অনেকেই চাকরির পিছনে আর না ছুটে নিজেই চান নিজের একটি ব্যবসা হোক, যা থেকে আয় হবে নিয়মিত এবং ভবিষ্যৎ হবে সুরক্ষিত। তবে সাধারণ ধারণা হলো ব্যবসা শুরু করতে গেলে অনেক টাকা লাগে। তবে এমনটা নয়। বাস্তবে কিন্তু মাত্র ৫,০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করেই আপনি বেশ কিছু লাভজনক ছোট ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনার যদি ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি খুব অল্প পুজতেই আপনার ব্যবসা দাঁড় করাতে পারেন।
এই প্রতিবেদনে আমরা জানব এমনই কয়েকটি দুর্দান্ত ব্যবসার আইডিয়া যা নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য উপযুক্ত, কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং দীর্ঘমেয়াদে আয়ের পথ খুলে দেয়।
কেন ছোট বিনিয়োগে ব্যবসা শুরু করবেন?
খুব অল্প টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ঝুঁকি কম থাকে। নিজের দক্ষতা ও প্রতিভা কাজে লাগানো যায়। ধীরে ধীরে ব্যবসা বড় করার সুযোগ থাকে। বাজারের চাহিদা অনুযায়ী সহজে পরিবর্তন আনা যায়। যেকোনো সময় পরিবর্তন করে অন্য ব্যবসায় শিফট হওয়া যায়।
১. অনলাইন টিউশনি বা শিক্ষকতা
আপনার যদি কোনো বিষয়ে দক্ষতা থাকে, যেমন ইংরেজি, অঙ্ক, বিজ্ঞান বা এমনকি সঙ্গীত ও আঁকায়, তাহলে ঘরে বসেই অনলাইন টিউশনি শুরু করতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনি আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়ে শুরু করতে পারবেন এই ব্যবসা। শুধুমাত্র প্রয়োজন হবে ইন্টারনেট কানেকশন এর। এই ব্যবসায়ী বিনিয়োগ প্রায় শূন্য। এই ব্যবসা শুরু করলে আয় হবে প্রতি ঘন্টায় ২০০–৫০০ টাকা পর্যন্ত।
২. হোম ফুড ডেলিভারি
চাকরিজীবী বা ছাত্রছাত্রীদের কাছে বাড়ির রান্না করা খাবারের চাহিদা অনেক। ভাই আপনি যদি ভালো রান্না করতে পারেন তাহলে এটি আপনার জন্য। বাড়িতে রান্না করে প্যাকেটজাত করে ডেলিভারি দিলে ভালো আয় হতে পারে।
- বিনিয়োগ: রান্নার উপকরণ + প্যাকেজিং।
- আয়: মাসে ২০–৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
৩. অনলাইন বেকারি
কেক, কুকিজ বা পেস্ট্রি বানানোর শখ থাকলে এটি দারুণ ব্যবসা হতে পারে। বর্তমান দিনে অনেকেই বাড়িতে বসে কেক বানাতে ভালোবাসেন। ইনস্টাগ্রাম বা ফেসবুকে প্রচার করলেই গ্রাহক পাওয়া যায়। অল্প পুজিতে এই ব্যবসাতেও অনেক লাভ।
- বিনিয়োগ: ৫–১০ হাজার টাকার উপকরণ।
- আয়: প্রতি কেক ৫০০–২০০০ টাকা পর্যন্ত।
৪. ট্রাভেল এজেন্সি
ট্রাভেল বুকিং এখন সম্পূর্ণ অনলাইনে হয়। বাড়িতে বসেই আপনি শুরু করতে পারবেন এই ব্যবসা। মাত্র ৫–১০ হাজার টাকা দিয়ে লাইসেন্স নিয়ে ছোট আকারে ট্রাভেল এজেন্সি শুরু করতে পারেন। প্রতি মাসে নিশ্চিত আই ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা।
৫. হস্তশিল্প বিক্রি
গ্রামীণ শিল্পীদের কাছ থেকে জিনিসপত্র সংগ্রহ করে শহরে বা অনলাইনে বিক্রি করা যায়। অনেকেই হাতের কারুকার্য মাধ্যমে ভালো ভালো জিনিষ তৈরি করতে পারবেন। এতে শুধু ব্যবসা নয়, শিল্পীরাও উপকৃত হন।
৬. দর্জির দোকান
সেলাই জানলে এটি সবসময় লাভজনক ব্যবসা। জামা-কাপড়ের ডিজাইনিং করে ভালো আয় সম্ভব। ভালো জমা কাপড় তৈরি করে অনলাইনে বিক্রি করলে প্রচুর আয় করা যায়।
৭. কনটেন্ট রাইটিং
লেখালিখি ভালো লাগলে অনলাইনে কনটেন্ট রাইটার হয়ে যেতে পারেন। অনেক ওয়েবসাইট এর জন্য টাকা দেয়। ভালো লিখতে পারলে আপনি মাসে ৫০-৬০ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
৮. ইউটিউব চ্যানেল
আপনার শখ অনুযায়ী ইউটিউব চ্যানেল খুলে নিয়মিত ভিডিও বানান। ভিউ বাড়লেই বিজ্ঞাপন থেকে আয় হবে। প্রতি মাসে লাখ টাকা প্রযন্ত আয় করা সম্ভব।
৯. পেপার ব্যাগ তৈরি
প্লাস্টিক নিষিদ্ধ হওয়ায় পেপার ব্যাগের ব্যবসা দিন দিন বাড়ছে। অল্প টাকায় মেশিন কিনে শুরু করা যায়। প্রচুর আয় করা যায় এই ব্যবসায়। গড়ে বসে মহিলারাও এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।
১০. ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস
যদি SEO বা সোশ্যাল মিডিয়ার জ্ঞান থাকে, তাহলে ছোট ব্যবসাগুলিকে পরিষেবা দিয়ে আয় করা সম্ভব।