িতেও জল ঢুকেছে। জলমগ্ন গোটা বাড়ি। প্রায় হাটুর সমান জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে ঘরে। কিন্তু সেই অবস্থাতেই থাকছিলেন বাড়িতেই থাকছিলেন তাঁরা। এদিন সকালে কাজের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান পাপন। মেয়েকে খাটে ঘুম পাড়িয়ে রেখে ঘরের কাজ করছিলেন ঋষিকার মা। কাজের ফাঁকে তিনি গিয়েছিলেন শৌচালয়ে। ফিরে এসে দেখেন জলের মধ্যে পড়ে রয়েছে ছোট্ট ঋষিকা (Child drowns in waterlogged)। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা (Doctors) তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে বাবা-মা দু’জনেই শোকে পাথর। পাশাপাশি গোটা এলাকাজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্থানীয়রা দাবি করেছেন, বেহাল নিকাশী ব্যবস্থার কারণে এমন দিন দেখতে হল। তবে নিকাশির বেহাল দশা মানতে চাননি এলাকার কাউন্সিলর। তিনি বলেন, ‘যেভাবে বৃষ্টি চলছে তাতে যে কোনও জায়গায় সমুদ্র হয়ে যাবে। প্রকৃতিকে ঠেকানোর ক্ষমতা আমাদের কারও নেই। ২ ঘণ্টা আগে যে জল জমে আছে, সেটা তো যাওয়ার সময় দিতে হবে? ওর ঘর রাস্তা থেকেও নিচু। জল জমলেই আমি এলাকা পরিদর্শন করি।’
আরও পড়ুন : কেটেছে ওবিসি জট, আগামী সপ্তাহে রাজ্য জয়েন্টের ফল ঘোষণা