আমেরিকার নতুন শুল্ক কি বিশ্বকে মন্দার দিকে ঠেলে দিচ্ছে ? IMF ও WTO-এর সতর্কতা

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

আমেরিকার সাম্প্রতিক শুল্ক নীতির ফলে বিশ্ব অর্থনীতি এক নতুন সংকটের মুখোমুখি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (WTO) এই নীতির বিরুদ্ধে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, যা ১৯১০ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ শুল্ক হার স্থাপন করেছে। এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাপী বাণিজ্য উদারীকরণের কয়েক দশকের প্রচেষ্টাকে উল্টে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে এবং একটি সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধের সূচনা করতে পারে, যার পরিণতি হতে পারে সুদূরপ্রসারী। এই ব্লগ পোস্টে আমরা এই নতুন শুল্ক নীতির বিভিন্ন দিক, এর সম্ভাব্য অর্থনৈতিক প্রভাব এবং ভূ-রাজনৈতিক পরিণতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।

আরও পড়ুন : প্রথম চাকরিতে ঢুকলেই মিলবে ১৫ হাজার টাকা, বড় ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও বর্তমান পরিস্থিতি

বিগত কয়েক দশক ধরে WTO এবং IMF-এর মতো সংস্থাগুলো বিশ্বব্যাপী শুল্ক কমাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে, যার ফলে একটি অত্যন্ত আন্তঃসংযুক্ত বিশ্ব অর্থনীতি তৈরি হয়েছে। কিন্তু আমেরিকার বর্তমান প্রশাসন এই প্রবণতাকে উল্টে দিয়েছে। নতুন আরোপিত শুল্কের গড় হার ২০% ছাড়িয়ে গেছে, যা এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই শুল্কগুলো কেবল নির্দিষ্ট কিছু দেশের (যেমন চীন) বিরুদ্ধেই নয়, বরং বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন পণ্যের উপর আরোপ করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম এবং ইলেকট্রনিক্স। তবে, গ্রাহকদের উপর সরাসরি মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব এড়াতে ফার্মাসিউটিক্যালস এবং স্মার্টফোনের মতো কিছু খাতকে এর আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।

শুল্ক নীতির অর্থনৈতিক প্রভাব

আমেরিকার এই শুল্ক নীতির প্রভাব ইতিমধ্যে অনুভূত হতে শুরু করেছে এবং অর্থনীতিবিদরা এর দীর্ঘমেয়াদী পরিণতি নিয়ে চিন্তিত। এর কয়েকটি প্রধান প্রভাব নিচে তুলে ধরা হলো:

  • পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি: শুল্ক আদতে আমদানির উপর কর, যার ফলে আমদানিকৃত পণ্যের দাম বেড়ে যায়। এই বর্ধিত মূল্য শেষ পর্যন্ত গ্রাহকদেরই বহন করতে হয়।
  • অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি: পণ্যের দাম বাড়লে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যায়, যার ফলে চাহিদা হ্রাস পায়। এটি উৎপাদন শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং দেশের মোট দেশজ উৎপাদন (GDP) কমিয়ে অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
  • শিল্প খাতে নেতিবাচক প্রভাব: যে সমস্ত মার্কিন শিল্প রপ্তানির উপর নির্ভরশীল, তারা অন্য দেশগুলোর প্রতিশোধমূলক শুল্কের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হবে। একইভাবে, ইলেকট্রনিক্স, পোশাক এবং অটোমোবাইলের মতো আমদানি-নির্ভর শিল্পগুলোও কাঁচামালের দাম বাড়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
  • মুনাফার ভুল ধারণা: একটি সাধারণ ভুল ধারণা হলো, শুল্কের মাধ্যমে অন্য দেশ থেকে মুনাফা অর্জন করা যায়। বাস্তবে, এই শুল্কের বোঝা শেষ পর্যন্ত দেশের ভেতরের গ্রাহক ও ব্যবসায়ীদেরই বহন করতে হয়।

আরও পড়ুন : সব জল্পনার অবসান ! বাংলায় হচ্ছে SIR

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন