কলকাতা হাইকোর্টে ৩২,০০০ অপ্রশিক্ষিত প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের মামলাটি এক নতুন মোড় নিয়েছে। বিচারপতি তপব্রত চক্রবর্তী এবং বিচারপতি ঋতব্রত কুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে, যা পশ্চিমবঙ্গের হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে।
মামলার বর্তমান অবস্থা
এই মামলাটি, যার ম্যাট নম্বর ৮৭৩/২০২৩, পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড এবং প্রিয়াঙ্কা নস্করের মধ্যে চলছে। এর সাথে যুক্ত হয়েছে ১১১টিরও বেশি কানেক্টেড অ্যাপ্লিকেশন (ক্যান), যা এই মামলার জটিলতা এবং গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। আজ, সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখ, লাঞ্চের বিরতির পর দুপুর ২টো থেকে এই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার কথা।
শুনানির মূল বিষয়
শুনানির সময়, ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষদের আইনজীবীরা তাদের যুক্তি পেশ করেছেন। বর্তমানে, চাকরি থেকে বঞ্চিত প্রার্থীদের আইনজীবীরা তাদের বক্তব্য রাখছেন। আদালত স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে, দুর্নীতির অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য অকাট্য তথ্যপ্রমাণ দাখিল করতে হবে। চাকরি বিক্রি বা কেনার ক্ষেত্রে কারা জড়িত, তার প্রমাণ দিতে বলা হয়েছে।
মামলার ভবিষ্যৎ
আইনজীবীদের যুক্তি-তর্ক পর্ব প্রায় শেষের দিকে। এরপর, চাকরি হারানো শিক্ষক বা বোর্ড তাদের প্রত্যুত্তর দেবে এবং বিচারকদের প্রশ্নের জবাব দেবে। আসন্ন ছুটির কারণে, পুরো শুনানি প্রক্রিয়া শেষ হতে আরও এক থেকে দুই মাস সময় লাগতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই মামলার রায় পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষা জগতে এক সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে এক কঠোর বার্তা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। সকলের নজর এখন আদালতের রায়ের দিকে।