শনিবার গাজায় ইজরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এমনই দাবি করা হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে। নিহতদের মধ্যে ১২টি শিশুও রয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শনিবার শেখ রাদওয়ানে হামলায় একই পরিবারের ১০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে এক মহিলা এবং তিন শিশু রয়েছে।
ফিলিস্তিনি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, ইজরায়েলের সামরিক হামলায় আল-হেলাল স্পোর্টিং ক্লাবের ফুটবলার মহম্মদ রমেজ সুলতান এবং তাঁর পরিবারের আরও ১৩ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। ইজরায়েলের সেনাবাহিনীর অবশ্য বলেছে, তারা গাজায় হামাসের টাওয়ারকে লক্ষ্যবস্তু করেছিল। বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সেনা গাজার বেসামরিক নাগরিকদের শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। ইতিমধ্যে আড়াই লক্ষের বেশি মানুষ শহর ছেড়েছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইজরায়েলে ঢুকে হামলা চালায় হামাস। সেই সময় ২৫১ জনকে অপরহণ করে গাজায় নিয়ে যায় তারা। এর মধ্যে ৪৭ জন এখনও গাজায় হামাসের হাতে পণবন্দি। হামাস সমস্ত পণবন্দিকে মুক্তি দেবে, এই শর্তে ইজরায়েল সাময়িক সংঘর্ষ বিরতিতে রাজি হয়েছিল। কিন্তু হামাস শর্ত না মানায় ফের গাজায় হামলা শুরু করে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী। ইজরায়েলের সেনাবাহিনী বলছে, পণবন্দিদের মধ্যে অন্তত ২৫ জন নিহত হয়েছেন। হামাসের হাতে বাকি পণবন্দিদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে শনিবার তেল আভিভে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন অপহৃতদের পরিবারের লোকেরা।
এদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় ইজরায়েলের হামলায় প্রায় ৬৫ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।