‘হিংসা ধেয়ে আসছে, লড়ো নয় মরো’, ব্রিটেনে অভিবাসন বিরোধীদের বার্তা মাস্কের

By Bangla News Dunia Dinesh

Published on:

লাগামহীন অভিবাসন ইস্যুতে ব্রিটিশদের সতর্ক করে দিলেন মার্কিন ধনকুবের এলন মাস্ক(Elon Musk)। তিনি জানিয়েছেন, অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসনকে কেন্দ্র করে ব্রিটেনে হিংসা ছড়িয়ে পড়তে পারে। বিপর্যয়ের দিকে এগিয়ে চলেছে ব্রিটেন। শনিবার লন্ডনে টমি রবিনসন আয়োজিত অতি-দক্ষিণপন্থী অভিবাসন বিরোধী সমাবেশে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন মাস্ক। এক্স, স্পেসএক্স কর্তা বলেন, ‘ব্রিটেন ধ্বংসের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে’। বর্তমান অবস্থা থেকে মুক্তির দুটি রাস্তা বাতলেছেন তিনি। মাস্ক(Elon Musk) নির্দেশিত পথ দুটি হল, ‘হয় লড়াই করো অথবা মরো।’ তিনি ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যকে বাঁচাতে বর্তমান বামপন্থী স্টারমার সরকারকে উৎখাতের ডাক দিয়েছেন।

ইসলাম বিরোধী উগ্র-দক্ষিণপন্থী রাজনীতিবিদ টমি রবিনসনের ‘উইনাইট দ্য কিংডম’ সমাবেশে ভার্চুয়াল বক্তৃতায় মাস্ক বলেছেন, ‘ব্রিটিশদের মধ্যে একটা সুন্দর ব্যাপার আছে। কিন্তু এখন আমি দেখছি ব্রিটেন ধ্বংসের দিকে এগোচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত অভিবাসনে তার গতি বেড়েছে। আমার মনে হচ্ছে, যা চলছে তা চললে হিংসা আসবেই। তখন লড়তে হবে নয় মরতে হবে। এটাই সত্যি। বাঁচার বিকল্প পথ থাকবে না।’
রবিনসনের দক্ষিণপন্থীদের সমাবেশে দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষের ভিড় দেখেছে ব্রিটেন। সাম্প্রতিক অতীতে এত বড় জমায়েত দেখা যায়নি। ইংল্যান্ডের সেন্ট জর্জের লাল-সাদা পতাকা, যুক্তরাজ্যের জাতীয় পতাকা ইউনিয়ন জ্যাক হাতে বিক্ষোভকারীদের স্লোগান ছিল ‘আমরা আমাদের দেশ ফিরে পেতে চাই।’ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ২৬ জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। চারজনের আঘাত গুরুতর। কারোর দাঁত, কারোর নাক ভেঙেছে। মেরুদণ্ডে আঘাত পেয়েছেন কেউ। পুলিশ ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

ঋষি সুনক সরকারের পতনের পর বিপুল জনসমর্থন নিয়ে লেবার পার্টির নেতা কিয়ের স্টারমার প্রধানমন্ত্রী হলেও তাঁর জনসমর্থনে ভাটা পড়েছে। সরকারের আর্থিক ও অন্যান্য নীতির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ মানুষ। বেড়েছে অতি-দক্ষিণপন্থী আদর্শের প্রতি ঝোঁক। মাস্কের মতে, ‘সরকার বদলাতে হবে। চার বছর অপেক্ষা করলে চলবে না। পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে ভোট করতে হবে।’

Bangla News Dunia Dinesh

মন্তব্য করুন