Bangla News Dunia, Pallab : ব্যক্তিগত আক্রোশ মেটাতেই নয়া দিল্লির উপর ৫০ শতাংশ বাণিজ্য শুল্ক চাপিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump)। মার্কিন বহুজাতিক বিনিয়োগ ব্যাংক ও আর্থিক পরিষেবা সংস্থা জেফরিসের এক রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে মধ্যস্ততা করতে চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু নয়াদিল্লির অবস্থানের জন্য সেটা সম্ভব হয়নি। বরং নয়াদিল্লি সরাসরি জানায়, যুদ্ধ থামাতে হলে পাকিস্তানের ডিজিএমও পর্যায়ের আধিকারিককে প্রস্তাব দিতে হবে। শেষ পর্যন্ত গত ১০ মে পাকিস্তান সরাসরি প্রস্তাব দিলে দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ বিরতি কার্যকর হয়। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্প বহু বার দাবি করেছেন, ভারত–পাকিস্তান সংঘাত পারমাণবিক যুদ্ধে পরিণত হচ্ছিল। তিনিই ব্যবসা বন্ধের হুশিয়ারি দিয়ে তা থামিয়েছেন। শুধু তাই নয়, ভারত-পাকিস্তান দুই পক্ষই তাঁর প্রস্তাবে রাজি হয়েছিল বলেও জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে ভারত সরকারিভাবে এই বক্তব্যকে খারিজ করে এসেছে।
এরসঙ্গে যুক্ত হয় মার্কিন আপত্তি উড়িয়ে রাশিয়ার থেকে তেল কেনা। ভারত ও চিনকে তেল বিক্রি করে রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ পাচ্ছে বলে অভিযোগ করে হোয়াইট হাউস। তাই রাশিয়ার উপর পরোক্ষ চাপ তৈরি করতে নয়াদিল্লিকে রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে বলে। যদিও স্বাভাবিক ভাবেই দীর্ঘদিনের বন্ধু রাশিয়ার থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে রাজি হয়নি ভারত।
জেফরিসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে ট্রাম্প ভারতের কৃষিক্ষেত্রে মার্কিন বহুজাতিকের অবাধ অনুপ্রবেশ চাইছিলেন। যাতে আপত্তি ছিল নয়াদিল্লির। বর্তমান নরেন্দ্র মোদী-সহ কোনও ভারত সরকারই কৃষি খাত আমদানির জন্য উন্মুক্ত করতে ইচ্ছুক নয়। কারণ, এর ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের উপর মারাত্মক প্রভাব পড়তে পারে। এটাও ট্রাম্পের ক্ষোভের অন্যতম কারণ।
ভারতের উপর প্রথমে ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা জানিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পরে তিনি জানান, রাশিয়ার কাছ থেকে লাগাতার তেল কেনার কারণে ভারতকে ‘জরিমানা’ দিতে হবে। পরে শাস্তি হিসাবে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয় ভারতের পণ্যের উপর। গত ২৭ অগাস্ট থেকে ভারতকে ৫০ শতাংশ শুল্ক দিয়ে পণ্য পাঠাতে হচ্ছে আমেরিকায়। যা ভারতের বহু শিল্পে অশনি সংকেত হিসেবে দেখা দিয়েছে। যদিও নয়াদিল্লি জানিয়েছে তারা কোনও চাপের কাছে নতি স্বীকার করবে না।