চিনের পণ্যের ওপর ৫০-১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের অনুরোধ জানিয়ে ন্যাটো দেশগুলিকে চিঠি পাঠিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর অনুরোধ যে শুল্ক যুদ্ধকে আরও তীব্র করবে রবিবার তা বুঝিয়ে দিল চিন। বর্তমানে স্লোভেনিয়া সফরে রয়েছেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। সেখান থেকে এক বিবৃতি জারি করেছেন তিনি।
রবিবার স্লোভেনিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী তথা বিদেশমন্ত্রী ও ইউরোপ বিষয়ক মন্ত্রী তানজা ফাজনের সঙ্গে বৈঠক শেষে ই বলেছেন, ‘চিন কোনও যুদ্ধে অংশ নেয় না বা অংশগ্রহণের পরিকল্পনা করে না। চিন সবসময় শান্তি আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়ার পক্ষে।’ ট্রাম্পের নাম না করে ইউরোপকে চিনা বিদেশমন্ত্রীর বার্তা, ‘চিন এবং ইউরোপের প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ার পরিবর্তে বন্ধু হওয়া উচিত। একে অপরের মুখোমুখি দাঁড়ানোর বদলে সহযোগিতা করা উচিত।’
ন্যাটো দেশগুলিকে লেখা চিঠিতে ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ইউক্রেন যুদ্ধে ইতি টানতে হলে রাশিয়াকে তেল বিক্রি থেকে বিরত রাখতে হবে। এজন্য চিনের পণ্যের ওপর ৫০-১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ জরুরি। আমেরিকা ও ন্যাটো একসঙ্গে এটা করতে পারে। যুদ্ধ শেষ হলেই সেই শুল্ক তুলে নেওয়া হবে।’ রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার কারণে এর আগে ভারতীয় পণ্যে ২৫ শতাংশ জরিমানা আরোপ করেছেন ট্রাম্প। যার জেরে আমেরিকায় ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর শুল্কের হার ৫০ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। এবার চিনের ক্ষেত্রেও একই কৌশল নিতে চাইছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
তবে শুধু ভারত ও চিন নয়, ন্যাটোর একাধিক দেশ রাশিয়া থেকে তেল কেনে। তা নিয়েও ক্ষোভ গোপন করেননি ট্রাম্প। তিনি জানান, তুরস্ক, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়ার মতো ন্যাটোর সদস্য দেশ রাশিয়া থেকে প্রচুর পরিমাণ তেল কিনছে। এর ফলে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে তাঁদের দরকষাকষি করতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প।