পশ্চিমবঙ্গ অর্থ দপ্তরের তরফ থেকে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে, যা রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী, পেনশনার এবং বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের জন্য পুজোর আগে খুশির বার্তা নিয়ে এসেছে। নবান্ন থেকে প্রকাশিত মেমো নম্বর 3405-F(Y) অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর ২০২৫ মাসের বেতন, পেনশন এবং অন্যান্য ভাতা উৎসবের মরসুমের আগেই মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে সরকারি কর্মীরা পুজোর কেনাকাটা এবং অন্যান্য প্রস্তুতি স্বস্তির সাথে করতে পারবেন।
কেন এই আগাম বেতন?
এই সিদ্ধান্তের প্রধান কারণ হলো আসন্ন দুর্গাপূজা এবং তার সাথে জড়িত লম্বা ছুটি। সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, রাজ্য সরকারের অফিসগুলি ২৬শে সেপ্টেম্বর থেকে ৭ই অক্টোবর, ২০২৫ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এই দীর্ঘ ছুটির কারণে যাতে কর্মচারী এবং পেনশনভোগীদের মাসের শেষে টাকা পেতে কোনো অসুবিধা না হয়, সেই বিষয়টি নিশ্চিত করতেই অর্থ দপ্তর এই আগাম বেতন ব্যবস্থা করেছে।
কবে কোন টাকা ঢুকবে? জেনে নিন বিস্তারিত তারিখ
অর্থ দপ্তরের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সেপ্টেম্বর মাসের বিভিন্ন প্রাপকের জন্য নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আসুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক:
- বেতন ও অন্যান্য ভাতা: রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সেপ্টেম্বর, ২০২৫ মাসের বেতন (গ্রান্ট-ইন-এইড বেতন সহ), মজুরি, সাম্মানিক, পারিশ্রমিক এবং স্টাইপেন্ড দেওয়া হবে আগামী ২৪শে এবং ২৫শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে। সমস্ত DDO এবং ডিপোজিট অ্যাকাউন্টের প্রশাসকদের ট্রেজারিতে বিল জমা দেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
- পেনশন: অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীদের জন্য সেপ্টেম্বর মাসের পেনশন বিতরণ করা হবে ১লা অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে। পেনশনাররা মাসের শুরুতেই তাদের প্রাপ্য টাকা হাতে পেয়ে যাবেন, যা তাদের উৎসবের পরিকল্পনাকে আরও মসৃণ করবে।
- সরকারি প্রকল্প: রাজ্য সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্প যেমন “জয় বাংলা” এবং “লক্ষ্মীর ভাণ্ডার”-এর মতো আর্থিক সহায়তার টাকা সুবিধাভোগীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি DBT (Direct Benefit Transfer) এর মাধ্যমে জমা করা হবে ১লা অক্টোবর, ২০২৫ তারিখে। এর ফলে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ মহিলা এবং অন্যান্য সুবিধাভোগীরা উৎসবের আগেই আর্থিক সহায়তা পাবেন।
সরকারি বিজ্ঞপ্তি এবং তার সত্যতা
এই বিজ্ঞপ্তিটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ দপ্তরের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব, শ্রী পি.কে. মিশ্র (আইএএস) দ্বারা স্বাক্ষরিত হয়েছে। বিজ্ঞপ্তির একটি কপি রাজ্যের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে প্রিন্সিপাল অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল, সমস্ত অতিরিক্ত মুখ্য সচিব, বিভাগীয় কমিশনার, জেলাশাসক, এবং ট্রেজারি অফিসারদের কার্যালয়। পাশাপাশি, এই নির্দেশিকাটি অর্থ দপ্তরের ওয়েবসাইটে আপলোড করার জন্য নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটরকে অনুরোধ করা হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষ এবং কর্মচারীরা সহজেই এই তথ্য যাচাই করতে পারেন।