Bangla News Dunia, Pallab : ডিএফওকে ধমকানোর অভিযোগ উঠল পান্ডবেশ্বরের বিধায়ক তথা তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। শুক্রবার দুর্গাপুরের ফরিদপুর ব্লকের বাঁশগোড়া এলাকায় বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে ঘটনাটি ঘটেছে। ডিএফওকে ধমকানোর একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে (যদিও সত্যতা যাচাই করেনি)। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তর্জা।
আরও পড়ুন : জিএসটি ব্যবস্থায় বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত, সাধারণ মানুষের জন্য কী অপেক্ষা করছে ?
প্রায় ২১ হেক্টর জমিতে ৩৩ হাজার বৃক্ষরোপণের পরিকল্পনা নিয়েছে দুর্গাপুর বন দপ্তর। ফরিদপুর ব্লকের হেতেডোবা শিল্পতালুকের পাশে বাঁশগোড়ায় বৃক্ষরোপণের সূচনা হয় ১৫ অগাস্ট। অনুষ্ঠানে বিধায়কের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলাশাসক এস পন্নমবলম, পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন ও সমবায় দপ্তরের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার, দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক, আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান কবি দত্ত, দুর্গাপুরের ডিএফও অনুপম খাঁ সহ অন্যরা।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অনুষ্ঠানে হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়েন নরেন্দ্রনাথ। তিনি ডিএফও অনুপম খাঁকে ধমকাতে শুরু করেন। বিধায়ককে বলতে শোনা যায়, ‘আমাকে না জানিয়ে কেন এখানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। আমি এলাকার বিধায়ক। উচিত ছিল, আগে আমার সঙ্গে আলোচনা করা।’ জেলাশাসকের সামনেই তিনি চিৎকার করতে থাকেন। সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আসেন প্রদীপ মজুমদার ও কবি দত্ত। তাঁরা বিধায়ককে শান্ত করেন।
এদিকে, ডিএফওকে ধমকানোর ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধায়ক ও জেলা শাসকের সমালোচনা করেছেন পান্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি বলেন, ‘একজন সরকারি আধিকারিককে অন্য সরকারি আধিকারিকের সামনে ধমকাচ্ছেন বিধায়ক। ভাবা যায়! এর থেকে বোঝা যায়, শাসক দলের বিধায়করা সাধারণ মানুষের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করেন।’
অন্যদিকে, বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হতেই রবিবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন বিধায়ক। নরেন্দ্রনাথ বলেন, ‘পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার অধীন এই এলাকায় প্রায় বারো হাজার মানুষের বসবাস। তাদের অভিযোগে গুরুত্ব না দিয়ে কোনও আলোচনা ছাড়াই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আমার কথায় কেউ দুঃখ পেলে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।’ অন্যদিকে, ডিএফও বলেন, ‘একটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। মনে হচ্ছে, আমরা ঠিক সময়ে গোটা বিষয়টি বিধায়ককে জানাতে পারিনি। তা জানানো উচিত ছিল।’
প্রতাপপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঁশগড়া, বাঁশিয়া, প্রতাপপুর সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম মিলে বারো হাজার আদিবাসী মানুষের বসবাস। বাসিন্দাদের অভিযোগ, বন দপ্তর তাঁদের জায়গা মাপজোখ না করেই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নিয়েছে। তাঁরা সমস্যার কথা বিধায়ককে জানিয়েছিলেন।