Bangla News Dunia, Pallab : শেষ পর্যন্ত অধীর রঞ্জন চৌধুরীর গড় মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সামলাতে জেলা কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হল বহরমপুরের (Berhampore) প্রাক্তন বিধায়ক মনোজ চক্রবর্তী-কে। তিনি জেলা কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্ব পেতেই বহরমপুর কংগ্রেস কার্যালয় থেকে শুরু করে জেলার আনাচে-কানাচে কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে শুরু হয়েছে উচ্ছ্বাস।
আরও পড়ুন : সব জল্পনার অবসান ! বাংলায় হচ্ছে SIR
সম্প্রতি লালগোলার প্রাক্তন বিধায়ক তথা জেলা কংগ্রেসের সভাপতির দায়িত্বে থাকা আবু হেনার প্রয়াণের পরই ওই পদটি ফাঁকা হয়ে যায়। ফলে আসন্ন বিধানসভার নির্বাচনকে পাখির চোখ করে নিজেদের রাজনৈতিক জমি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের সাংগঠনিক দায়িত্ব সামলানোর জন্যই মনোজ চক্রবর্তীকে ওই পদে বসানো হল বলেই মত জেলার রাজনৈতিক মহলের।
অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) সঙ্গে তাঁর সেনাপতি মনোজ চক্রবর্তীর রাজনৈতিক সখ্যতা জেলার বুকে উদাহরণ হিসেবে ঘুরে বেড়ায় কংগ্রেস নেতা-কর্মীদের মুখে। যে কারণে ২০০৬ সালের নির্বাচনে অধীর চৌধুরীর সমর্থনে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবেও ভোটে জেতেন মনোজ চক্রবর্তী। এমনকি সেবার হেরে যেতে হয়েছিল খোদ কংগ্রেসের দলীয় প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মায়ারানী পালকেও। পরবর্তীতে অবশ্য ২০১১ এবং ২০১৬ সালে কংগ্রেসের টিকিটে ভোটে জেতেন মনোজ চক্রবর্তী। এমনকি ২০১১ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের মন্ত্রীসভাতেও স্থান পান। যদিও ২০১২ সালে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে মনোজ চক্রবর্তীর বনিবনা না হওয়ায় মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করে বেরিয়ে আসেন মনোজবাবু। জেলা কংগ্রেসের সভাপতি পদে আসীন হয়ে মনোজবাবু জানান, ‘দল যে দায়িত্ব দিয়েছে সে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে আগামী নির্বাচনে কংগ্রেসকে ভোট বিতরণী পার করাই হচ্ছে মূল লক্ষ্য। সেই সঙ্গে দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে যাবতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন : আধার কার্ড নাগরিকত্ব প্রমানের ডকুমেন্টস নয় – জানিয়ে দিলো সুপ্রিম কোর্ট