ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ইন্দিরার ‘ইকোজ অফ ভ্যালর’, উচ্ছ্বসিত পরিচালক

By Bangla News Dunia Desk Bappaditya

Published on:

Bangla News Dunia, বাপ্পাদিত্য:- মুক্তির আগেই আরও এক সম্মান এসে জুড়ল ইন্দিরা ধর পরিচালিত ‘ইকোজ অফ ভ্যালর’ সিনেমার মুকুটে ৷ ’82 ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল 2025′-এ ক্লোসড ডোর স্ক্রিনিং হতে চলেছে পরিচালকের দ্বিতীয় সিনেমার ৷ ইন্দিরার প্রথম ছবিটি বাংলায়, ‘পুতুল’। যে সিনেমা অস্কার প্রতিযোগিতায় মনোনীতও হয়েছিল ৷ আর ‘ইকোজ অফ ভ্যালর’ হিন্দি ভাষায় বানিয়েছেন ইন্দিরা। যুদ্ধে নিহত সেনা অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবা-মায়ের বায়োপিক এটি।

পরিবারের কেউ যুদ্ধে মারা গেলে বাড়ির আর পাঁচজনের জীবনটা কীরকম হয়ে যেতে পারে সেই নিয়ে ভেবেছেন ইন্দিরা। যার ফসল ‘ইকোজ অফ ভ্যালর’। স্বভাবতই খুশি পরিচালক। ইন্দিরা ধর একটি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, “ক্লোসড ডোর স্ক্রিনিং হতে চলেছে আমাদের এই ছবির। অগস্টের শেষ বা সেপ্টেম্বরের শুরুতে হবে। ‘কান’-এর থেকেও পুরনো এই ফেস্টিভ্যাল। আমরা যখন ফেস্টিভ্যালের নাম নিই তখন তিনটে ফেস্টিভ্যালেরই নাম আসে- ভেনিস, কান আর বার্লিন। এই ছবিটা আমার হৃদয়ের খুব কাছের।”

পরিচালক বলেন, “সবথেকে বড় কথা, শেখর কাপুরও ‘কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এ ছবিটা লঞ্চ করার সময় বললেন, আমি যে ছবিটা বানাতে পেরেছি সেটাই অনেক বড় ব্যাপার। কারণ যে সাবজেক্টটা আমি ভেবেছিলাম সেটা বেশ জটিল। তাছাড়া কেরিয়ারের শুরুতেই আমার জন্য নীরজ কবি আর দিব্যা দত্তর মতো ওই মাপের অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করা, ডিরেক্ট করা বেশ চ্যালেঞ্জের ছিল। আমি এনজয় করেছি খুব। একটা কথা নিজের ব্যাপারে বলব, আমি খুব কনজিউমড ডিরেক্টর। আমার মধ্যে প্রত্যেকটা চরিত্র ঢুকে থাকে। আমার কেরিয়ারের শুরু হয়েছে সবে। প্রথম ছবি ‘পুতুল’। আর দ্বিতীয় ছবি ‘ইকোজ অফ ভ্যালর’। এখনও অবধি যারা যারা এই ছবিটা দেখেছে তাদের পছন্দ হয়েছে। বলেছে ভালো হয়েছে। এটাই আমার প্রাপ্তি।”

ইন্দিরার কথায়, ” আমি যে শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই বায়োপিকটা বানাতে পেরেছি এটাই আমার কাছে অনেক। তাঁদের ছেলে অনেক বছর আগে ইন্ডিয়ান আর্মিতে থাকাকালীন বর্ডারে নিহত হন মানে ‘কিলড ইন অ্যাকশন’ যাকে বলা হয়। কাশ্মীরের কুপওয়ারা বলে একটা জায়গায় মারা যান। তার পরে ওঁর বাবা মায়ের কী অবস্থা হয় সেই নিয়েই এই ছবিটা। অনির্বাণের বাবা-মায়ের বায়োপিক এটা। এটাই প্রথম কোনও ছবি যেটা ইন্ডিয়ান আর্মির ফ্যামিলির উপর বানানো হয়েছে।”

অনির্বাণের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা রোহণ ভট্টাচার্য। ইন্দিরা বলেন, “এই চরিত্রে আমি একজন বাঙালি অভিনেতাকেই চেয়েছিলাম। কারণ আমি বিশ্বাস করি আমাদের বাংলায় অনেক ট্যালেন্ট আছে। রোহণের অডিশন হয়েছে। এমন না যে ওকে অডিশন ছাড়া নেওয়া হয়েছে ৷ ও অনেকদিন আগেই আমার সঙ্গে কাজের আগ্রহ দেখিয়েছিল। তখন আমি বলেছিলাম কখনও সুযোগ এলে নিশ্চয়ই একসঙ্গে কাজ হবে। রোহণের অডিশন দেখে আমার মনে হয়েছে ওকে নেওয়া যায় এবং সত্যিই ও খুব ভালো কাজ করেছে। রোহণ আমার এখন ভাইয়ের মতো হয়ে গিয়েছে।”

কেমন ছিল কাশ্মীরে শুটিং করার দিনগুলো? ইন্দিরা বলেন, “আমরা যখন কাশ্মীরে শুটিং করছিলাম তখন ওখানে জঙ্গিহানা চলছিল পরপর। আমরা পহেলগাঁওতে শুট করছিলাম তখন। আমার পুরো ইউনিট খুব স্ট্রং ছিল। 200 জনের ইউনিট ছিল আমাদের। আমি ধন্যবাদ জানাব আমার গোটা টিমকে এবং অবশ্যই অভিনেতাদের। দিব্যা দত্ত, নীরজ কবি, ঋষভ সোনি, রোহণ সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাব ওঁদের সহযোগিতার জন্য।”

ইন্দিরা বলেন, “অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়েছে আমাদের। হয়ত এই ছবিটা ‘পুতুল’-এর আগেই বানানো হয়ে যেত। অনেক সময়েই মনে হয়েছে আমি আর শুটটা কন্টিনিউ কর‍তে পারব না। তবে, ফাইনালি ছবিটা বানালাম। আর সেটা ফেস্টিভ্যাল জার্নিও শুরু করল। ‘ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এ ক্লোসড ডোর স্ক্রিনিং হচ্ছে মানে ওরা ছবিটা দেখে ঠিক করেছে যে স্ক্রিনিং করবে কি করবে না। এই বছরে খুব একটা ইন্ডিয়ান প্রোডাকশনের ফিল্ম স্ক্রিনিং ‘ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এ অন্তত নেই। আমাদের এই ছবিটা ইন্ডিয়ান প্রোডাকশনের। আর আমি স্বপ্নেও ভাবিনি যে আমার ছবি কোনওদিন ‘ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এ দেখানো হবে। যদিও ক্লোসড ডোর স্ক্রিনিং, আমন্ত্রণের ভিত্তিতে। তাও আমি খুশি।”

আরও পড়ুন:- বড় আপডেট! শিয়ালদা স্টেশনের নাম পরিবর্তন করে নতুন কি নাম হবে? ঠিক করলেন BJP সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।

আরও পড়ুন:- লং টার্মের জন্য লগ্নি করলে এই পাঁচ স্টক কিনতে পরামর্শ বিশ্লেষকের, দেখুন কোন কোন স্টক

Bangla News Dunia Desk Bappaditya

মন্তব্য করুন