প্লাস্টিক সিম অতীত ! বাজারে এখন E-Sim কার্ড তুঙ্গে – আপনার করনীয় কি ? দেখুন বিস্তারিত

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

বর্তমান ডিজিটাল যুগে যেখানে স্মার্টফোন ও প্রযুক্তি দ্রুত পরিবর্তন করা হচ্ছে, সেখানে টেলিকম সাহায্যকারী এক নতুন উদ্ভাবন আসবে, যার নাম— ই-সিম (eSIM) । আনাদেদ শে সাধারণ প্লাস্টিক সি কমের যুগ যেখানে এক দোয়াল ছিল, সেখানে এখন কোল জায়গা নিচ্ছে ভার্চু সিম প্রযুক্তি সরকার। উচ্চ এয়ারটেল, জিও এবং ভিআই (ভোডাফোন আইডিয়া)-এর মতো প্রধান টেলিকম সংস্থাগুলি একই সময়ে ই-সিম গাড়ি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছে।

তাই আজকের প্রতিবেদনে বিস্তারিতভাবে বোঝে— ই-সিম সত্য কী, কোন ফোনে এটি ব্যবহার করা যাবে, অ্যাকটিভেট করতে হবে, এর মূল্য কত এবং এর সুবিধা-অসুবিধাই বা কী আছে

ই-সিম, অন্য ইম্বেডেড সাবটাইবার আইডেন্টিটি মডিউল (এমবেডেড সিম) , একটি ডিজিট সিম ব্যবস্থা যা ফোনের স্ক্রিপ্ট মাদারবোর্ডে ইনবিল্ট হয়। সাধারণ সিম কার্ডের মতন প্লাস্টিক চিপ প্রয়োজন নেই।

এই ইউরোপ ইউরোপ ও আমেরিকান দেশপন্থী প্রযুক্তি গড়ে তুলেছিল এবং এখন ভারত তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। ই-সিম সঠিক ডিভাইসের ভিতরে ফিক্সড করা থাকে, এবং টেলিকম সংস্থা থেকে প্রাপ্ত একটি QR কোড স্ক্যান করে অ্যাক্টিভেট করে।

এই QR গ্রাহক অন্য গ্রাহকের ফোন নম্বর, এবং নেটওয়ার্ক তথ্য সংরক্ষণ করে এবং সেই অনুযায়ী ফোনকেফিগার করে।

eSIM অ্যাকটিভেশনের পদ্ধতি টেলিকম সংস্থার ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। তবে সাধারণভাবে Airtel, Jio ও Vi গ্রাহকের SMS-এর মাধ্যমে ই-সিম অ্যাকটিভেট করে থাকে।

এয়ারটেল ই-সিম:

  • এসএমএস করুন eSIM email IDথেকে 121 নম্বরে পাঠাতে হয়।
  • এর কনফার্ম এসএমএস
  • এর উত্তর 1দিন
  • তারপর রেজিস্টার্ড ইমেল আইডি-তে একটি কিউআর ফাইল তুলে ধরুন।
  • অনুসন্ধানে গিয়ে ‘মোবাইল প্ল্যান যোগ করুন’ অপশনে গিয়ে স্ক্যান করতে হবে।

জিও ই-সিম:

  • জিও স্টোর বা জিও কেয়ার-এ গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়
  • রেজিস্ট্রেশনের পরে QR দেওয়া হয়
  • সর্গ থেকে স্ক্যান করে প্ল্যান অ্যাড করতে হবে

ভিআই (ভোডাফোন আইডিয়া):

ভিআই কেবল পোস্টপেইড গ্রাহকদের জন্য eSIM পরিষেবা দেয়।

  • এসএমএস করুন eSIMemail IDথেকে 199 নম্বরে পাঠাতে হবে।
  • রেজিস্টার্ড ইমেলে কিউআর আইডি
  • ইস্ক্যান করে অ্যাকটিভেশন শেষ করতে হবে

স্ক্যান করার পদ্ধতির বিকল্প হতে পারে। তাই ফোনের নির্দেশিকা বা অফিশাল ওয়েবসাইট ওয়েব কাজ করাই উত্তম হবে।

eSIM ব্যবহার করার জন্য সাধারণ প্রশাসন দিতে হবে না । এটি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। আপনি যে রিচার্জ প্ল্যান বা পোস্টপেইড প্ল্যান ব্যবহার করেন, মনেই প্রযোজ্য হয়।

অন্য ই-সিম প্ল্যান একই দামে, যেমনটা সাধারণ সিম করে থাকে। শুধুমাত্র সিম কার্ডের পরিবর্তে ডিজিটেল QR কোডের মাধ্যমে তা কার্যকর করার প্রয়োজন হয়।

eSIM- বড় সুবিধা হল, একটি ফোনে ফিজ আপ সিম ও ই-সিম-এর দুইই ব্যবহার করা সম্ভব । অন্যত্র আপনি আপনার বিকল্প নির্বাচনের অংশীদার অংশ নিতে পারেন— একটি ফিজ আপনার বিরুদ্ধে, ইসি-সিম।

অনেক আদর্শ আইফোন বা স্যামসাং ফোনে এখন ই সিম + ইসিম কম্বিনেশন সাপোর্ট করে, যেখানে ইএসআইএম নম্বর তৈরি করা সম্ভব।

  • সিম হারানোর ভয় নেই – আমার ফোনের ভিতরেই ফিক্সড থাকে, তাই সিম হারানোর ভয় নেই।
  • দোকানে যাওয়া সম্ভব না – ই-সিম ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন অ্যাকটিভ করা।
  • মাল্টি-নেট সাপোর্ট – অনেক ফোনে ফোনেওয়ার্ক তথ্য ই-সিম ব্যবহার করতে পারেন।
  • ভবিষ্যৎ-প্রস্তুত প্রযুক্তি – এটির পরবর্তী কানেক্টিভিটির জন্য অত্যন্ত উপযোগী হব।
  • ইকো-ফ্রেন্ডলি – প্লাস্টিক সিমের প্রয়োজন নেই, তাই পরিবেশবান্ধব থাকে।
  • ফোন বদলালে সমস্যা – ই-সিম অন্য ফোনে ট্রান্সফার করা যাবে না, আবার অ্যাকটিভেট করতে হবে।
  • সব ফোন সফটওয়্যার নেই – ব্যাপক টেলিফোনে এখনও ই-সিম প্রযুক্তি ব্যবহার নেই।
  • ফোন হারালে অসুবিধা – ফোন হারালে সিম পরিবর্তন করা কঠিন হয়।
  • কিউআর কোড ব্যবহারকারী সমস্যা – কিউআর কোড হারিয়ে আবার নতুন করে রেজিস্ট্রেশন করতে হয়।

সব স্মার্টফোনে ই-সিম সাপোর্ট ব্যবস্থা নেই। লাইন ফোনে ইএসআইএম প্রযুক্তি ব্যবহার রয়েছে, কেবল সে ব্যবহার করতে এটি ব্যবহার করতে।

পাল্টা কিছু ভালো ফোনের সাহায্য দেওয়া যেটা ই-সিম ব্যবহার করা হয়—

আইফোন সিরিজ:

  1. আইফোন এক্সআর, এক্সএস, এক্সএস ম্যাক্স
  2. আইফোন ১১ সিরিজ
  3. iPhone 12, 13, 14, 15 সিরি
  4. iPhone SE (2nd Gen এবং পরবর্তী)

স্যামসাং সিরিজ:

  1. গ্যালাক্সি জেড ফ্লিপ, জেড ফোল্ড সিরির ফোন
  2. Galaxy S20 সিরি ও পরবর্তীতে তৈরি হতে পারে
  3. গ্যালাক্সি নোট 20 সিরি

গুগল পিক্সেল সিরিজ:

  • পিক্সেল 3, 3a এবং তার পরবর্তী মডেলগুলি আছে

অন্যান্য ডিভাইস:

  1. অ্যাপল ওয়াচ (সেলুলার), গ্যালাক্সি ওয়াচ
  2. কিছু আদর্শ ল্যাপটপ ও ট্যাবে
  3. গাড়ির স্বপ্ন কানেক্টিভিটি সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে
  4. ড্রোন ও আইওটি ব্যবহার করে

যদি আপনার ফোন ইসিম সাপোর্ট না করে, তাহলে আপনি এটি ব্যবহার করতে পারবেন না।

টেলিকম সংস্থাগুলি বারবার সতর্ক করছে— QR বা eSIM অ্যাকটিভেশন সংক্রান্ত তথ্য কখনও শেয়ার করা যাবে না । ইদানীং অনেক ফ্রীড QR কোডের মাধ্যমে সিম সুইচিং ক্রাইম করেছে।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন