পশ্চিমবঙ্গের জনসাধারণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করেছিলেন সুফল বাংলা স্কিম (Sufal Bangla Scheme). কৃষকদের স্বনির্ভর করে তোলার উদ্যোগে এই প্রকল্পটি ভূমিকা রাখে। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে এই প্রকল্পটি শুরু করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee). তারপর থেকে হাজার হাজার মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন।
West Bengal Sufal Bangla Scheme
রাজ্যের কৃষক ও সাধারণ মানুষের কাছে একজন মধ্যস্থতাভোগীর সাহায্য ছাড়াই সুফল বাংলা স্কিম (Sufal Bangla Scheme)-এর মাধ্যমে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে রাজ্য সরকার। এই প্রকল্পের দ্বারা একজন কৃষক ন্যায্য দাম পাবেন আর গ্রাহক পাবেন সুলভে নির্ভরযোগ্য খাদ্য সামগ্রী। এই স্কিমে কৃষক এবং গ্রাহক উভয়ে লাভবান হন। কৃষকের কাছ থেকে সরকার সরাসরি খাদ্যশস্য কিনে গ্রাহকদের কাছে বিক্রয় করেন।
সুফল বাংলা প্রকল্পে কী কী খাদ্যশস্য পাওয়া যায়?
সুফল বাংলা প্রকল্পের মাধ্যমে একজন গ্রাহক নানা ধরনের খাদ্যশস্য ও শাক সবজি ফলমূল পাবেন। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রী যেরকম খাদ্যশস্য পাওয়া যাবে, শাকসবজি এবং ফলমূল পাওয়া যাবে, আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে মাংস পাওয়া যায়। বর্তমানে কলকাতা ও শহরতলী মিলিয়ে ১০০ টিরও বেশি স্থায়ী সুফল বাংলা স্টল রয়েছে। এছাড়া ভ্রাম্যমান গাড়ি এমন কি অনলাইনের মাধ্যমেও অনেক সময় দ্রব্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়।
এই প্রকল্পের সুবিধাগুলি কী কী?
- কৃষক ও গ্রাহকের স্বস্তি: সুফল বাংলা প্রকল্প কৃষক ও গ্রাহকের স্বস্তির কারণ। কৃষকদের কাছ থেকে দ্রব্যসামগ্রী সরাসরি সরকার কিনে সেগুলি গ্রাহকের কাছে বিক্রয় করছে। ফলে উভয় পক্ষ লাভবান হচ্ছে।
- পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ: এটি একটি পরিবেশবান্ধব উদ্যোগ। সবাই এর দ্বারা উপকৃত হচ্ছেন।
- কর্মসংস্থান সৃষ্টি: রাজ্যের এই উদ্যোগের ফলে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। আর সাধারণ মানুষের উপকার হচ্ছে।
এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করবেন কিভাবে?
আপনি যদি এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে চান তাহলে আপনাকে কয়েকটি ধাপ পার করতে হবে। আর সেগুলি হলো-
- প্রথমে আপনাকে কৃষি বিপণন সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
- তারপর আপনাকে আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে।
- সমস্ত নথি জমা করতে হবে।
- আপনার আবেদন জমা করে দিতে হবে। আর এভাবেই আপনার আবেদন জমা হবে।