দুমাসের ব্যবধানে কি অনেকটাই বদলে গেল কূটনৈতিক সমীকরণ! সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (SCO) শীর্ষ সম্মেলনে কার্যত ভারতের পাশে দাঁড়াল চিন,যা বিশ্ব কূটনৈতিক মহলে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু কোন ঘটনা উসকে দিল ভারত-চিন সম্পর্কের এই নতুন সমীকরণের সম্ভাবনা?
প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁও-এ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় যুক্ত অপরাধী ও মদতদাতাদের বিচারের আওতায় আনার দাবিও জানানো হয়েছে। যদিও বিবৃতিতে সরাসরি পাকিস্তানের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
তবে মাত্র দুমাস আগেও পরিস্থিতি ছিল ভিন্ন। ২৬ জুন চিনের কিংডাও শহরে অনুষ্ঠিত এসসিও-র প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সম্মেলনে যৌথ বিবৃতি প্রকাশ সম্ভব হয়নি। কারণ, ভারত পহেলগাঁও কাণ্ডের উল্লেখ চেয়েছিল, কিন্তু চিন ও অন্য সদস্যরা তাতে রাজি ছিল না। এর প্রতিবাদে রাজনাথ সিংহ বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করেই বৈঠক ত্যাগ করেছিলেন। কিন্তু এবার শীর্ষ সম্মেলনে সেই পহেলগাঁও কাণ্ডের উল্লেখ করে যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যা ভারতের কূটনৈতিক বিজয় হিসেবেই ধরা হচ্ছে।
অন্যদিকে, একসময়ের ‘বন্ধু’ আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের টানাপোড়েন চলছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব বাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পহেলগাঁও কাণ্ডের তীব্র নিন্দা করে এসসিও সম্মেলনের যৌথ বিবৃতি প্রকাশ যে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, সে কথা বলাই বাহুল্য।