সোনা শুধু একটি মূল্যবান ধাতুই নয়, এটি ভারতীয় সংস্কৃতির একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। উৎসব-অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে বিনিয়োগ, সবক্ষেত্রেই সোনার গুরুত্ব অপরিসীম। তবে আপনি কি জানেন, বাড়িতে ইচ্ছেমতো সোনা রাখা আইনত বৈধ নয়? আয়কর বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী, নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি সোনা বাড়িতে রাখলে আপনাকে পড়তে হতে পারে ভারী জরিমানার মুখে। চলুন, এই বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
বাড়িতে সোনা রাখার সীমা
সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সেস (CBDT)-এর নিয়ম অনুযায়ী, বাড়িতে সোনা রাখার একটি নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে। এই সীমা লিঙ্গ এবং বৈবাহিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়।
- বিবাহিত মহিলা: একজন বিবাহিত মহিলা ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত সোনার গয়না বাড়িতে রাখতে পারেন।
- অবিবাহিত মহিলা: অবিবাহিত মহিলাদের জন্য এই সীমা ২৫০ গ্রাম।
- পুরুষ: পরিবারের প্রত্যেক পুরুষ সদস্য, বিবাহিত বা অবিবাহিত নির্বিশেষে, ১০০ গ্রাম পর্যন্ত সোনার গয়না রাখতে পারেন।
আয়কর হানার সময় কী হয়?
যদি আয়কর বিভাগ আপনার বাড়িতে তল্লাশি চালায়, তবে উপরে উল্লিখিত সীমা পর্যন্ত সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করা হবে না। তবে, এই নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে থাকা সোনার উৎস সম্পর্কেও আপনাকে প্রমাণ দিতে হতে পারে। তাই, সোনা কেনার সময় তার রশিদ এবং মেকিং চার্জের বিল যত্ন সহকারে গুছিয়ে রাখা অত্যন্ত জরুরি।
সীমার বেশি সোনা থাকলে কী হবে?
যদি আপনার কাছে নির্ধারিত সীমার চেয়ে বেশি সোনা থাকে, তাহলে আয়কর বিভাগ তার উৎস সম্পর্কে জানতে চাইবে। আপনি যদি সেই অতিরিক্ত সোনার বিনিয়োগের উৎসের সন্তোষজনক ব্যাখ্যা এবং প্রমাণ দিতে পারেন, তবে সেটি বাজেয়াপ্ত করা হবে না। প্রমাণ হিসেবে যা যা গ্রাহ্য হতে পারে:
- ট্যাক্স ইনভয়েস বা কেনার রশিদ
- ব্যাঙ্ক লেনদেনের রেকর্ড
- উইল বা পারিবারিক মীমাংসার চুক্তিপত্র
- গিফট ডিড (উপহারের চুক্তিপত্র)