ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারো সম্প্রতি ভারতকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেছেন। তাঁর এই মন্তব্য দুই দেশের মধ্যে আসন্ন বাণিজ্য আলোচনার ঠিক আগে একটি নতুন বিতর্ক তৈরি করেছে। নাভারো বলেছেন যে, ‘ভারত অবশেষে আলোচনার টেবিলে আসছে এবং এটি একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।’ বর্তমানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি দল ভারতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে কথা বলতে এসেছে।সেই আবহে তাঁর এই মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এক সাক্ষাৎকারে নাভারো বলেন, “ভারত আলোচনার টেবিলে আসছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একটি খুব সদর্থক, সুন্দর, গঠনমূলক টুইট করেছেন এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার জবাব দিয়েছেন। আমরা দেখব এটা কীভাবে কার্যকরি হয়।”
গত সপ্তাহে, ট্রাম্প তাঁর ‘ট্রুথ সোশ্যাল’ প্ল্যাটফর্মে জানান যে, ভারত এবং আমেরিকা তাদের বাণিজ্যিক বাধাগুলো দূর করতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে এবং তিনি তাঁর “খুব ভালো বন্ধু” প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলার অপেক্ষায় রয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, উভয় দেশের জন্য একটি সফল চুক্তিতে পৌঁছানো কোনও কঠিন কাজ হবে না। এর জবাবে মোদি এক্স (X)-এ লেখেন, তিনি আত্মবিশ্বাসী যে, এই আলোচনাগুলো ভারত-যুক্তরাষ্ট্র অংশীদারিত্বের “সীমাহীন সম্ভাবনা” উন্মুক্ত করবে। তিনি দুই দেশকে “ঘনিষ্ঠ বন্ধু” হিসেবেও বর্ণনা করেন।
তবে, নাভারো তাঁর পুরোনো অবস্থান থেকে সরে আসেননি। তিনি ভারতকে এদিন আবারও “শুল্কের মহারাজা” বলে সম্বোধন করেন। নাভারো ভারতের রাশিয়ান তেল কেনার বিষয়েও তীব্র সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই ভারতীয় রিফাইনারিগুলো রাশিয়ার সঙ্গে হাত মিলিয়ে মুনাফা করছে এবং রাশিয়াকে যুদ্ধের অর্থ জোগাচ্ছে।
তিনি আরও দাবি করেন যে, এই মাসের শুরুতে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সম্মেলনে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নেওয়াটা প্রধানমন্ত্রী মোদির জন্য অস্বস্তিকর ছিল। এর কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে তিনি চিনকে ভারতের জন্য দীর্ঘদিনের “অস্তিত্বের হুমকি” বলেও বর্ননা করেন।