Bangla News Dunia, Pallab : বায়োকেমিক ওষুধ (Schuessler’s tissue salts) আসলে আমাদের শরীরের প্রতিটি কোষে সামান্য পরিমাণে থাকে। তবে কিছু নির্দিষ্ট লবণ (tissue salt) কিছু বিশেষ ধরনের কোষ বা টিস্যুতে তুলনামূলক বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। যেমন—
🔹 ক্যালসিয়াম ফ্লোরাইড (Calcarea Fluorica) → দাঁতের এনামেল, হাড়, লিগামেন্ট ও ধমনী প্রাচীরে বেশি থাকে।
🔹 ক্যালসিয়াম ফসফেট (Calcarea Phosphorica) → হাড় ও দাঁতের গঠনে মূল উপাদান, তাই হাড়ের কোষে বেশি।
🔹 ক্যালসিয়াম সালফেট (Calcarea Sulphurica) → যকৃত ও সংযোগস্থলের কোষে পাওয়া যায়, ক্ষত নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ।
🔹 ফেরাম ফসফেট (Ferrum Phosphoricum) → রক্তকণিকা (RBC) তে বেশি, কারণ হিমোগ্লোবিনের মূল উপাদান লোহা।
🔹 পটাশিয়াম ফসফেট (Kali Phosphoricum) → মস্তিষ্ক ও স্নায়ুকোষে বেশি, মানসিক শক্তি যোগায়।
🔹 পটাশিয়াম সালফেট (Kali Sulphuricum) → ত্বক ও এপিথেলিয়াল কোষে বেশি থাকে।
🔹 পটাশিয়াম ক্লোরাইড (Kali Muriaticum) → গ্রন্থিজ কোষে ও মিউকাস মেমব্রেনে বেশি।
🔹 ম্যাগনেসিয়াম ফসফেট (Magnesia Phosphorica) → স্নায়ু ও পেশি কোষে বেশি থাকে।
🔹 সোডিয়াম ফসফেট (Natrum Phosphoricum) → পাকস্থলী ও রক্তে বেশি, অ্যাসিড-অ্যালকালি ভারসাম্য রক্ষা করে।
🔹 সোডিয়াম সালফেট (Natrum Sulphuricum) → যকৃত ও বৃক্ক কোষে বেশি।
🔹 সোডিয়াম ক্লোরাইড (Natrum Muriaticum) → শরীরের সব কোষে, বিশেষ করে রক্ত ও শরীরের তরলে বেশি।
🔹 সিলিকা (Silicea) → চুল, নখ, ত্বক ও সংযোগকারী টিস্যুর কোষে বেশি থাকে।
👉 অর্থাৎ, প্রতিটি লবণের নিজস্ব বিশেষ কোষ ও টিস্যু আছে যেখানে তা তুলনামূলকভাবে বেশি থাকে।
চিকিৎসকের যোগাযোগ—- 9134684103