Bangla News Dunia, দীনেশ : ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ থামানোর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্রমবর্ধমান চাপ দিয়ে চলেছেন রাশিয়াকে (US-Russia)। যা নিয়ে আমেরিকা ও রাশিয়ার মধ্যে বাড়ছে উত্তেজনা। এরই মাঝে আমেরিকার সঙ্গে স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তিতে আবদ্ধ মনে করে না বলে ঘোষণা করেছে রাশিয়া। কারণ হিসেবে দেশের জাতীয় নিরাপত্তাকে ‘সরাসরি হুমকি’র মুখে ফেলার জন্য পশ্চিমের দেশগুলির কর্মকাণ্ডকেই দায়ী করেছে মস্কো।
আরও পড়ুন : Google Pay, PhonePe ব্যবহার করেন ? আজ থেকে এই নতুন নিয়ম গুলি না জানলে সমস্যায় পড়বেন !
সম্প্রতি রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দিমিত্র মেদভেদেভ যুদ্ধ নিয়ে মন্তব্য করেছেন। এরপরই ট্রাম্প দু’টি মার্কিন পারমাণবিক সাবমেরিনকে রাশিয়ার কাছাকাছি ‘যথাযথ অঞ্চলে মোতায়েন’ করার নির্দেশ দেন। তারপরই এই পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করল মস্কো। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রককের তরফে জানানো হয়েছে, সোভিয়েত যুগের চুক্তি মেনে চলার শর্ত ‘অদৃশ্য’ হয়ে গিয়েছে। তাই পূর্ববর্তী বিধিনিষেধগুলি মানতে আর বাধ্য নয় মস্কো। সেই সঙ্গে এও উল্লেখ করা হয়েছে, পশ্চিমের দেশগুলিই ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে অস্থিরতা তৈরি করছে। যা রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য ঝুঁকির। তাই আমেরিকার সঙ্গে পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি বা আইএনএফ থেকে সরে দাঁড়াচ্ছে রাশিয়া। মেদভেদেভ এর জন্য ন্যাটো দেশগুলিকেই দায়ী করেছেন।
আরও পড়ুন : গ্যাস , অম্বলের সেরা কিছু হোমিওপ্যাথি ঔষধ !
উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালে রাশিয়া ও আমেরিকার মধ্যে স্বল্প ও মাঝারি পাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। তৎকালীন সোভিয়েত নেতা মিখাইল গর্বাচেভ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যান এই চুক্তির মাধ্যমে ৫০০ থেকে ৫ হাজার ৫০০ কিলোমিটার পাল্লার পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসে একমত হয়েছিলেন। কিন্তু রাশিয়া ওই চুক্তি লঙ্ঘন করেছে এই অভিযোগ তুলে ২০১৯ সালে চুক্তিটি থেকে সরে আসে আমেরিকা। কিন্তু রাশিয়া পালটা দাবি করেছিল, ওয়াশিংটন এই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার না করলে মস্কোও করবে না। কিন্তু এবার রাশিয়াও চুক্তিটি থেকে সরে আসায় দুই দেশের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা বাড়ল বলেই মনে করছে বিশ্লেষক মহল।
আরও পড়ুন : FD, RD এর থেকে বেশি সুদ ! এলআইসি জীবন লক্ষ পলিসি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য