জন্ম সনদ তৈরি করেননি ? চিন্তা নেই -রাজ্য সরকার দিচ্ছে অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ

By Bangla News Dunia Desk - Pallab

Published on:

বর্তমানে সারাদেশে ভোটার সংশোধন সহ নাগরিকত্ব প্রমাণ নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে হইচই সৃষ্টি হয়েছে। ঠিক এমন সময় ভারতীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অন্যতম চিন্তার বিষয় হয়েছে যে তাদের জন্ম সার্টিফিকেট এখনো করা হয়নি। অনেক রয়েছে যাদের বয়স পার হয়ে গেছে অথবা কোন কারণবশত জন্ম সার্টিফিকেট সময় মত বানাতে পারেননি, এবার তাদের জন্য দেরিতে জন্ম সার্টিফিকেট বানানোর সুযোগ করে দিল রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে অনলাইন মাধ্যমে ডিলে বার্থ সার্টিফিকেট বানানোর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

অনেক সময় নানা কারণে শিশুর জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই জন্ম সনদ তৈরি করা হয়না। যদি জন্মের এক বছর পেরিয়ে যায়, তবে সেটিকে “Delayed Registration” হিসেবে ধরা হয়। এই পরিস্থিতিতে জন্ম সনদ পেতে হলে আপনাকে কিছু বিশেষ ধাপ অনুসরণ করতে হবে এবং District Magistrate বা Executive Magistrate-এর অনুমোদন প্রয়োজন হয়ে থাকে।

কারা পড়েন Delayed Category-তে?

যদি কারও জন্মের ১ বছরের বেশি সময় পার হয়ে গিয়ে থাকল এবং তখনও জন্মনিবন্ধন না করা হয়, তবে তার ক্ষেত্রে “Delayed Birth Registration” করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে ।

Delayed Birth Certificate পাওয়ার ধাপসমূহ

ধাপ ১: প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে 

ডকুমেন্ট বিবরণ
আবেদনপত্র নির্ধারিত ফর্মে দেরিতে জন্মনিবন্ধনের জন্য আবেদন পত্র সংগ্রহ
হলফনামা (Affidavit) বাবা-মা অথবা প্রাপ্তবয়স্ক আবেদনকারীর স্বাক্ষরিত হলফনামা, যাতে জন্মের সময়, স্থান এবং পরিস্থিতি বর্ণনা করা থকে
পরিচয়পত্র আবেদনকারী ও সন্তানের আধার, ভোটার আইডি বা পাসপোর্ট
জন্মপ্রমাণ হাসপাতালের জন্মপ্রমাণপত্র, ডাক্তার/দাইয়ের লিখিত প্রমাণ বা হাসপাতাল ডিসচার্জ সার্টিফিকেট থাকতে হব
স্থানীয় প্রত্যয়নপত্র গ্রাম প্রধান, কাউন্সিলর বা স্থানীয় বাসিন্দার স্বাক্ষরিত ঘোষণাপত্র—জন্ম সংক্রান্ত তথ্য যাচাইয়ের জন্য লাগবে

ধাপ ২: আবেদনপত্র জমা দিন

  • আবেদনপত্র ও সকল ডকুমেন্ট স্থানীয় পৌরসভা, পৌর সংস্থা বা পঞ্চায়েত অফিসে জমা দিতে হবে।
  • অনলাইন আবেদন করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট পৌরসভা বা ব্লক বা জেলা ওয়েবসাইটে গিয়ে জমা দেওয়া যায় (যদি সুবিধা থাকে)।

ধাপ ৩: ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা

  • যদি জন্ম ১ বছরের বেশি পুরনো হয়ে থাকে, তাহলে আবেদনটি সংশ্লিষ্ট District Magistrate বা Executive Magistrate-এর কাছে পাঠানো হয় এর অনুমোদনের জন্য
  • ম্যাজিস্ট্রেট ডকুমেন্ট যাচাই করে অনুমোদন দিলে তবেই জন্মসনদ ইস্যু করা হয়ে থাকে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

বিচারব্যবস্থার আওতা (Jurisdiction)

  • আপনি যে জেলার বাসিন্দা, সেই জেলার BDO, SDO বা SDM অফিস থেকে আপনাকে শংসাপত্র/অনুমতি নিতে পারেন।
  • শহরাঞ্চলে এটি Municipality বা Corporation Office দ্বারা পরিচালিত হয়ে থাকে।

দেরির ফি (Late Fees)

  • দেরিতে জন্মনিবন্ধন করলে একটি Late Fine দিতে হতে পারে, যা জেলা ভেদে ₹১০০ – ₹৫০০ আলাদা আলাদা হতে পারে।
  • অনেক ক্ষেত্রে Affidavit-এর নোটারি ফি আলাদা দিতে হবে ।

যাচাই প্রক্রিয়া (Verification)

  • ম্যাজিস্ট্রেট অথবা কর্তৃপক্ষ আবেদনকারীর নথি যাচাই করে অনুমোদন দেবেন।
  • স্থানীয় কাউন্সিলর বা পঞ্চায়েত প্রধানের সুপারিশ (Declaration) অনেক ক্ষেত্রেই কার্যকর হয়ে থাকে।

কখন জন্ম সনদ লাগতে পারে?

প্রয়োজনে জন্ম সনদ প্রয়োজন
স্কুলে ভর্তি সংক্রান্ত
বৃত্তি আবেদন করত
 আধার কার্ড তৈরিতে জন্মের প্রমাণ
পাসপোর্ট তৈরিতে
ডোমিসাইল সার্টিফিকেটে বয়স প্রমাণ হিসেবে
সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে

কত দিনে জন্ম সনদ পাওয়া যায়?

প্রক্রিয়া সময়সীমা
সাধারণ আবেদন করার পর ৫–৭ কার্যদিবস
Delayed Registration (১+ বছর পর) ১৫–৩০ দিন বা Magistrate Order এর ওপর নির্ভরশীল

কোথায় যোগাযোগ করবেন?

  1. গ্রামীণ এলাকায়: স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিস বা BDO অফিসে যেতে হবে
  2. শহরে: পৌরসভা বা কর্পোরেশন অফিসের Birth and Death Registrar
  3. অনলাইন: https://edistrict.wb.gov.in/portal (সব জায়গায় উপলব্ধ না-ও থাকতে পারে)

আপনার বয়স যদি এক বছর পেরিয়ে যায় এবং এখনো পর্যন্ত আপনার জন্ম সার্টিফিকেট তৈরি করে না থাকেন তাহলে আপনার জন্য এটি সেরা সুযোগ হতে চলেছে। কেননা রাজ্য সরকারের বিশেষ ডিস্ট্রিক্ট পোর্টালে গিয়ে অনলাইন মাধ্যমে আবেদন চলছে। এর জন্য বিশেষ কিছু ডকুমেন্টস জমা দিয়ে অনলাইনে আবেদন করে আপনার জন্ম সার্টিফিকেট তৈরি করে নিতে পারেন। সামান্য কিছু ফি জমা করতে হবে এবং সঙ্গে কিছুদিন সময়ই দিলেই এই ডকুমেন্টস হাতে পাওয়া সহজ হবে।

Bangla News Dunia Desk - Pallab

মন্তব্য করুন